আমডাঙা, 7 সেপ্টেম্বর : সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের । আরও দুই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক । মৃতদের নাম জসিমউদ্দিন (19) ও মোজাহার মণ্ডল (50) । আহত দুই শ্রমিক মনি ও মারুফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । সেখানে একজনের চিকিৎসা চললেও অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাকে RG কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । আমডাঙার বহিসগাছি এলাকার ঘটনা ।
কিছুদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল মোজাহারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কটি ৷ নতুন করে সেটি তৈরি করেছিলেন মোজাহার । কাঠ লাগানো অবস্থাতেই পড়ে ছিল সেপটিক ট্যাঙ্কটি । আজ দুপুরে ঢালাইয়ের কাঠ খোলার জন্য মোজাহার এলাকার মনি ও মারুফ নামে দুই শ্রমিককে কাজে নিয়ে এসেছিলেন । প্রথমে তাঁর ছেলে জসিমউদ্দিন সেপটিক ট্যাঙ্কটির ঢালাইয়ের কাঠ খুলতে ভেতরে নামেন । বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও ছেলে উঠছে না দেখে ভিতরে নামেন মোজাহার । কিন্তু তিনিও ট্যাঙ্ক থেকে উঠছেন না দেখে দুই শ্রমিকের সন্দেহ হয় । খবর দেওয়া হয় পরিবারকে । পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ৷ কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পড়েন মনি ও মারুফ । তাঁরা ভিতরে গিয়ে দেখেন, জসিমউদ্দিন ও মোজাহার অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন । সেপটিক ট্যাঙ্কটির ভিতরে ততক্ষণে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন । কোনওরকমে ভিতর থেকে চিৎকার শুরু করেন । চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা । এরপর, তাঁরাই চারজনকে ভিতর থেকে কোনওরকমে উদ্ধার করেন ৷ নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসকরা জসিমউদ্দিন ও মোজাহারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে । সেপটিক ট্যাঙ্কটি বেশ কিছু দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল ৷ যার ফলেই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল ভিতরে । সেই গ্যাসেই সম্ভবত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে । অসুস্থ এক শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে ICCU-তে । অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার RG কর হাসপাতালে ।"