ব্যারাকপুর, 12 জানুয়ারি: "ভালো-মন্দের ফারাক বুঝে ভালোটাকে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন", আজ স্বামীজির 161 তম জন্মদিবসে যুবদের প্রতি এই বার্তাই দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার তিনি রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন ৷ সেখানে তিনি রাজ্য তথা দেশের যুব সমাজের জন্য এই বার্তা দেন ৷ তবে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ৷
অন্যদিকে, এদিনই পৌর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী এবং বিধায়কের দুয়ারে পৌঁছে যায় ইডি ৷ এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বারবার প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "আমি এনিয়ে কোনও কথা বলব না ৷" তিনি আরও জানান, স্বামীজির জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেবেন ৷
তিনি বলেন, "স্বামীজি যখন ভারতে ছিলেন, তখন দেশ স্বাধীন হয়নি ৷ তারপর ভারত স্বাধীন হয় ৷ তারপর ভারতবর্ষ এগিয়েছে ৷ তবে আরও কিছুটা এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল ৷ হয়তো ধীরে ধীরে হবে ৷ আমরা সবাই তা বিশ্বাস করি ৷ আজকের দিনে স্বামীজির প্রাসঙ্গিকতা তুলনাহীন ৷"
এদিন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষের তরফে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ৷ এদিনের মঞ্চ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের মাহাত্ম্য তুলে ধরেন তিনি ৷ তিনি বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বামী বিবেকানন্দ'র বাণী খুবই প্রাসঙ্গিক ৷" পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, "বিবেকানন্দ চিঠিতে লিখেছিলেন, কারও কথা অন্য কাউকে বলা উচিত নয় ৷ কানাঘুষো করাও উচিত নয় !কারও সম্পর্কে কিছু বলতে হলে তা সামনাসামনি বলাই শ্রেয় ! সেটা সবসময় মাথায় রেখে চলতে হবে ৷ তাহলেই আশপাশের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিও ইতিবাচক থাকবে ৷"
পরে, বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, " অন্য কারও নিন্দা করলে হয়তো আনন্দ আসে।এটার থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে ৷ তা না হলে দৃঢ় চরিত্রের মানুষ হয়ে উঠতে পারবে না।" এক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দের বাণীও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, "যদি কারও নামে কিছু বলারই থাকে, তাহলে তাঁর উপস্থিতিতেই বলা উচিত ৷" প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: