ETV Bharat / state

জন্মসূত্রে সুশান্ত ও দীপান্বিতা বিয়ে করলেন তিস্তা ও দীপন হয়ে, রাজ্যে প্রথম - Transgender Couple tie knot in Social Ceremony

লিঙ্গ রূপান্তর করে আগরপাড়ার সুশান্ত দাস ও গড়িয়ার দীপান্বিতা ৷ গতকাল তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিস্তা ও দীপন হয়ে ৷

তিস্তা ও দীপন
author img

By

Published : Aug 6, 2019, 8:52 AM IST

Updated : Aug 6, 2019, 3:03 PM IST

আগরপাড়া, 6 অগাস্ট : জন্ম হয়েছিল পুরুষ রূপে কিন্তু নারীসুলভ আচরণ ছিল সুশান্তর ৷ আবার নারীরূপে জন্ম হলেও পুরুষ সুলভ আচরণ ছিল দীপান্বিতার ৷ তাই সমাজে তাঁরা ছিল ব্রাত্য ৷ গতকাল একে অপরকে বিয়ে করলেন তাঁরা ৷

Transgender couple
শুভদৃষ্টির সময় তিস্তা ও দীপন

আগরপাড়া মহাজাতি নগরের সুশান্ত দাস ৷ পুরুষ রূপে তাঁর জন্ম হয় ৷ কিন্তু মন থেকে নিজেকে নারী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করতেন তিনি ৷ তার প্রভাব দেখা যেত সুশান্তর আচরণে ৷ তাই 2004 সালে নিজের নারী হওয়ার ইচ্ছেপূরণ করতে অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ রূপান্তর করেন সুশান্ত ৷ নাম হয় তিস্তা ৷ অন্যদিকে গড়িয়ার দীপান্বিতা চক্রবর্তী ৷ জন্মসূত্রে নারী ৷ কিন্তু আচরণ ছিল পুরুষ সুলভ ৷ সুশান্তর মতো দীপান্বিতাও লিঙ্গ রূপান্তর করেন ৷ নাম হয় দীপন ৷

Transgender couple
বিয়ের মণ্ডপে তিস্তা ও দীপন

কর্মসূত্রে আলাপ হয় দীপন ও তিস্তার ৷ বন্ধুত্ব হয় দু'জনের ৷ সেই বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমে ৷ লিঙ্গ রূপান্তর থেকে নিজের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা সবক্ষেত্রেই সমাজে ব্রাত্য হয়েছেন তিস্তা ও দীপন ৷ সহ্য করতে হয়েছে অনেক লাঞ্চনা-গঞ্জনা ৷ কিন্তু হার মানেননি তাঁরা ৷ সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু'জনে ৷ গতকাল তাঁদের সম্পর্ক পরিণতি পায় ৷ বিয়ে করেন তাঁরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

বিয়ের পর তিস্তা বলেন, "আমি খুব খুশি ৷ একসময় যাঁরা আমাদের সমালোচনা করতেন আজ তাঁদের উপযুক্ত জবাব দিতে পেরেছি ৷ মানুষ যদি মানুষকে সম্মান দিতে না পারে তাহলে কোনওদিন সুশীল সমাজ তৈরি হতে পারে না ৷" তিস্তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে দীপন বলেন, "এই বিয়ের মাধ্যমে সমাজকে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে প্রেম আসে ৷ আমরাও ভালোবাসতে পারি ৷ আমাদের মধ্যে সমাজ আছে ৷"

প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই প্রথম দুই রূপান্তরকামীর বিয়ে হল ৷

আগরপাড়া, 6 অগাস্ট : জন্ম হয়েছিল পুরুষ রূপে কিন্তু নারীসুলভ আচরণ ছিল সুশান্তর ৷ আবার নারীরূপে জন্ম হলেও পুরুষ সুলভ আচরণ ছিল দীপান্বিতার ৷ তাই সমাজে তাঁরা ছিল ব্রাত্য ৷ গতকাল একে অপরকে বিয়ে করলেন তাঁরা ৷

Transgender couple
শুভদৃষ্টির সময় তিস্তা ও দীপন

আগরপাড়া মহাজাতি নগরের সুশান্ত দাস ৷ পুরুষ রূপে তাঁর জন্ম হয় ৷ কিন্তু মন থেকে নিজেকে নারী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করতেন তিনি ৷ তার প্রভাব দেখা যেত সুশান্তর আচরণে ৷ তাই 2004 সালে নিজের নারী হওয়ার ইচ্ছেপূরণ করতে অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ রূপান্তর করেন সুশান্ত ৷ নাম হয় তিস্তা ৷ অন্যদিকে গড়িয়ার দীপান্বিতা চক্রবর্তী ৷ জন্মসূত্রে নারী ৷ কিন্তু আচরণ ছিল পুরুষ সুলভ ৷ সুশান্তর মতো দীপান্বিতাও লিঙ্গ রূপান্তর করেন ৷ নাম হয় দীপন ৷

