ETV Bharat / state

exorcist murdered : ঝাড়ফুঁকে প্রতিকার না পাওয়ায় ওঝাকে খুন

লাল্টু জেরায় কবুল করে খুনের কথা ৷ সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য সুরেন্দ্রকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত ৷ ভূত ছাড়ানো থেকে সাপে কাটা বিভিন্ন বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করত ৷ এক জায়গায় তার এক পরিচিতের ঝাড়ফুঁক করতে গিয়ে হিতে বিপরীত করে দেওয়ায় রাগের বশে সুরেন্দ্রকে খুন করে সে ৷ পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি দেয় অভিযুক্ত লাল্টু।

Ojha murdered
ঝাড়ফুঁকে প্রতিকার না পাওয়ায় মদ খাইয়ে ওঝাকে খুন
author img

By

Published : Oct 19, 2021, 9:35 PM IST

নৈহাটি, 19 অক্টোবর : ঝাড়ফুঁকে কাজ না-হওয়ায় রাগে ওঝাকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃত ওঝার নাম সুরেন্দ্র চৌধুরীর (40)। সে নৈহাটির গরিফার বাসিন্দা ৷ গত 3 অক্টোবর বলাগড় থানার ডুমুরদহ ফুলপুকুর এলাকায় থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা রেল লাইনের পাশে নয়ানজুলিতে গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করে ৷ নৈহাটি থানায় সুরেন্দ্রের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ৷ পুলিশ পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানতে পারে, কার সঙ্গে থাকত ওই ওঝা ৷ সেখানে কল্যাণীর বাসিন্দা লাল্টু চৌধুরীর নাম উঠে আসে ৷ কাজের জন্য ওঝার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত লাল্টু ৷ সেই সন্দেহের বশে সোমবার লাল্টুকে কুন্তিঘাট থেকে আটক করে বলাগড় থানার পুলিশ ৷ ধৃত পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে ৷ তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ বলাগড় থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ওঝা

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন, " ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন অর্থাৎ 2 অক্টোবর সুরেন্দ্রকে ডুমুরদহ নিয়ে যায় লাল্টু ৷ সেখানে মদ খায় দুজনে ৷ তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে সুরেন্দ্রকে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়। সুরেন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, সে কার সঙ্গে মেলামেশা করত, তা জানতে পারে পুলিশ ৷ সেই সূত্র ধরে পুলিশ লাল্টুর খোঁজ পায় ৷ লাল্টু জেরায় কবুল করে খুনের কথা ৷ সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য সুরেন্দ্রকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত ৷ ভূত ছাড়ানো থেকে সাপে কাটা বিভিন্ন বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করত ৷ এক জায়গায় তার এক পরিচিতের ঝাড়ফুঁক করতে গিয়ে হিতে বিপরীত করে দেওয়ায় রাগের বশে সুরেন্দ্রকে খুন করে সে ৷ পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি দেয় অভিযুক্ত লাল্টু।

নৈহাটি, 19 অক্টোবর : ঝাড়ফুঁকে কাজ না-হওয়ায় রাগে ওঝাকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃত ওঝার নাম সুরেন্দ্র চৌধুরীর (40)। সে নৈহাটির গরিফার বাসিন্দা ৷ গত 3 অক্টোবর বলাগড় থানার ডুমুরদহ ফুলপুকুর এলাকায় থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা রেল লাইনের পাশে নয়ানজুলিতে গলা কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করে ৷ নৈহাটি থানায় সুরেন্দ্রের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ৷ পুলিশ পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানতে পারে, কার সঙ্গে থাকত ওই ওঝা ৷ সেখানে কল্যাণীর বাসিন্দা লাল্টু চৌধুরীর নাম উঠে আসে ৷ কাজের জন্য ওঝার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত লাল্টু ৷ সেই সন্দেহের বশে সোমবার লাল্টুকে কুন্তিঘাট থেকে আটক করে বলাগড় থানার পুলিশ ৷ ধৃত পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে ৷ তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ বলাগড় থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ কী কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : ঝাড়ফুঁকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ওঝা

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু বলেন, " ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন অর্থাৎ 2 অক্টোবর সুরেন্দ্রকে ডুমুরদহ নিয়ে যায় লাল্টু ৷ সেখানে মদ খায় দুজনে ৷ তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে সুরেন্দ্রকে খুন করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়। সুরেন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, সে কার সঙ্গে মেলামেশা করত, তা জানতে পারে পুলিশ ৷ সেই সূত্র ধরে পুলিশ লাল্টুর খোঁজ পায় ৷ লাল্টু জেরায় কবুল করে খুনের কথা ৷ সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য সুরেন্দ্রকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত ৷ ভূত ছাড়ানো থেকে সাপে কাটা বিভিন্ন বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করত ৷ এক জায়গায় তার এক পরিচিতের ঝাড়ফুঁক করতে গিয়ে হিতে বিপরীত করে দেওয়ায় রাগের বশে সুরেন্দ্রকে খুন করে সে ৷ পুলিশের কাছে এমনই স্বীকারোক্তি দেয় অভিযুক্ত লাল্টু।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.