ETV Bharat / state

আঁধারে আলোর প্রদীপ গড়ার কারিগররা

কোরোনার জেরে বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হয়েছে নমো নমো করে । কালীপুজো নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রদীপ কারখানার মালিকরা । কিন্তু সব আশায় ছাই । দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও ভাটার টান ।

Diwali lamps
দীপাবলির দীপ
author img

By

Published : Nov 7, 2020, 2:16 PM IST

Updated : Nov 8, 2020, 6:34 AM IST

দত্তপুকুর, 7 নভেম্বর : বছরভর তাঁরা আলোর প্রদীপ গড়েন । কোরোনা আবহে চলতি বছর সেই প্রদীপের নেই চাহিদা । আলোর উৎসব দীপাবলির মুখেও আঁধারে রয়েছেন সেই আলোর কারিগররাই । উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর থানার পালপাড়া । 35 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের এক বিস্তীর্ণ মহল্লা । গোটা জেলায় এই পালপাড়া গ্রাম প্রদীপের গ্রাম হিসেবেই পরিচিত ।

গোটা গ্রামে ছোটো-বড় মিলিয়ে 400টি প্রদীপ তৈরির কারখানা রয়েছে । সেখানে কাজ করেন প্রায় দশ হাজার শ্রমিক । ফি বছর দীপাবলির আগে দত্তপুকুরের প্রদীপ ছড়িয়ে পড়ে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান ও দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । কালীপুজোর পনেরো দিন আগে থেকেই ভিনরাজ্যের গাড়ির লাইন পড়ে যায় যশোর রোডের দু'পাশে । পুজোর মুখে যশোর রোডের দু'পাশ দিয়ে তাই সার দিয়ে প্রদীপের দোকান বসে যায় ।

কিন্তু এবছর দেশজুড়ে কোরোনা আবহ । চলতি বছর বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হয়েছে নমো নমো করে । কালীপুজো নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রদীপ কারখানার মালিকরা । কিন্তু সব আশায় ছাই । দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও ভাটার টান । কোনও আবেগ নেই । মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান বা দিল্লি থেকে গাড়ি আসেনি । কোনও বড় বরাতও মেলেনি । স্থানীয় অল্প কিছু চাহিদা রয়েছে । দীপাবলিতে বাঙালিরাও ঘরে প্রদীপ জ্বালেন । সেই আশায় রাস্তার পাশে সার দিয়ে প্রদীপের পসরা সাজিয়েছেন কারখানার মালিকরা । কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে । চলতি পথে দু'একজন মোটর বাইক থামিয়ে অল্প কিছু প্রদীপ কিনছেন বটে । কিন্তু তা দিয়ে সংসার চলে না ।

দত্তপুকুরের স্বনামধন্য প্রদীপ কারখানার মালিক অসিত পাল । তাঁর কারখানায় 22 জন কারিগর কাজ করেন । অন্য বছর দীপাবলির একমাস আগে থেকে তাঁদের নাওয়া-খাওয়া থাকত না । কিন্তু চলতি বছর বদলে গিয়েছে সেই ছবি । ওই কারখানার কারিগর অনীতা হালদার বলেন, "অন্য বছর আমরা দীপাবলির আগে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত পেতাম না । কিন্তু কোরোনার কারণে এবার আমাদের কারখানায় তেমন বায়না আসেনি । আমরা কোনওরকমে টিকে আছি ।"

আঁধারে আলোর প্রদীপ গড়ার কারিগররা

ওই কারখানার ম্যামেজার মণীন্দ্র পাল বলেন, "কোরোনা ও লকডাউনের প্রভাব সারা দেশে পড়েছে । অন্যান্য বছর আমরা বাইরের অনেক বায়না পাই । গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি থেকে গাড়ি গাড়ি প্রদীপের বায়না পেতাম । কিন্তু চলতি বছর আমরা বাইরের কোনও বায়না পাইনি । স্থানীয় কিছু বায়না পেয়েছি । তা দিয়েই কোনওরকমে কারখানাটা চলছে ।"

পালপাড়ার আরেক প্রদীপ ব্যবসায়ী বিমল পাল বলেন, "মহাজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রদীপ তৈরি করেছিলাম । ভেবেছিলাম কালীপুজোয় ভালো ব্যবসা করব । কিন্তু হল না । বাইরের দু'একটা বায়না পেয়েছি । কিন্তু তা দিয়ে চলবে না । রাস্তার পাশে একটা দোকান করেছি । কিন্তু প্রদীপ কেনার লোক নেই । কী করে যে মহাজনের ঋণ শোধ করব জানি না ।"

