ETV Bharat / state

'উন্নয়ন'-এর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বারাসত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে

উন্নয়নের নামে নেওয়া বাস চালকদের থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা ৷ অথচ উন্নয়ন নেই বলেই অভিযোগ ৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বারাসতের তিতুমির কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের ঘটনা ৷ জেলা পরিষদের পক্ষে ওই টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷

তিতুমীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস
author img

By

Published : Nov 11, 2019, 5:55 PM IST

বারাসত, 11 নভেম্বর: টার্মিনাস থেকে বাস নিয়ে বেরোলেই 10 টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চালকদের হাতে ৷ যে যতবার যাত্রী সহ বাস নিয়ে বেরোবে, ততবার তাঁকে গুনতে হবে 10 টাকা করে ৷ শুধু, 10 টাকাই নয়, রাতে টার্মিনাসে বাস রাখলেও চালকদের আরও 50 টাকা করে গুনতে হয় ৷ সবটাই নেওয়া হয় 'উন্নয়নের' নামে ৷ ইচ্ছে না থাকলেও প্রতিদিন সেই টাকাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে বাসচালকদের ৷ অভিযোগ, টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস করতে পারেন না তাঁরা ৷ এটাই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বারাসতের তিতুমির কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে ৷ তবে,'উন্নয়নের' নামে বাস থেকে লাখ লাখ টাকা তোলা হলেও সেই উন্নয়নের নামগন্ধ নেই এই টার্মিনাসে ৷ অভিযোগ খোদ বাস চালকদের একাংশের ৷

প্রতিদিন এভাবেই 10 থেকে 15 হাজার টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ মাসে সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে কয়েক লাখ টাকা ৷ জেলা পরিষদের দাবি উন্নয়ন খাতে এই টাকা নেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেই টাকার সিংহভাগই তিতুমির বাস টার্মিনাসে খরচ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ বাস চালকদের একাংশ‌ই ৷ পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে শৌচাগার, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই প্রকট হয়ে উঠেছে এখানে ৷ যার জেরে ক্ষোভ রয়েছে বাস কর্মীদের মধ্যে ৷ তাঁরা এনিয়ে জেলা পরিষদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ৷ তবে,টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোন‌ও খামতি রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী ৷

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর , 2003 সালে বারাসত চাঁপাডালি মোড় সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয় তিতুমির বাস টার্মিনাস ৷ এখান থেকে প্রতিদিন 16-17 টি রুটের বেসরকারি বাস ছাড়াও বিভিন্ন রুটের সরকারি বাস চলাচল করে ৷ সরকারি ও বেসরকারি বাস মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় 100-এর উপরে ৷ এই টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদ ৷ সরকারি বাস থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়না ৷ অথচ,বেসরকারি বাস পিছু চালকদের প্রতিদিন টাকা দিতে হয় ৷ অভিযোগ, এই টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বেরনো কিংবা রাতে টার্মিনাসে বাস রাখা কোন‌ওটাই করতে পারেন না চালকরা ৷ কেউ, যাতে ফাঁকি দিয়ে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে না পারে, তার জন্য জেলা পরিষদের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও ৷ চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ তৎপর হলেও টার্মিনাসের উন্নয়নে সেই তৎপরতা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ ৷

বাসকর্মী থেকে নিত্যযাত্রীদের জন্য এখানে একটি মাত্রই জলের কল রয়েছে ৷ অভিযোগ, বেশ কয়েকটি জলের কল থাকলেও সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ শৌচাগার, জলনিকাশি ব্যবস্থা‌ও খুব খারাপ ৷ অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধের মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে বাসকর্মীদের ৷ টার্মিনাসের পাশেই জ‌ঞ্জালের স্তূপ ৷ নর্দমাগুলোও অপরিষ্কার ৷ L 238 বাসের চালক রবীন ঘোষ বলেন, "আমাদের প্রায় 50টির মতো বাস প্রতিদিন এই টার্মিনাস থেকে যাতায়াত করে ৷ জেলা পরিষদ এই টাকা নিলেও কী খাতে টাকা নেয়, তা জানা নেই ৷ পানীয় জল, শৌচাগার, নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই এখানে ভেঙে পড়েছে ৷" অজয় মিত্র নামে অপর এক বাস চালক বলেন, "আমি DN 16/1 রুটের বাস চালক ৷ প্রতিদিন টাকা দিতে হয় ৷ না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে দেওয়া হয় না ৷ অথচ, আমাদের এখানে কোন‌ও নিরাপত্তা নেই ৷ মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে ৷ নিরাপত্তারক্ষীকে বলতে গেলে জেলা পরিষদের কাছে অভিযোগ করতে বলেন ৷" টাইমকিপার সুশান্ত ঘোষ বলেন, "উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু,জেলা পরিষদের কাজে খামতি রয়েছে ৷ ঠিকমতো নজরদারিই করেন না তাঁরা ৷"

