ETV Bharat / state

রাজ্যপালকে অপমান সংবিধানকে অপমানের সমান : মুকুল

রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত ইশুতে প্রথম থেকেই রাজ্যপালকে সমর্থন করেছে বঙ্গ BJP ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও জগদীপ ধনকড়ের পাশে দাঁড়াল তারা ৷ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন BJP নেতা মুকুল রায় ও নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷

মুকুল রায়
author img

By

Published : Oct 23, 2019, 9:19 AM IST

Updated : Oct 23, 2019, 10:38 AM IST

বিধাননগর, 23 অক্টোবর : রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার ৷ সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ গতকাল সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসকসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় সংঘাত আরও বেড়েছে ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল নিজেও ৷ রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত ইশুতে প্রথম থেকেই রাজ্যপালকে সমর্থন করেছে বঙ্গ BJP ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও জগদীপ ধনকড়ের পাশে দাঁড়াল তারা ৷ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন BJP নেতা মুকুল রায় ও নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷

কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, "রাজ্যপালকে অপমান সংবিধানকে অপমান করার সমান ৷ রাজ্যপালের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার চলছে তা সংবিধানের উপর আক্রমণ ৷ রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকার যে ব্যবহার করেছে, তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা সংবিধানকে অপমান করার সমান ৷ এরাজ্যে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই ৷ এটাই আর একটা উদাহরণ ৷"

দিল্লি থেকে ফিরে BJP নেত্রী ভারতী ঘোষ এবিষয়ে তাঁর মতামত জানান ৷ বলেন, "সংবিধান ভেঙে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছেন মমতা ৷ রাজ্যে সমস্ত আইনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে ৷ মানুষ এখম বিধানসভা নির্বাচনের অপেক্ষা করছে ৷ নির্বাচন এলে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না ৷ জিয়াগঞ্জ, সুটিয়া, বসিরহাট ও সন্দেশখালি সর্বত্র অরাজকতা চলছে ৷"

দেখুন ভিডিয়ো

আবার রাজ্যপাল বনাম রাজ্যের সংঘাত প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন CPI(M) নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যমে দেখেছি রাজ্যপাল প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি বৈঠক করতে চান ৷ কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে রয়েছেন, তাই তাঁরা রাজ্যপালের মিটিংয়ে থাকতে পারেননি ৷ রাজ্য চালাবার দায়িত্ব মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ৷ রাজ্যপালকে মানুষ নির্বাচিত করেনি ৷"

বিধাননগর, 23 অক্টোবর : রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার ৷ সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ গতকাল সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসকসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় সংঘাত আরও বেড়েছে ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল নিজেও ৷ রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত ইশুতে প্রথম থেকেই রাজ্যপালকে সমর্থন করেছে বঙ্গ BJP ৷ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও জগদীপ ধনকড়ের পাশে দাঁড়াল তারা ৷ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন BJP নেতা মুকুল রায় ও নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷

কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, "রাজ্যপালকে অপমান সংবিধানকে অপমান করার সমান ৷ রাজ্যপালের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার চলছে তা সংবিধানের উপর আক্রমণ ৷ রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকার যে ব্যবহার করেছে, তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা সংবিধানকে অপমান করার সমান ৷ এরাজ্যে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই ৷ এটাই আর একটা উদাহরণ ৷"

দিল্লি থেকে ফিরে BJP নেত্রী ভারতী ঘোষ এবিষয়ে তাঁর মতামত জানান ৷ বলেন, "সংবিধান ভেঙে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছেন মমতা ৷ রাজ্যে সমস্ত আইনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে ৷ মানুষ এখম বিধানসভা নির্বাচনের অপেক্ষা করছে ৷ নির্বাচন এলে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না ৷ জিয়াগঞ্জ, সুটিয়া, বসিরহাট ও সন্দেশখালি সর্বত্র অরাজকতা চলছে ৷"

দেখুন ভিডিয়ো

আবার রাজ্যপাল বনাম রাজ্যের সংঘাত প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন CPI(M) নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যমে দেখেছি রাজ্যপাল প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি বৈঠক করতে চান ৷ কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে রয়েছেন, তাই তাঁরা রাজ্যপালের মিটিংয়ে থাকতে পারেননি ৷ রাজ্য চালাবার দায়িত্ব মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের ৷ রাজ্যপালকে মানুষ নির্বাচিত করেনি ৷"

Intro:সন্দেশখালীতে অপমানিত রাজ্যপালের পাশে মুকুল রায় ভারতী ঘোষ


বিধাননগর, ২৩ অক্টোবর: রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার সংঘাত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সন্দেশেখালীতে রাজ্যপাল প্রশাসনিক বৈঠক করতে করতে চাইলেও তাকে খালি হাতে ফিরতে হয়। স্থানীয় বিধায়ক থেকে বিডিও কিংবা ডিএম কেউ উপস্থিত হননি ওই বৈঠকে। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কার্যত অপমানিত রাজ্যপাল। এই ঘটনায় রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।

Body:মুকুল রায় রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপাল সংঘাত প্রসঙ্গে বলেন, "রাজ্যপালকে অপমান সংবিধানকে অপমান করার সমান। রাজ্যপালের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার চলছে তা সংবিধানের ওপর আক্রমণ"। হায়দ্রাবাদ যাওয়ার পথে বললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় আরো বলেন, "রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তার সঙ্গে রাজ্য সরকার যে ব্যবহার করছে তাকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে সেটা সংবিধানকে অপমান করার সমান। এরাজ্যে আইনের শাসন নেই এবং গণতন্ত্র নেই এটাই তার আরেকটা উদাহরণ"।

এই প্রসঙ্গে দিল্লী থেকে ফিরে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের প্রতিক্রিয়া, "সংবিধান ভেঙে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছেন মমতা। রাজ্যে সমস্ত আইনের কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। মানুষ এখন বিধানসভা নির্বাচনের অপেক্ষা করছে। নির্বাচন এলে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না । জিয়াগঞ্জ , সুটিয়া, বসিরহাট, সন্দেশখালী সর্বত্র অরাজকতা চলছে"।

রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সঙ্ঘাত প্রসঙ্গে অবশ্য রাজ্য সরকারের পাশেই দাঁড়ালেন সিপিএমের বহিস্কৃত প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যমে দেখেছি রাজ্যপাল প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি বৈঠক করতে চান। কিন্তু প্রশাসনের কর্তারা রাজ্যপালকে জানিয়েছে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তারা সেকারণে রাজ্যপালের মিটিংয়ে থাকতে পারেনি। রাজ্য চালাবার দায়িত্ব মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের। রাজ্যপালকে মানুষ নির্বাচিত করেনি"।Conclusion:
Last Updated : Oct 23, 2019, 10:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.