বসিরহাট, 3 ডিসেম্বর: বন্ধ দরজার বাইরে থেকে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি । শেষে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা । ভিতরে ঢুকে চোখ কপালে ওঠে তাঁদের । দেখেন, সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে বছর আঠারোর মেয়েটি । সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন পরিবারের লোকজন । ভেঙে পড়েন কান্নায় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । এই ঘটনার জেরে রবিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বসিরহাটের স্বরূপনগর থানা এলাকায় । মৃত ওই ছাত্রীটির সঙ্গে তাঁর গৃহশিক্ষকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে । ঘটনার পর ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
অভিযোগ, ওই ছাত্রীটির বেশকিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ছিল শিক্ষকের মোবাইলে । এনিয়ে দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে। তার জেরেই এই ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । তবে, মৃতার পরিবারের তরফে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ যার ভিত্তিতে, ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রী বাংলা স্নাতক বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনার আগে ওই ছাত্রীর কাছে শেষ ফোনটা এসেছিল তাঁর গৃহশিক্ষকের কাছ থেকেই । তাতেই ওই ছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় । কিন্তু, কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য রয়েছে ধোঁয়াশা । পড়াশোনার সুবাদেই ওই গৃহশিক্ষকের সঙ্গে আলাপ হয় বছর আঠারোর পড়ুয়ার। তারপর থেকেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে । প্রায়শই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা হত বলেও জানাচ্ছে ওই ছাত্রীর পরিবার । ওই শিক্ষকের কাছে তাঁর বেশকিছু অন্তরঙ্গ মূহূর্তের ছবিও রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ সেই ছবি নিয়েই ঝামেলা হতে পারে অনুমান ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: