হিঙ্গলগঞ্জ, 20 অক্টোবর : পথসভার পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে গোলমাল । তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (53) । মঙ্গলচণ্ডী গ্রামের 234 নম্বর বুথের বিজেপি সহ সভাপতি । সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয় । পুলিশ ও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে BJP নেতৃত্ব । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ।
12 অক্টোবর হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে কৃষি বিল ও আমফান দুর্নীতি নিয়ে পথসভার পরিকল্পনা ছিল BJP-র । কিন্তু পুলিশের নিষেধে সেদিন সেই পথসভা হয়নি । BJP পরের দিন সেই পথসভা করার উদ্যোগ নেয় । অভিযোগ, আগেই রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা BJP-র দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দিতে থাকে । BJP কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেন । অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই BJP কর্মীদের ওপর চড়াও হয় ।
BJP কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে । বাঁশ, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়েও তাঁদের মারধর করা হয় । সেই হামলায় পাঁচ BJP কর্মী গুরুতর জখম হন । তাঁদের মধ্যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল ।
আহতদের প্রথমে যোগেজগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করা হয় । কিন্তু জখমদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার SSKM-এ পাঠানো হয়েছিল । সোমবার রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় ।
BJP-র পক্ষ থেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে । দলের হিঙ্গলগঞ্জ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি নিতাই সরদার বলেন, "12 তারিখ পুলিশই আমাদের পথসভা করতে দেয়নি । আমরা পরের দিন সেই পথসভা করতে চেয়েছিলাম । কিন্তু তার আগেই রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের মারধর করে । আমরা অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরেনি । পুলিশ ও তৃণমূল যৌথভাবে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করছে ।"
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল । উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক । আমরা রবীন্দ্রনাথবাবুর পরিবারকে সমবেদনা জানাই । তবে ওই হামলার ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয় । BJP-র গোষ্ঠীসংঘর্ষের জের । আমরা পুলিশকে বলেছি, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ।"