বনগাঁয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

অতিরিক্ত পণের দাবি, অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রিয়া মল্লিক ৷ আত্মহত্যার প্ররোচনায় গ্রেপ্তার করা হয় রিয়ার শ্বশুড়বাড়ির লোকদের ৷ ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷

বনগাঁ,20 জানুয়ারি: শ্বশুড়বাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার৷ অতিরিক্ত পণের দাবি মেটাতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ৷ এমনটাই অভিযোগ মৃতার পরিবারের ৷ বাগদা থানার কুমোরখোলা এলাকার ঘটনা৷ মৃত বধুর নাম রিয়া মল্লিক৷ তিন বছর আগে বাগদার বাসিন্দা রাজু মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় নদিয়ার ধানতলার বাসিন্দা রিয়ার৷ তাদের একটি সন্তানও রয়েছে৷ মৃত গৃহবধূর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার স্বামী রাজু মল্লিক, শাশুড়ি সুমিত্রা মল্লিক ও ননদ শেফালি গোলদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুড়বাড়ি থেকে প্রায়ই রিয়াকে অতিরিক্ত পণের জন্য চাপ দেওয়া হত ৷ তিন বছরে একাধিকবার টাকাও চেয়েছে রিয়ার শ্বশুড়বাড়ির লোক৷ সম্প্রতি তারা 50 হাজার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে তার উপর৷ ওই টাকা আনতে না পারায় অকথ্য অত্যাচারেরও শিকার হতে হয় তাকে ৷ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বছর ছাব্বিশের ওই গৃহবধূ ৷ স্থানীয়রাই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে৷ সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা ৷

ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় বাগদা থানার পুলিশ৷ আত্মহত্যার প্ররোচনায় এবং মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রিয়ার স্বামী রাজু মল্লিক, শাশুড়ি সুমিত্রা মল্লিক ও ননদ শেফালি গোলদারকে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশ৷ ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়৷ বিচারক তাদের 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