বনগাঁ, 21 ফেব্রুয়ারি: আজ অমর একুশে ৷ ভাষা দিবস উপলক্ষে বেনাপোল ও পেট্রাপলের বন্দরের নো-ম্যানস ল্যান্ডে প্রতি বছরের মত এবছরও অস্থায়ী শহিদ বেদী তৈরি করা হয়েছে (International Mother Language Day) । সেখানেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো শ্রদ্ধার্ঘ্য শহিদ বেদীতে অর্পণ করেন দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের ছিলেন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ, ভাইস চেয়ারম্যান জোসনা আড্ডা, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ পুলিশ সুপার জয়িতা বসু-সহ বনগাঁ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলারেরা । প্রধান অতিথি হিসেবে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি ।
এছড়াও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য । তবে এদিন প্রশাসনিক নিরাপত্তার কারণে সাধারণ মানুষের প্রবেশ করার অধিকার ছিল না । নিদিষ্ট কিছু মানুষকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়েছিল । নো-ম্যানস ল্যান্ডে বসার আসন ছিল ফাঁকা । দুই দেশে দু‘টি মঞ্চ করে ভাষা দিবসের উদযাপন করা হয়। এদিন নিরাপত্তার কারণে সকলের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবেশের অধিকার ছিল না ৷ পেট্রাপোল সীমান্তের ভাষা দিবসে অংশ গ্রহণ করতে এসে প্রবেশ না-করতে পেরে মন ভার করে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
ভারত-বাংলাদেশের উৎসাহী নাগরিকরা ভাষা দিবসের এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকেন সারা বছর ৷ সেই সমস্ত নাগরিকরা জানাচ্ছেন এই বছর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হতে না-পেরে মন খারাপ তাদের। বিগত বছরগুলিতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হত নো-ম্যানস ল্যান্ডে, সেই সময় দুই দেশের নাগরিকরাও ভাষা দিবসের সেই অনুষ্ঠানে সামিল হত ৷
আরও পডুন: সুরেরই ভাষা, আনন্দেরই ভাষা...
এই প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ভারত থেকে কোনও মন্ত্রী ভাষা দিবসের এই অনুষ্ঠানে সামিল হননি ৷ তাই কোথাও যেন ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই পুরনো জৌলুস কিছুটা হলেও কমেছে । ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, নিরাপত্তা জনিত কারণে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৷ যে কারণে নো-ম্যানস ল্যান্ডে যৌথভাবে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন করা যাচ্ছে না।