বনগাঁ, 12 অক্টোবর : ট্রাক ধর্মঘটেও সচল সীমান্ত । ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে তিন দিনের ট্রাক ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল না উত্তর 24 পরগনার ব্যস্ততম দুই স্থলবন্দর পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙায় । আজ দুই বন্দরে স্বাভাবিকভাবে রপ্তানি হয়েছে ।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, "কোরোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্দরের ব্যবসা বন্ধ ছিল । ফলে এখানকার ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা বন্ধ করতে চাইছেন না । কোনও বনধ সমর্থককেও পেট্রাপোল এলাকায় দেখা যায়নি ।"
পুলিশের জুলুম, ওভারলোডিং, থার্ড পার্টি ইন্সুরেন্সের হার বৃদ্ধি, GST চালু-সহ বিভিন্ন দাবির সমর্থনে ট্রাক সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে তিন দিনের ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে । ফলে বিভিন্ন রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে ট্রাক । কিন্তু উত্তর 24 পরগনার ঘোজাডাঙা ও পেট্টাপোলে দেখা গেল পুরো বিপরীত চিত্র । এখানে স্বাভাবিক নিয়মে দু'দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ হয়েছে । পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট-সহ আশেপাশের পার্কিংগুলোয় আগে থেকেই কয়েক হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে । ফলে আসার পথে কোথাও ট্রাক আটকালেও বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই ।
যদিও ভিনরাজ্য থেকে খুব বেশি ট্রাক এদিন পেট্রাপোল বন্দরে আসেনি । পাশাপাশি ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, "ঘোজাডাঙা বন্দরে ট্রাক ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি । রোজকার স্বাভাবিক নিয়মেই দু'দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ।"
অন্য দিকে, ধর্মঘট সফল করতে বসিরহাট দু'নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুর টাকি রোডের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন ট্রাক মালিক ও চালকরা । ফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রাক অনার্স অ্যাসোনিয়েশানের সহসম্পাদক রবিউল ইসলাম গাজি বলেন, "আমাদের দাবি মানা না হলে পুজোর পরে আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে ।"