ETV Bharat / state

সাজা ঘোষণার আগের দিন ছিল জম্মদিন, অনিন্দিতাকে স্মার্টফোন দিতে চেয়েছিল পরিবার - amily wanted to give Anindita a smartphone on her birthday

সোমবার আদালতের পথে যেতে যেতেই মেয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় অনিন্দিতার বাবা স্থির করেছিলেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্মার্টফোন তুলে দেবেন মেয়ের হাতে ।

Anindita Dey
সাজা
author img

By

Published : Sep 16, 2020, 9:46 PM IST

বারাসত, 16 সেপ্টেম্বর : মঙ্গলবারই ছিল অনিন্দিতার ৩৪তম জম্মদিন। জন্মদিনের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার উপহার হিসেবে অনিন্দিতাকে স্মার্ট ফোন দিতে চেয়েছিল বাবা অলোক পাল। কিন্তু সেদিন দোষী সাব্যস্ত হতেই জন্মদিনের উপহার অধরা থেকে যায় অনিন্দিতার।সোমবার ছিল রজত দে হত্যা কাণ্ডের রায় দান। সেদিন সকালে সল্টলেকের বাড়ি থেকে খুব আশা নিয়েই বারাসাতের দিকে রওনা হয়েছিলেন জামিনে মুক্ত অনিন্দিতা। ভেবেছিলেন খুনের মামলায় নির্দোষ সাব্যস্ত হবেন। পরিবারের আশাও ছিল তাই। কিন্তু, প্রথমে দোষী সাব্যস্ত,তারপর যাবজ্জীবন সাজা হতেই সব আশা শেষ হয়ে যায়।

সোমবার আদালতে যাওয়ার সময় মেয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাবা স্থির করেছিলেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোন তুলে দেবেন । স্বামী রজত দে খুনের ঘটনার পরই অনিন্দিতার স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ । সেই থেকেই নতুন স্মার্ট ফোনের ইচ্ছে ছিল অনিন্দিতার । তাঁর সেই ইচ্ছার কথা বাবাকে জানিয়েছিল অনিন্দিতা । মেয়ের আবদার মেনেও নিয়েছিল বাবা অলোক পাল । বলেছিলেন সোমবার আদালত থেকে নির্দোষ হয়ে বাড়ি ফেরার পরই জন্মদিনে স্মার্ট ফোন তুলে দেবেন মেয়ের হাতে। কিন্তু রজত দে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি অনিন্দিতার । অধরা থেকে গেছে জন্মদিনের উপহারও ।

আরও পড়ুন : রজত দে হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন স্ত্রী অনিন্দিতার

এই বিষয়ে আদালতে প্রকাশ্যে কোনও কথায় বলতে রাজি হননি অনিন্দিতার বাবা অলোক পাল তবে,অনিন্দিতার আইনজীবী ও পারিবারিক বন্ধু সোহিনী অধিকারী বলেন,"ইচ্ছে তো অনেক কিছুই ছিল পরিবারের।নতুন কিছু উপহার দেওয়া।কিন্তু তা যখন হলনা তা নিয়ে আর কথা বলে কি হবে। ওর (অনিন্দিতা)পরিবার আশা করেছিল বারাসত আদালত থেকে সুবিচার পাবে। সেই কারণেই অনেক পরিকল্পনা ছিল । ও আমার বোনের মতো । ওর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই বলতে পারি অনিন্দিতার মধ্যে কোনও লোভ কিংবা বিলাসিতা ছিলনা। এই নিয়ে আদালতে কোনও তথ্যও সেভাবে পেশ করতে পারেনি সরকারি আইনজীবী। যা হয়েছে সবই সাক্ষীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে। "

বারাসত, 16 সেপ্টেম্বর : মঙ্গলবারই ছিল অনিন্দিতার ৩৪তম জম্মদিন। জন্মদিনের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার উপহার হিসেবে অনিন্দিতাকে স্মার্ট ফোন দিতে চেয়েছিল বাবা অলোক পাল। কিন্তু সেদিন দোষী সাব্যস্ত হতেই জন্মদিনের উপহার অধরা থেকে যায় অনিন্দিতার।সোমবার ছিল রজত দে হত্যা কাণ্ডের রায় দান। সেদিন সকালে সল্টলেকের বাড়ি থেকে খুব আশা নিয়েই বারাসাতের দিকে রওনা হয়েছিলেন জামিনে মুক্ত অনিন্দিতা। ভেবেছিলেন খুনের মামলায় নির্দোষ সাব্যস্ত হবেন। পরিবারের আশাও ছিল তাই। কিন্তু, প্রথমে দোষী সাব্যস্ত,তারপর যাবজ্জীবন সাজা হতেই সব আশা শেষ হয়ে যায়।

সোমবার আদালতে যাওয়ার সময় মেয়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় বাবা স্থির করেছিলেন জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্মার্ট ফোন তুলে দেবেন । স্বামী রজত দে খুনের ঘটনার পরই অনিন্দিতার স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ । সেই থেকেই নতুন স্মার্ট ফোনের ইচ্ছে ছিল অনিন্দিতার । তাঁর সেই ইচ্ছার কথা বাবাকে জানিয়েছিল অনিন্দিতা । মেয়ের আবদার মেনেও নিয়েছিল বাবা অলোক পাল । বলেছিলেন সোমবার আদালত থেকে নির্দোষ হয়ে বাড়ি ফেরার পরই জন্মদিনে স্মার্ট ফোন তুলে দেবেন মেয়ের হাতে। কিন্তু রজত দে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি অনিন্দিতার । অধরা থেকে গেছে জন্মদিনের উপহারও ।

আরও পড়ুন : রজত দে হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন স্ত্রী অনিন্দিতার

এই বিষয়ে আদালতে প্রকাশ্যে কোনও কথায় বলতে রাজি হননি অনিন্দিতার বাবা অলোক পাল তবে,অনিন্দিতার আইনজীবী ও পারিবারিক বন্ধু সোহিনী অধিকারী বলেন,"ইচ্ছে তো অনেক কিছুই ছিল পরিবারের।নতুন কিছু উপহার দেওয়া।কিন্তু তা যখন হলনা তা নিয়ে আর কথা বলে কি হবে। ওর (অনিন্দিতা)পরিবার আশা করেছিল বারাসত আদালত থেকে সুবিচার পাবে। সেই কারণেই অনেক পরিকল্পনা ছিল । ও আমার বোনের মতো । ওর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই বলতে পারি অনিন্দিতার মধ্যে কোনও লোভ কিংবা বিলাসিতা ছিলনা। এই নিয়ে আদালতে কোনও তথ্যও সেভাবে পেশ করতে পারেনি সরকারি আইনজীবী। যা হয়েছে সবই সাক্ষীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে। "

For All Latest Updates

TAGGED:

Anindita Dey
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.