ETV Bharat / state

দত্তপুকুরের জামালউদ্দিনের হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যায়

Ayodhya Ram Mandir: উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের জামালউদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিট্টুর কারখানায় তৈরি হয়েছে দু’টি ফাইবারের রামচন্দ্রের মূর্তি ৷ তা ইতিমধ্যে চলেও গিয়েছে অযোধ্যায় ৷ মূর্তি দু’টি অযোধ্যার রামমন্দিরেই থাকবে ৷ এই কাজ করতে পেরে খুশি জামালউদ্দিন ৷ তাছাড়া দত্তপুকুরের সৌরভ রায়ও অযোধ্যায় গিয়েছেন মন্দিরে ফাইবারের কাজ করার জন্য ৷

Ayodhya Ram Mandir
Ayodhya Ram Mandir
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 18, 2023, 3:03 PM IST

Updated : Dec 18, 2023, 7:25 PM IST

দত্তপুকুরের জামালউদ্দিনের হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যায়

দত্তপুকুর, 18 ডিসেম্বর: মাসখানেক পরই অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দিরের ৷ সেই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশের নাম ৷ তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের দত্তপুকুর ৷ উত্তর 24 পরগনার এই এলাকায় একটি কারখানায় তৈরি হয়েছে রামচন্দ্রের ফাইবারের দু’টি মূর্তি ৷ এই মূর্তি দু’টি শোভা পাবে রামমন্দিরে ৷

এই মূর্তি দু’টি তৈরি হয়েছে দত্তপুকুরের ফালদি এলাকার বিট্টু ফাইবার গ্লাস নামে একটি কারখানায় ৷ কারখানার মালিক জামালউদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিটুটর হাতেই গড়ে উঠেছে এই দু’টি মূর্তি ৷ 16-17 ফুটের ওই মূর্তি দু’টির একটি আট মাস আগে ও আরেকটি মাসতিনেক আগে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে দত্তপুকুর থেকে ৷

Ayodhya Ram Mandir
অযোধ্যায় যাওয়ার আগে দত্তপুকুরে রামচন্দ্রের মূর্তি

সুপ্রিম কোর্টে রামমন্দির মামলার রায় বের হওয়ার প্রায় চার বছর পর এই মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খুলতে চলেছে আগামী বছরের 22 জানুয়ারি ৷ উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাছাড়া উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের অনেক সাধু-সন্ত, বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ দু’টি ফাইবারের মূর্তি বানিয়ে সেই রাজসূয় যজ্ঞের শরিক হতে পেরে খুশি জামালউদ্দিন ৷

তিনি জানান, রামমন্দিরে তাঁর ও তাঁর ছেলের তৈরি দু’টি রামচন্দ্রের মূর্তি গিয়েছে, এটা তাঁর কাছে চরম সৌভাগ্যের ৷ মূর্তি দু’টির দাম কত, সেটাও জানিয়েছেন জামালউদ্দিন ৷ তাঁর কথায়, প্রথম যে মূর্তিটি অযোধ্যায় যায়, সেটার দাম 2 লক্ষ 80 হাজার টাকা ৷ আর দ্বিতীয় মূর্তিটির দাম আড়াই লক্ষ টাকা ৷

জামালউদ্দিন আরও জানান, উত্তরপ্রদেশে তাঁর এক বন্ধু রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরির প্রস্তাব দেন ৷ তার পর তাঁর সঙ্গে রামমন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত ট্রাস্টের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ ৷ মূর্তি নিয়ে যাওয়ার আগে অযোধ্যা থেকে বেশ কয়েকজন এসে বারাসতের একটি হোটেলে এসে প্রায় 20-25 দিন ছিলেন ৷ সেখান থেকেই তাঁরা কারখানায় এসে তদারকি করতেন কাজের ৷

জামালউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে মূর্তির তৈরির প্রশিক্ষণ নেন ৷ তার পর দত্তপুকুরে ফিরে কারখানা তৈরি করেন ৷ তাঁর হাত ধরেই ছেলে বিট্টু এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৷ দেশে তাঁর শিল্পের প্রশংসা আগেও পেয়েছেন জামালউদ্দিন ৷ তাঁর আশা, রামচন্দ্রের মূর্তির মাধ্যমে তাঁর কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে বিদেশেও ৷ শ্রীবৃদ্ধি হবে তাঁর ব্যবসার ৷

Ayodhya Ram Mandir
অযোধ্যায় যাওয়ার আগে দত্তপুকুরে রামচন্দ্রের মূর্তি

স্থানীয় বাসিন্দারাও খুশি তাঁদের এলাকায় কারখানা থেকে রামচন্দ্রের দু’টি অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য ৷ অধিকাংশেরই মতে, শিল্পীরা সবসময় ধর্মীয় বেড়ার ঊর্ধ্বে ৷ সেটাই আবার প্রমাণ করলেন দত্তপুকুরের জামালউদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিট্টু ৷

তবে শুধু এই বাবা-ছেলে নয়, দত্তপুকুরের বাসিন্দা আরও একজনের নাম জড়িয়ে গিয়েছে রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে ৷ তিনি সৌরভ রায় ৷ দত্তপুকুরের দিঘিরপাড় পালপাড়ার বাসিন্দা এই সৌরভও ফাইবারের কাজ করেন ৷ দত্তপুকুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন ৷ সেখান থেকেই একটি দলের সঙ্গে তিনি উত্তরপ্রদেশে চলে যান ৷ সৌরভ জানিয়েছেন, মজুরি বেশি হওয়ার জন্য তিনি এসেছেন ৷ সৌরভের বাবা-মা অবশ্য জানেন না যে ছেলে কী কাজে ভিনরাজ্য়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. 2024-এর জানুয়ারিতেই অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে রামমন্দির
  2. রামমন্দিরের প্রবেশদ্বারে মাকরানা মার্বেলের কারুকাজের দায়িত্বে মুসলিম কারিগররা
  3. শুরু রামমন্দিরের নির্মাণকাজ, ব্যবহার হবে না লোহা