pic
টাকা নেওয়ার রসিদ

টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোনও খামতি নেই বলেই দাবি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীর ৷ তাঁর কথায়, "ওই বাস টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে জেলা পরিষদ রয়েছে ৷ এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে ৷ যে টাকা বাস থেকে নেওয়া হচ্ছে, সেই টাকার পুরোটাই নিরাপত্তারক্ষীদের মাইনে দিতে চলে যাচ্ছে ৷ কারণ, কয়েকশো বাস রয়েছে ৷ তাঁর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হয় ৷ তারপরও যদি উন্নয়ন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে, সেটা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব ৷"

বারাসত, 11 নভেম্বর: টার্মিনাস থেকে বাস নিয়ে বেরোলেই 10 টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চালকদের হাতে ৷ যে যতবার যাত্রী সহ বাস নিয়ে বেরোবে, ততবার তাঁকে গুনতে হবে 10 টাকা করে ৷ শুধু, 10 টাকাই নয়, রাতে টার্মিনাসে বাস রাখলেও চালকদের আরও 50 টাকা করে গুনতে হয় ৷ সবটাই নেওয়া হয় 'উন্নয়নের' নামে ৷ ইচ্ছে না থাকলেও প্রতিদিন সেই টাকাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে বাসচালকদের ৷ অভিযোগ, টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস করতে পারেন না তাঁরা ৷ এটাই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বারাসতের তিতুমির কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে ৷ তবে,'উন্নয়নের' নামে বাস থেকে লাখ লাখ টাকা তোলা হলেও সেই উন্নয়নের নামগন্ধ নেই এই টার্মিনাসে ৷ অভিযোগ খোদ বাস চালকদের একাংশের ৷

প্রতিদিন এভাবেই 10 থেকে 15 হাজার টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ মাসে সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে কয়েক লাখ টাকা ৷ জেলা পরিষদের দাবি উন্নয়ন খাতে এই টাকা নেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেই টাকার সিংহভাগই তিতুমির বাস টার্মিনাসে খরচ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ বাস চালকদের একাংশ‌ই ৷ পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে শৌচাগার, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই প্রকট হয়ে উঠেছে এখানে ৷ যার জেরে ক্ষোভ রয়েছে বাস কর্মীদের মধ্যে ৷ তাঁরা এনিয়ে জেলা পরিষদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ৷ তবে,টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোন‌ও খামতি রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী ৷

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর , 2003 সালে বারাসত চাঁপাডালি মোড় সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয় তিতুমির বাস টার্মিনাস ৷ এখান থেকে প্রতিদিন 16-17 টি রুটের বেসরকারি বাস ছাড়াও বিভিন্ন রুটের সরকারি বাস চলাচল করে ৷ সরকারি ও বেসরকারি বাস মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় 100-এর উপরে ৷ এই টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদ ৷ সরকারি বাস থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়না ৷ অথচ,বেসরকারি বাস পিছু চালকদের প্রতিদিন টাকা দিতে হয় ৷ অভিযোগ, এই টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বেরনো কিংবা রাতে টার্মিনাসে বাস রাখা কোন‌ওটাই করতে পারেন না চালকরা ৷ কেউ, যাতে ফাঁকি দিয়ে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে না পারে, তার জন্য জেলা পরিষদের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও ৷ চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ তৎপর হলেও টার্মিনাসের উন্নয়নে সেই তৎপরতা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ ৷

বাসকর্মী থেকে নিত্যযাত্রীদের জন্য এখানে একটি মাত্রই জলের কল রয়েছে ৷ অভিযোগ, বেশ কয়েকটি জলের কল থাকলেও সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ শৌচাগার, জলনিকাশি ব্যবস্থা‌ও খুব খারাপ ৷ অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধের মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে বাসকর্মীদের ৷ টার্মিনাসের পাশেই জ‌ঞ্জালের স্তূপ ৷ নর্দমাগুলোও অপরিষ্কার ৷ L 238 বাসের চালক রবীন ঘোষ বলেন, "আমাদের প্রায় 50টির মতো বাস প্রতিদিন এই টার্মিনাস থেকে যাতায়াত করে ৷ জেলা পরিষদ এই টাকা নিলেও কী খাতে টাকা নেয়, তা জানা নেই ৷ পানীয় জল, শৌচাগার, নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই এখানে ভেঙে পড়েছে ৷" অজয় মিত্র নামে অপর এক বাস চালক বলেন, "আমি DN 16/1 রুটের বাস চালক ৷ প্রতিদিন টাকা দিতে হয় ৷ না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে দেওয়া হয় না ৷ অথচ, আমাদের এখানে কোন‌ও নিরাপত্তা নেই ৷ মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে ৷ নিরাপত্তারক্ষীকে বলতে গেলে জেলা পরিষদের কাছে অভিযোগ করতে বলেন ৷" টাইমকিপার সুশান্ত ঘোষ বলেন, "উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু,জেলা পরিষদের কাজে খামতি রয়েছে ৷ ঠিকমতো নজরদারিই করেন না তাঁরা ৷"

pic
টাকা নেওয়ার রসিদ

টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোনও খামতি নেই বলেই দাবি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীর ৷ তাঁর কথায়, "ওই বাস টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে জেলা পরিষদ রয়েছে ৷ এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে ৷ যে টাকা বাস থেকে নেওয়া হচ্ছে, সেই টাকার পুরোটাই নিরাপত্তারক্ষীদের মাইনে দিতে চলে যাচ্ছে ৷ কারণ, কয়েকশো বাস রয়েছে ৷ তাঁর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হয় ৷ তারপরও যদি উন্নয়ন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে, সেটা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব ৷"

