হাবরা, 31 অগাস্ট : উত্তর 24 পরগনার হাবরায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ । ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি । অবশেষে ডেঙ্গির উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি । আজ হাবরা শহরে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হয় ।
2017 সালের পর চলতি বছর হাবরায় ফের ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি ৷ সরকারি হিসেবে হাবরায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে 11 জনের মৃত্যু হয়েছে । হাবরার পাশাপাশি ডেঙ্গি ছড়িয়েছে গাইঘাটা, বনগাঁ ও দেগঙ্গাতে । উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার 76 লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে । হাবরা পৌরসভাতেই বরাদ্দ হয়েছে 48 লাখ টাকা । আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জনসচেতনতার প্রচার সব কিছুই করা হয়েছে । কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ৷
ডেঙ্গি ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা কোথায় কোথায় জন্মাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে অবশেষে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হল । শনিবার হাবরা শহরের স্টেশন চত্বর থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ৷ উপস্থিত ছিলেন ACMOH-2 কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, হাবরা পৌরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস । রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় জমা জলের সন্ধান মিলেছে । পৌরকর্মীরা সেখানে অভিযান চালাবেন বলে জানা গেছে ।
জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "ডেঙ্গি মোকাবিলায় আমরা সবরকম চেষ্টা করছি । কারও ছাদের উপর জল জমে আছে কি না বা যেখানে সবার নজর পড়ে না সে রকম জায়গায় জল জমে আছে কি না তা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছি । কারণ জমা জলেই এডিস মশা বংশবিস্তার করে । কোথাও জমা জল দেখতে পেলেই পৌরকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করবে ৷"
বারাসতের মহকুমাশাসক তথা হাবরা পৌরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, "কর্মীরা নিয়মিত নজরদারি রাখছেন । তবু আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না । আজ হাবরা শহরের 9 ও 13 নম্বর ওয়ার্ডের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে । পরে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে । কোথাও অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব ।"