দত্তপুকুর, 7 নভেম্বর : বছরভর তাঁরা আলোর প্রদীপ গড়েন । কোরোনা আবহে চলতি বছর সেই প্রদীপের নেই চাহিদা । আলোর উৎসব দীপাবলির মুখেও আঁধারে রয়েছেন সেই আলোর কারিগররাই । উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর থানার পালপাড়া । 35 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের এক বিস্তীর্ণ মহল্লা । গোটা জেলায় এই পালপাড়া গ্রাম প্রদীপের গ্রাম হিসেবেই পরিচিত ।

গোটা গ্রামে ছোটো-বড় মিলিয়ে 400টি প্রদীপ তৈরির কারখানা রয়েছে । সেখানে কাজ করেন প্রায় দশ হাজার শ্রমিক । ফি বছর দীপাবলির আগে দত্তপুকুরের প্রদীপ ছড়িয়ে পড়ে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান ও দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । কালীপুজোর পনেরো দিন আগে থেকেই ভিনরাজ্যের গাড়ির লাইন পড়ে যায় যশোর রোডের দু'পাশে । পুজোর মুখে যশোর রোডের দু'পাশ দিয়ে তাই সার দিয়ে প্রদীপের দোকান বসে যায় ।

কিন্তু এবছর দেশজুড়ে কোরোনা আবহ । চলতি বছর বাঙালির সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো হয়েছে নমো নমো করে । কালীপুজো নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রদীপ কারখানার মালিকরা । কিন্তু সব আশায় ছাই । দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও ভাটার টান । কোনও আবেগ নেই । মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান বা দিল্লি থেকে গাড়ি আসেনি । কোনও বড় বরাতও মেলেনি । স্থানীয় অল্প কিছু চাহিদা রয়েছে । দীপাবলিতে বাঙালিরাও ঘরে প্রদীপ জ্বালেন । সেই আশায় রাস্তার পাশে সার দিয়ে প্রদীপের পসরা সাজিয়েছেন কারখানার মালিকরা । কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে । চলতি পথে দু'একজন মোটর বাইক থামিয়ে অল্প কিছু প্রদীপ কিনছেন বটে । কিন্তু তা দিয়ে সংসার চলে না ।

দত্তপুকুরের স্বনামধন্য প্রদীপ কারখানার মালিক অসিত পাল । তাঁর কারখানায় 22 জন কারিগর কাজ করেন । অন্য বছর দীপাবলির একমাস আগে থেকে তাঁদের নাওয়া-খাওয়া থাকত না । কিন্তু চলতি বছর বদলে গিয়েছে সেই ছবি । ওই কারখানার কারিগর অনীতা হালদার বলেন, "অন্য বছর আমরা দীপাবলির আগে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত পেতাম না । কিন্তু কোরোনার কারণে এবার আমাদের কারখানায় তেমন বায়না আসেনি । আমরা কোনওরকমে টিকে আছি ।"

আঁধারে আলোর প্রদীপ গড়ার কারিগররা

ওই কারখানার ম্যামেজার মণীন্দ্র পাল বলেন, "কোরোনা ও লকডাউনের প্রভাব সারা দেশে পড়েছে । অন্যান্য বছর আমরা বাইরের অনেক বায়না পাই । গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি থেকে গাড়ি গাড়ি প্রদীপের বায়না পেতাম । কিন্তু চলতি বছর আমরা বাইরের কোনও বায়না পাইনি । স্থানীয় কিছু বায়না পেয়েছি । তা দিয়েই কোনওরকমে কারখানাটা চলছে ।"

পালপাড়ার আরেক প্রদীপ ব্যবসায়ী বিমল পাল বলেন, "মহাজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রদীপ তৈরি করেছিলাম । ভেবেছিলাম কালীপুজোয় ভালো ব্যবসা করব । কিন্তু হল না । বাইরের দু'একটা বায়না পেয়েছি । কিন্তু তা দিয়ে চলবে না । রাস্তার পাশে একটা দোকান করেছি । কিন্তু প্রদীপ কেনার লোক নেই । কী করে যে মহাজনের ঋণ শোধ করব জানি না ।"

Last Updated : Nov 8, 2020, 6:34 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.