Transgender couple
বিয়ের মণ্ডপে তিস্তা ও দীপন

কর্মসূত্রে আলাপ হয় দীপন ও তিস্তার ৷ বন্ধুত্ব হয় দু'জনের ৷ সেই বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমে ৷ লিঙ্গ রূপান্তর থেকে নিজের জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা সবক্ষেত্রেই সমাজে ব্রাত্য হয়েছেন তিস্তা ও দীপন ৷ সহ্য করতে হয়েছে অনেক লাঞ্চনা-গঞ্জনা ৷ কিন্তু হার মানেননি তাঁরা ৷ সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দু'জনে ৷ গতকাল তাঁদের সম্পর্ক পরিণতি পায় ৷ বিয়ে করেন তাঁরা ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

বিয়ের পর তিস্তা বলেন, "আমি খুব খুশি ৷ একসময় যাঁরা আমাদের সমালোচনা করতেন আজ তাঁদের উপযুক্ত জবাব দিতে পেরেছি ৷ মানুষ যদি মানুষকে সম্মান দিতে না পারে তাহলে কোনওদিন সুশীল সমাজ তৈরি হতে পারে না ৷" তিস্তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে দীপন বলেন, "এই বিয়ের মাধ্যমে সমাজকে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে প্রেম আসে ৷ আমরাও ভালোবাসতে পারি ৷ আমাদের মধ্যে সমাজ আছে ৷"

প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই প্রথম দুই রূপান্তরকামীর বিয়ে হল ৷

Intro:লিঙ্গ রুপান্তর করা নারী ও পুরুষের বিয়ে হয়ে এক নজির সৃষ্টি করলো তিস্তা আর দীপন। Body:সমাজের কাছে এরা অনেকটাই ব্রাত্য বলেই এরা মনে করতো। কিন্তু এরাও যে সমাজেরই একটা অঙ্গ, এরাও যে মানুষ তা প্রমান করলো আগরপাড়া মহাজাতি নগর এর তিস্তা দাস এবং গড়িয়ার দীপন চক্রবর্তী। এরা দুজনেই লিঙ্গ রুপান্তর করা নারী ও পুরুষ। তিস্তা জন্মসূত্রে পুরুষ সুশান্ত দাস। কিন্তু সুশান্ত পুরুষ হলেও নারীসুলভ আচরনের জন্য সমাজে নানারকম লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হতো তাই 2004 সালে সুশান্ত লিঙ্গ রুপান্তর এর মাধ্যমে নারী রূপে নিজেকে পরিবর্তন করে তিস্তা দাস হয়ে ওঠা। অন্যদিকে জন্মসূত্রে নারীরূপী দীপান্বিতা চক্রবর্তী এই একই কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে দীপন চক্রবর্তী থেকে পরিবর্তিত হয়। এরা দুজনেই নিজেদের কর্মসূত্রে প্রথমে বন্ধুত্ব ও পরে কখন যে তাদের সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়েছে তা তারা কেউই বুঝে উঠতে পারেনি। এরপর এই প্রেম ভালোবাসাকেও সমাজের কাছ থেকে অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে। সেই সমস্ত ঝড়-ঝাপটা উপেক্ষা করে দুই পরিবারের সম্মতিতে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ দুজনেই লিঙ্গ রুপান্তর করে সাত পাকে বাঁধা পড়া অত্যন্ত বিরলতম ঘটনা এবং রাজ্যে প্রথম এই ঘটনা এবং এরাজ্যে এই প্রথম। তারা দুজনেই নিজেদের পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত খুশি।তাদের মুখে একটাই কথা এই সমাজ তাদের মতন মানুষেরা যারা সমাজে ব্রাত্য, সেই সমাজকে একটাই বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তাদের বক্তব্য সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।আর এই বার্তা নিয়েই সোমবার সন্ধ্যে ছটা কুড়ি লগ্নে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। অত্যন্ত জাঁকজমক করে আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে তাদের চার হাত এক হল। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হোক এই কামনাই এখন সকলের।Conclusion:আগামী দিনে তাদের মতন মানুষেরা তাদেরই মতো পথ অনুসরণ করুক এটাই নবদম্পতির বার্তা।
Last Updated : Aug 6, 2019, 3:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.