দত্তপুকুরের জামালউদ্দিনের হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যায়

দত্তপুকুর, 18 ডিসেম্বর: মাসখানেক পরই অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দিরের ৷ সেই মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশের নাম ৷ তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের দত্তপুকুর ৷ উত্তর 24 পরগনার এই এলাকায় একটি কারখানায় তৈরি হয়েছে রামচন্দ্রের ফাইবারের দু’টি মূর্তি ৷ এই মূর্তি দু’টি শোভা পাবে রামমন্দিরে ৷

এই মূর্তি দু’টি তৈরি হয়েছে দত্তপুকুরের ফালদি এলাকার বিট্টু ফাইবার গ্লাস নামে একটি কারখানায় ৷ কারখানার মালিক জামালউদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিটুটর হাতেই গড়ে উঠেছে এই দু’টি মূর্তি ৷ 16-17 ফুটের ওই মূর্তি দু’টির একটি আট মাস আগে ও আরেকটি মাসতিনেক আগে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে দত্তপুকুর থেকে ৷

Ayodhya Ram Mandir
অযোধ্যায় যাওয়ার আগে দত্তপুকুরে রামচন্দ্রের মূর্তি

সুপ্রিম কোর্টে রামমন্দির মামলার রায় বের হওয়ার প্রায় চার বছর পর এই মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খুলতে চলেছে আগামী বছরের 22 জানুয়ারি ৷ উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাছাড়া উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের অনেক সাধু-সন্ত, বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ৷ দু’টি ফাইবারের মূর্তি বানিয়ে সেই রাজসূয় যজ্ঞের শরিক হতে পেরে খুশি জামালউদ্দিন ৷

তিনি জানান, রামমন্দিরে তাঁর ও তাঁর ছেলের তৈরি দু’টি রামচন্দ্রের মূর্তি গিয়েছে, এটা তাঁর কাছে চরম সৌভাগ্যের ৷ মূর্তি দু’টির দাম কত, সেটাও জানিয়েছেন জামালউদ্দিন ৷ তাঁর কথায়, প্রথম যে মূর্তিটি অযোধ্যায় যায়, সেটার দাম 2 লক্ষ 80 হাজার টাকা ৷ আর দ্বিতীয় মূর্তিটির দাম আড়াই লক্ষ টাকা ৷

জামালউদ্দিন আরও জানান, উত্তরপ্রদেশে তাঁর এক বন্ধু রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরির প্রস্তাব দেন ৷ তার পর তাঁর সঙ্গে রামমন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত ট্রাস্টের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ ৷ মূর্তি নিয়ে যাওয়ার আগে অযোধ্যা থেকে বেশ কয়েকজন এসে বারাসতের একটি হোটেলে এসে প্রায় 20-25 দিন ছিলেন ৷ সেখান থেকেই তাঁরা কারখানায় এসে তদারকি করতেন কাজের ৷

জামালউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ৷ তিনি হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে মূর্তির তৈরির প্রশিক্ষণ নেন ৷ তার পর দত্তপুকুরে ফিরে কারখানা তৈরি করেন ৷ তাঁর হাত ধরেই ছেলে বিট্টু এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৷ দেশে তাঁর শিল্পের প্রশংসা আগেও পেয়েছেন জামালউদ্দিন ৷ তাঁর আশা, রামচন্দ্রের মূর্তির মাধ্যমে তাঁর কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে বিদেশেও ৷ শ্রীবৃদ্ধি হবে তাঁর ব্যবসার ৷

Ayodhya Ram Mandir
অযোধ্যায় যাওয়ার আগে দত্তপুকুরে রামচন্দ্রের মূর্তি

স্থানীয় বাসিন্দারাও খুশি তাঁদের এলাকায় কারখানা থেকে রামচন্দ্রের দু’টি অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য ৷ অধিকাংশেরই মতে, শিল্পীরা সবসময় ধর্মীয় বেড়ার ঊর্ধ্বে ৷ সেটাই আবার প্রমাণ করলেন দত্তপুকুরের জামালউদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিট্টু ৷

তবে শুধু এই বাবা-ছেলে নয়, দত্তপুকুরের বাসিন্দা আরও একজনের নাম জড়িয়ে গিয়েছে রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে ৷ তিনি সৌরভ রায় ৷ দত্তপুকুরের দিঘিরপাড় পালপাড়ার বাসিন্দা এই সৌরভও ফাইবারের কাজ করেন ৷ দত্তপুকুরের একটি কারখানায় কাজ করতেন ৷ সেখান থেকেই একটি দলের সঙ্গে তিনি উত্তরপ্রদেশে চলে যান ৷ সৌরভ জানিয়েছেন, মজুরি বেশি হওয়ার জন্য তিনি এসেছেন ৷ সৌরভের বাবা-মা অবশ্য জানেন না যে ছেলে কী কাজে ভিনরাজ্য়ে গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. 2024-এর জানুয়ারিতেই অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলছে রামমন্দির
  2. রামমন্দিরের প্রবেশদ্বারে মাকরানা মার্বেলের কারুকাজের দায়িত্বে মুসলিম কারিগররা
  3. শুরু রামমন্দিরের নির্মাণকাজ, ব্যবহার হবে না লোহা
Last Updated : Dec 18, 2023, 7:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.