পেট্রাপোল, 4 জুন : মে মাস নাগাদ তিন দিনের জন্য খোলা হয়েছিল বনগাঁ সংলগ্ন পেট্রাপোল স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আশঙ্কিত স্থানীয়দের চাপে পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ বর্তমান পরিস্থিতি কেমন তা জানতে বুধবার পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন IG (IB) দেবাশিস গড়াই। গতকাল তিনি পেট্রাপোল বন্দরে BSF, পুলিশ আধিকারিক-সহ অভিভাসন ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
লকডাউনের শুরুতেই কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রথম ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়েছিল। তারপর বন্ধ হয়েছিল দু'দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকার পর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ফের দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরুও হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোরোনা সংক্রমণের প্রমাদ গুনছিলেন সীমান্ত লাগোয়া ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। তাঁদের লাগাতার বিক্ষোভ ও পথ অবরোধের জেরে ফের ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধই রয়েছে।
পেট্রাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রপ্তানির জন্য প্রায় দু'হাজার পণ্যবাহী ট্রাক এখনও পেট্রাপোল সীমান্তে রাস্তার পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই দিক থেকে বুধবার IG দেবাশিস গড়াইয়ের পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল তিনি পেট্রাপোল থানাতেই BSF, পুলিশ, শুল্ক ও অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠকের পর তিনি সীমান্ত ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে পাড়ি দেন।