বারাসত, 11 এপ্রিল : রাজনৈতিক অভিযোগ থেকে 180 ডিগ্রি ঘুরে গেলেন আলিয়াকাণ্ডে ধৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল । সাতদিনের পুলিশি হেফাজত শেষ হওয়ার পর সোমবার আলিয়াকাণ্ডে ফের গিয়াসউদ্দিনকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয় । এদিন বিচারক তাকে পাঁচদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ তবে আদালতে ঢোকার আগে পুলিশের গাড়ি থেকে নামতেই এদিন ফের তাকে ঘটনায় বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে গিয়াসউদ্দিন প্রথমে কোনও উত্তর দিতে চায়নি । পরে কোর্ট লকআপে ঢোকার মুখে রাজনৈতিক অভিযোগ এড়িয়ে ধৃত এই ছাত্রনেতা ঘটনার সমস্ত দায় তার দিকেই নেয় । সেই সঙ্গে এও বলে, যা বলার তা পরে বলব (Ghiyasuddin Mandal took all the responsibility on Aliya University Case) ।
আলিয়াকাণ্ডে ইতিমধ্যে ধৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে টেকনোসিটি থানার পুলিশ । যার মধ্যে খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সংঘটিত অপরাধ, চুরি, কটুক্তি এবং সরকারি কর্মীকে হেনস্থার মতো মামলাও রয়েছে । যেগুলো সবকটিই জামিন অযোগ্য ধারা ।
এর আগে ধৃত এই ছাত্র নেতাকে 4 এপ্রিল বারাসত আদালতে পেশ করা হয়েছিল পুলিশের তরফে । কড়া নিরাপত্তায় সেদিন আদালতের সিজেএমের এজলাসে তোলা হলে বিচারক বাদী-বিবাদী দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন । গিয়াসউদ্দিনের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে তার আইনজীবী খুনের চেষ্টার মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারকের সামনে । তিনি বলেছিলেন, মামলাটি পোক্ত করতেই পুলিশ তার মক্কেলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে । ঘটনার সঙ্গে যার কোনও মিল নেই । এমনকি উপাচার্যকে হেনস্থা করার ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও সেদিন সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তুলেছিলেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ।
এরপরই পুলিশি ঘেরাটোপে ঘটনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কার্যত সেদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করে ধৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল । টিএমসিপি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে সে । মুখ খুলেছিল উপাচার্যের দুর্নীতি এবং পিএইচডির বেনিয়ম নিয়েও । সোমবার দুপুরে আবারও তাকে পেশ করা হয় বারাসত আদালতে । তবে এদিন কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ না-করে ঘটনার সঙ্গে সে একাই যুক্ত ছিল বলে দাবি করে ধৃত গিয়াসউদ্দিন ।
প্রসঙ্গত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলির ঘরে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চড় মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল এবং তার দলবদলের বিরুদ্ধে । সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় । যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত । ঘটনার দু'দিন পর গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা এখনও অধরা ।
আরও পড়ুন : Hanskhali Rape : 14 দিনের জেল হেফাজত হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের