ETV Bharat / state

সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত বাবা-ছেলে - amdanga

সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের । আরও দুই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক । হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের । ঘটনাটি আমডাঙার বহিসগাছি এলাকার ।

জসিমউদ্দিন ও মোজাহার মণ্ডল
author img

By

Published : Sep 7, 2019, 5:22 AM IST

Updated : Sep 7, 2019, 6:24 AM IST

আমডাঙা, 7 সেপ্টেম্বর : সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের । আরও দুই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক । মৃতদের নাম জসিমউদ্দিন (19) ও মোজাহার মণ্ডল (50) । আহত দুই শ্রমিক মনি ও মারুফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । সেখানে একজনের চিকিৎসা চললেও অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাকে RG কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । আমডাঙার বহিসগাছি এলাকার ঘটনা ।

কিছুদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল মোজাহারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কটি ৷ নতুন করে সেটি তৈরি করেছিলেন মোজাহার । কাঠ লাগানো অবস্থাতেই পড়ে ছিল সেপটিক ট্যাঙ্কটি । আজ দুপুরে ঢালাইয়ের কাঠ খোলার জন্য মোজাহার এলাকার মনি ও মারুফ নামে দুই শ্রমিককে কাজে নিয়ে এসেছিলেন । প্রথমে তাঁর ছেলে জসিমউদ্দিন সেপটিক ট্যাঙ্কটির ঢালাইয়ের কাঠ খুলতে ভেতরে নামেন । বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও ছেলে উঠছে না দেখে ভিতরে নামেন মোজাহার । কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্ক থেকে উঠছেন না দেখে দুই শ্রমিকের সন্দেহ হয় । খবর দেওয়া হয় পরিবারকে । পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ৷ কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পড়েন মনি ও মারুফ । তাঁরা ভিতরে গিয়ে দেখেন, জসিমউদ্দিন‌ ও মোজাহার অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন । সেপটিক ট্যাঙ্কটির ভিতরে ততক্ষণে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন । কোনওরকমে ভিতর থেকে চিৎকার শুরু করেন । চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা । এরপর, তাঁরাই চারজনকে ভিতর থেকে কোন‌ওরকমে উদ্ধার করেন ৷ নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসকরা জসিমউদ্দিন ও মোজাহারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে । সেপটিক ট্যাঙ্কটি বেশ কিছু দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল ৷ যার ফলেই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল ভিতরে । সেই গ্যাসেই সম্ভবত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে । অসুস্থ এক শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে ICCU-তে । অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার RG কর হাসপাতালে ।"

আমডাঙা, 7 সেপ্টেম্বর : সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের । আরও দুই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক । মৃতদের নাম জসিমউদ্দিন (19) ও মোজাহার মণ্ডল (50) । আহত দুই শ্রমিক মনি ও মারুফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । সেখানে একজনের চিকিৎসা চললেও অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাকে RG কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । আমডাঙার বহিসগাছি এলাকার ঘটনা ।

কিছুদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল মোজাহারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কটি ৷ নতুন করে সেটি তৈরি করেছিলেন মোজাহার । কাঠ লাগানো অবস্থাতেই পড়ে ছিল সেপটিক ট্যাঙ্কটি । আজ দুপুরে ঢালাইয়ের কাঠ খোলার জন্য মোজাহার এলাকার মনি ও মারুফ নামে দুই শ্রমিককে কাজে নিয়ে এসেছিলেন । প্রথমে তাঁর ছেলে জসিমউদ্দিন সেপটিক ট্যাঙ্কটির ঢালাইয়ের কাঠ খুলতে ভেতরে নামেন । বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও ছেলে উঠছে না দেখে ভিতরে নামেন মোজাহার । কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্ক থেকে উঠছেন না দেখে দুই শ্রমিকের সন্দেহ হয় । খবর দেওয়া হয় পরিবারকে । পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ৷ কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পড়েন মনি ও মারুফ । তাঁরা ভিতরে গিয়ে দেখেন, জসিমউদ্দিন‌ ও মোজাহার অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন । সেপটিক ট্যাঙ্কটির ভিতরে ততক্ষণে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন । কোনওরকমে ভিতর থেকে চিৎকার শুরু করেন । চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা । এরপর, তাঁরাই চারজনকে ভিতর থেকে কোন‌ওরকমে উদ্ধার করেন ৷ নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসকরা জসিমউদ্দিন ও মোজাহারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে । সেপটিক ট্যাঙ্কটি বেশ কিছু দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল ৷ যার ফলেই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল ভিতরে । সেই গ্যাসেই সম্ভবত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে । অসুস্থ এক শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে ICCU-তে । অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার RG কর হাসপাতালে ।"

