বারাসত, 4 অগাস্ট : বারাসতে সাবওয়ে তৈরিতে কাটমানি নিয়েছেন এলাকার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৷ ফেসবুকে লাইভে এই অভিযোগ করেছিলেন বেশ কয়েকজন DYFI নেতা ৷ এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন সাংসদ ৷ মানহানি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি৷
দীর্ঘদিনের দাবিমতো 16 জুলাই বারাসতের 12 নম্বর রেলগেটের পাশে সাবওয়ে চালু হয় ৷ কিন্তু, কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই সাবওয়ের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়তে থাকে ৷ শুক্রবার রাতে সাবওয়ের ভিতরে মাথায় হেলমেট, ছাতা নিয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান DYFI নেতারা ৷ ফেসবুক লাইভও করেন তাঁরা ৷ সেখানে সুদীপ্ত দাস নামে এক DYFI নেতা অভিযোগ করেন, "সাবওয়ে নির্মাণের জন্য কন্ট্রাক্টরের থেকে কাটমানি নিয়েছেন আমাদের সাংসদ, উন্নয়নের শরিক, যিনি নিজেকে বারাসতের নতুন রূপকার বলে দাবি করেন ৷ " নারদকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "উনি কাটমানি নেওয়ার ক্ষেত্রে পারদর্শী । টিভির পর্দায় সবাই দেখেছেন, উনি কীভাবে কাটমানি নেন?" তাঁর আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে সাবওয়ে জলে ভেসে যাবে ৷ ছাদও ভেঙে পড়বে ৷ ফলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, সিঁড়ি দিয়ে মহিলা ও রোগীরা নামতে-উঠতে সমস্যায় পড়ছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : চালু হওয়ার 13 দিনেই সাবওয়ে থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল !
পরে ফেসবুক লাইভটি চোখে পড়ে বারাসতের সাংসদের ৷ গতকাল সকালে DYFI নেতাদের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷ বলেন, "ওই ফেসবুক লাইভে আমার বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা অবমাননাকর । সেজন্যই বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । রেলের তরফে সাবওয়েটি নির্মাণ করা হয়েছে । " বিষয়টি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "সাংসদ একটা অভিযোগ করেছেন । আমরা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি ৷"