বারাসত, 8 মার্চ : যাত্রী তোলা নিয়ে দুই বাসচালকের মধ্যে বচসার জের, এক বাসচালককে পিষে মারার অভিযোগ উঠল অপরজনের বিরুদ্ধে (Driver allegedly runs over bus on a man in Barasat) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের 34নং জাতীয় সড়কে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে ৷ যাত্রী তোলা নিয়ে দুই বাসচালক এবং কনডাক্টরের মধ্যে বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ ৷ আর সেই বচসার জেরে কমল সরকার নামে ওই বাসচালককে অপর বাসের চালক চাপা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ ঘটনার পর ঘাতক বাসটি ফেলে রেখে চালক ও কনডাক্টর সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান ওই রুটে চলাচলকারী অন্যান্য বাসের চালক এবং কনডাক্টররা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা-বহরমপুর রুটের একটি বাস গতকাল বিকেলে 34নং জাতীয় সড়কের উপরে বারাসত-ময়না চেক পোস্টের কাছে খারাপ হয়ে যায় ৷ সেটি সারানোর কাজ চলাকালীন সেখান দিয়ে কলকাতা-করিমপুর রুটের একটি বাস যাচ্ছিল ৷ সেই বাসটিকে দাঁড় করান কলকাতা-বহরমপুর রুটের চালক এবং কনডাক্টর ৷ তাঁরা নিজেদের বাসের করিমপুরের মধ্যে যাত্রীদের অপর বাসে তুলে নেওয়ার কথা বলে ৷ কিন্তু, কলকাতা-করিমপুর রুটের বাসের চালক ও কনডাক্টর যাত্রীদের তুলতে অস্বীকার করে ৷ এ নিয়ে দু’তরফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ৷
আরও পড়ুন : Road Accident at Santipur : 34 নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু লরি চালকের
অভিযোগ বচসা চলাকালীন কলকাতা-করিমপুর রুটের বাসচালক, তাঁর বাসটি কলকাতা-বহরমপুর রুটের বাসের চালকের উপর তুলে দেন ৷ ঘটনাস্থলেও মৃত্যু হয় কমল সরকার নামে ওই বাসচালকের ৷ প্রসঙ্গত, দুই তরফে তর্কাতর্কির মাঝেই অনেক লোক সেখানে জমা হয়ে গিয়েছিল ৷ এমনকি অন্যান্য রুটের বাসও সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে ৷ তাঁরা ঘাতক বাসটিকে তাড়া করলে, চালক এবং কনডাক্টর বাস ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিক্ষোভ করে অন্যান্য বাসচালক এবং অনডাক্টররা ৷ অভিযোগ চেকপোস্ট এবং জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে কীভাবে অভিযুক্ত চালক এবং কনডাক্টর পালাল ? সেই প্রশ্ন তুলেছে তাঁরা ৷ পরে বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ৷ পুলিশ বাস দু’টিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ৷ অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