ETV Bharat / state

কোরোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মীর পরিবারকে একঘরে, অভিযুক্ত হোমের সুপার - Barasat

অভিযোগ, হোমের সুপারের নির্দেশে ওই সরকারি কর্মীর পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে । ফলে না পাচ্ছেন ঠিক মতো খাদ্য সামগ্রী । আর না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ ।

corona
corona
author img

By

Published : Sep 19, 2020, 7:25 PM IST

Updated : Sep 19, 2020, 8:46 PM IST

বারাসত, 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আক্রান্ত সরকারি হোমের এক রক্ষীর পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল হোমেরই সুপারের বিরুদ্ধে । উঠেছে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগও । বিষয়টির প্রতিবাদ করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী । উলটে আক্রান্তের পরিবারকে সহযোগিতা করা হলে হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের শোকজ় করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । যার ফলে দুর্বিষহ জীবনযাত্রার মধ্যে এখন দিন কাটছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের । না পাচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী । না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র । যদিও এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও কথায় বলতে রাজি হননি ওই সরকারি হোমের সুপার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ।

রাজ্য সরকারের তরফে বারবার যেখানে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আবেদন জানানো হচ্ছে, সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই উঠেছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ । জানা গেছে, বারাসতের এক সরকারি হোমের রক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন বিদ্যুৎ রায় (নাম পরিবর্তিত) । সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর স্ত্রী ও ছোটো ছেলের কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । স্ত্রী ও ছেলের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় বিদ্যুৎবাবুও হোমের সরকারি হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন । অভিযোগ, তারপর থেকেই হোমের সুপারের নির্দেশে ওই সরকারি কর্মীর পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে । ফলে না পাচ্ছেন ঠিক মতো খাদ্য সামগ্রী । আর না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ । ফলে বিপাকে পড়েছেন কোরোনা আক্রান্ত ওই সরকারি কর্মীর পরিবার । এমনকী হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে কোরোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মীর পরিবারকে সহযোগিতা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । একজন সরকারি আধিকারিকের এমন আচরণে উঠছে প্রশ্ন ।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সরকারি কর্মী বলেন, "হোমের সুপারের নির্দেশে কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন না । ফলে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না হোম কর্তৃপক্ষের তরফে । বাধ্য হয়ে অনলাইনে কিছু খাদ্য সামগ্রী আনাতে হচ্ছে আমাদের ।" তাঁর অভিযোগ, " উনি(হোমের সুপার) যবে থেকে দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছেন তখন থেকে দুর্ব্যবহার করছেন আমাদের সঙ্গে । হোমের দায়িত্ব নেওয়ার আগে উনি কোরোনা পরীক্ষা করেছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । কে বলতে পারে ওনার থেকে আমার পরিবার কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি? কারণ উনি আসার পর হোমের পাঁচ জন আবাসিক কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।"

কাউকে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন কি না সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই সরকারি কর্মী বলেন, "হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম । যেহেতু হোম কোয়ারানটিনে রয়েছি সেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে পারিনি । তবে,সুস্থ হওয়ার পর বিষয়টি তাঁদের নজরে আনব ।"

এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি প্রথম জানতে পারলাম । সরকারি হোমের বিষয়টি জেলাশাসক দেখেন । আমি বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব । এটা হওয়া কাম্য নয়।" খাদ্য সামগ্রী কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে যাতে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের কোনও অসুবিধে না হয় তারজন্য পৌরসভার তরফে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি ।

এই বিষয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এটা হওয়া উচিত নয় । বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব ।"

বারাসত, 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আক্রান্ত সরকারি হোমের এক রক্ষীর পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠল হোমেরই সুপারের বিরুদ্ধে । উঠেছে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগও । বিষয়টির প্রতিবাদ করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী । উলটে আক্রান্তের পরিবারকে সহযোগিতা করা হলে হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের শোকজ় করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । যার ফলে দুর্বিষহ জীবনযাত্রার মধ্যে এখন দিন কাটছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের । না পাচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী । না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র । যদিও এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও কথায় বলতে রাজি হননি ওই সরকারি হোমের সুপার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ।

রাজ্য সরকারের তরফে বারবার যেখানে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আবেদন জানানো হচ্ছে, সেখানে এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধেই উঠেছে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ । জানা গেছে, বারাসতের এক সরকারি হোমের রক্ষীর দায়িত্বে রয়েছেন বিদ্যুৎ রায় (নাম পরিবর্তিত) । সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর স্ত্রী ও ছোটো ছেলের কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । স্ত্রী ও ছেলের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় বিদ্যুৎবাবুও হোমের সরকারি হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন । অভিযোগ, তারপর থেকেই হোমের সুপারের নির্দেশে ওই সরকারি কর্মীর পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে । ফলে না পাচ্ছেন ঠিক মতো খাদ্য সামগ্রী । আর না পাচ্ছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ । ফলে বিপাকে পড়েছেন কোরোনা আক্রান্ত ওই সরকারি কর্মীর পরিবার । এমনকী হোমের অন্য সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে কোরোনা আক্রান্ত সরকারি কর্মীর পরিবারকে সহযোগিতা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । একজন সরকারি আধিকারিকের এমন আচরণে উঠছে প্রশ্ন ।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই সরকারি কর্মী বলেন, "হোমের সুপারের নির্দেশে কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছেন না । ফলে কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না হোম কর্তৃপক্ষের তরফে । বাধ্য হয়ে অনলাইনে কিছু খাদ্য সামগ্রী আনাতে হচ্ছে আমাদের ।" তাঁর অভিযোগ, " উনি(হোমের সুপার) যবে থেকে দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছেন তখন থেকে দুর্ব্যবহার করছেন আমাদের সঙ্গে । হোমের দায়িত্ব নেওয়ার আগে উনি কোরোনা পরীক্ষা করেছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । কে বলতে পারে ওনার থেকে আমার পরিবার কোরোনায় আক্রান্ত হয়নি? কারণ উনি আসার পর হোমের পাঁচ জন আবাসিক কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ।"

কাউকে এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন কি না সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই সরকারি কর্মী বলেন, "হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম । যেহেতু হোম কোয়ারানটিনে রয়েছি সেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে পারিনি । তবে,সুস্থ হওয়ার পর বিষয়টি তাঁদের নজরে আনব ।"

এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি প্রথম জানতে পারলাম । সরকারি হোমের বিষয়টি জেলাশাসক দেখেন । আমি বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব । এটা হওয়া কাম্য নয়।" খাদ্য সামগ্রী কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে যাতে কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের কোনও অসুবিধে না হয় তারজন্য পৌরসভার তরফে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি ।

এই বিষয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এটা হওয়া উচিত নয় । বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব ।"

Last Updated : Sep 19, 2020, 8:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.