Intro:গাইঘাটার পর আমডাঙা। সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। আশঙ্কাজনক আরও দুই শ্রমিক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জসিমউদ্দিন (১৯ ও মোজাহার মন্ডল (৫০)।আহত দুই শ্রমিক মনি ও মারুফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখানে একজনের চিকিৎসা চললেও অন‍্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হ‌ওয়ায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার বহিসগাছি এলাকায়।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-গাইঘাটার পর এবার আমডাঙা।বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের।আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জসিমউদ্দিন (১৯)ও মোজাহার মন্ডল (৫০)।মৃত মোজাহার জসিমউদ্দিনের বাবা।আহত দুই শ্রমিক মনি ও মারুফকে চিকিৎসার জন‍্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।সেখানে একজনের চিকিৎসা চললেও অন‍্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হ‌ওয়ায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার বহিসগাছি এলাকায়।স্থানীয়‌ ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,আমডাঙ্গা থানার বহিসগাছি গ্রামে নিজের বাড়িতে নতুন করে সেপটিক ট্যাংক তৈরী করেছিলেন মোজাহার মন্ডল। কিন্তু,সেটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করা হয়নি। কাঠ লাগানো অবস্থাতেই পড়ে ছিল সেপটিক ট্যাংকটি।আজ দুপুরে সেপটিক ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাঠ খোলার জন্য মোজাহার এলাকার ওই দুই শ্রমিককে কাজে নিয়ে এসেছিলেন।শ্রমিকরা সেফটিক ট্যাংকের পাশেই বসেছিলেন।সেই সময় মোজাহারের ১৯ বছরের ছেলে জসিমউদ্দিন সেপটিক ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাঠ খুলতে নামেন ভেতরে।বেশ কিছুক্ষন কেটে গেলেও সেপটিক ট্যাংক থেকে ছেলে উঠছে না দেখে তার ভিতরে নামেন মোজাহার মন্ডল।কিন্তু তিনিও সেপটিক ট্যাংক থেকে ফিরছেন না দেখে দুই শ্রমিকের সন্দেহ হয়।তাঁরা খবর দেয় পরিবারকে।সেখানে এসে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।কি করবেন বুঝতে না পেরে শেষে ওই সেপটিক ট্যাংকে নেমে পড়েন মনি ও মারুফ নামে ওই দুই শ্রমিক। তাঁরা ভিতরে গিয়ে দেখতে পান, জসিমউদ্দিন‌ও তাঁর বাবা মোজাহার অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ততক্ষনে ওই দুই শ্রমিকও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কোনও রকমে ভিতর থেকে চিৎকার করেন তাঁরা। শ্রমিকের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও।এরপর, তাঁরাই চারজনকে ভিতর থেকে কোন‌ও রকমে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন বারাসত হাসপাতালে।সেখানেই চিকিৎসকরা জসিমউদ্দিন ও তাঁর বাবা মোজাহারকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল বলেন,"হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকটি বেশ কিছু দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার ফলে ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল।সেই গ‍্যাসেই সম্ভবত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।আহত এক শ্রমিক চিকিৎসা চলছে আইসিসিইউ-তে।অন‍্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হ‌ওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে"।এদিকে,ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।শোকস্তব্ধ মৃতের পরিবারের লোকেরাও।Conclusion:বারাসত জেলা হাসপাতালে সুপার সুব্রত মন্ডল বলেন,"হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।বাকি দু-জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হ‌ওয়ায় তাকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে তাঁর"তাঁর কথায়,"সেপটিক ট্যাংকটি অব্যবহত অবস্থায় পড়ে থাকার ফলেই ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। সেই গ‍্যাসেই সম্ভবত বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়েই আহত হন আরও দু-জন"। এদিকে,ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ মৃতের পরিবার‌ও।
Last Updated : Sep 7, 2019, 6:24 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.