Intro:টার্মিনাস থেকে বাস নিয়ে বেরলেই ১০ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে চালকদের হাতে!যে যতবার যাত্রী নিয়ে ট্রিপের জন্য বাস নিয়ে বেরবে, ততবার তাকে গুনতে হবে ১০ টাকা করেই! শুধু,১০ টাকাই নয়,রাতে টার্মিনাসে বাস রাখলেও চালকদের আরও ৫০ টাকা করে গুনতে হয়!সবটাই নেওয়া হয় "উন্নয়নের" নামে! ইচ্ছে না থাকলেও প্রতিদিন সেই টাকাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে বাস চালকদের!অভিযোগ,টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস করার আগে দু-বার ভাবতে হয় তাঁদের!এটাই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃনমূল পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বারাসত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে!তবে,"উন্নয়নের" নামে বাস থেকে লাখ লাখ টাকা তোলা হলেও সেই উন্নয়নের ছিঁটে ফোঁটা নেই এই টার্মিনাসে! এমনটাই অভিযোগ খোদ বাস চালকদের একাংশের!Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-টার্মিনাস থেকে বাস নিয়ে বেরলেই ১০ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাস চালকদের হাতে!যে যতবার যাত্রী নিয়ে ট্রিপের জন্য বাস নিয়ে বেরবে,ততবার‌ তাকে দিতে হবে ১০ টাকা করেই!এটাই তৃনমূল পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তিতুমীর বাস টার্মিনাসে রোজকার নিয়ম!ইচ্ছে না থাকলেও সেই টাকাই এখন বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে বাস চালকদের!অভিযোগ,শুধু ১০ টাকা‌ই নয়,রাতে টার্মিনাসে বাস রাখলেও চালকদের গুনতে হয় আরও ৫০ টাকা করে!প্রতিদিন এভাবেই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ!মাসে সেই টাকার পরিমান দাঁড়াচ্ছে কয়েক লাখ!জেলা পরিষদ উন্নয়ন খাতে এই টাকা নেওয়ার দাবি করলেও টাকা নেওয়ার কারন এখনও জানা নেই বাস চালকদের!তবে,জেলা পরিষদ উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়ার দাবি করলেও সেই টাকার সিংহভাগই তিতুমীর বাস টার্মিনাসে খরচ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ বাস চালকদের একাংশ‌ই!পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে শৌচাগার,বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই প্রকট হয়ে উঠেছে এখানে!যার জেরে ব‍্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এই টার্মিনাসের বাস কর্মীদের মধ্যে!তাঁরা এনিয়ে জেলা পরিষদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন!তবে,টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোন‌ও খামতি রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী! স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে,২০০৩ সালে বারাসত চাঁপাডালি মোড় সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয় তিতুমীর বাস টার্মিনাস!এখান থেকে প্রতিদিন ১৬-১৭ টি রুটের বেসরকারি বাস ছাড়াও বিভিন্ন রুটের সরকারি বাস চলাচল করে! সরকারি ও বেসরকারি বাস মিলিয়ে প্রায় একশোর ওপরে বাস যাতায়াত করে!এই টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে তৃনমূল পরিচালিত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ!সরকারি বাস থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়না!অথচ,বেসরকারি বাস পিছু চালকদের প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে ৬০(১০+৫০) টাকা করে!অভিযোগ,এই টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বেরনো কিংবা রাতে টার্মিনাসে বাস রাখা কোন‌ওটাই করতে পারেন না চালকরা!কেউ,যাতে ফাঁকি দিয়ে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে না পারে, তারজন্য জেলা পরিষদের তরফে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও! চালকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ তৎপর হলেও টার্মিনাসের উন্নয়নে সেই তৎপরতা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ!বাসকর্মী থেকে নিত্যযাত্রীদের জন্য এখানে একটি মাত্রই হ্যান্ড কল!বেশ কয়েকটি জলের কল থাকলেও সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে! ফলে,ওই হ্যান্ড কল‌ই এখন ভরসা তাঁদের!যা লোকসংখ্যার তুলনায় নগন্য!শৌচাগার,জল নিকাশী ব্যবস্থা‌ও মুখ থুবড়ে পড়েছে!অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধের মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে বাস কর্মীদের! টার্মিনাসের পাশেই জ‌ঞ্জালের স্তূপ!ড্রেনগুলো অপরিষ্কার থাকায় যে কোনও রোগ ছড়ানোর সম্ভবনাও রয়েছে!প্রতিনিয়ত আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাস কর্মীদের!এল ২৩৮ বাসের চালক রবীন ঘোষ বলেন,"আমাদের প্রায় ৫০ টির মতো বাস প্রতিদিন এই টার্মিনাস থেকে যাতায়াত করে!জেলা পরিষদ এই টাকা নিলেও কি খাতে টাকা নেয়,তা জানা নেই!পানীয় জল, শৌচাগার, নিকাশি ব্যবস্থা সবকিছুই এখানে ভেঙে পড়েছে"!অজয় মিত্র নামে অপর এক বাস চালক বলেন,"আমি ডি এন ১৬/১ রুটের বাস চালক! আমাকে প্রতিদিন ৭০ টাকা করে গুনতে হয়!এই টাকা না দিলে টার্মিনাস থেকে বাস বের করতে দেবেনা!অথচ, আমাদের এখানে কোন‌ও নিরাপত্তা নেই! মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে! নিরাপত্তারক্ষীকে বলতে গেলে জেলা পরিষদের কাছে অভিযোগ করতে বলে!আমরা বাস চালাব,নাকি অভিযোগ করতে যাব"!টাইম কিপার সুশান্ত ঘোষ বলেন,"উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে ঠিকই! কিন্তু,জেলা পরিষদের তাতে খামতি রয়েছে! ঠিকমতো নজরদারিই করেনা তাঁরা! ভগবানের ভরসাতেই চলছে তিতুমীর টার্মিনাস"!এদিকে,বাস পিছু টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোন‌ও রকম খামতি রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী! তিনি বলেন,ওই টার্মিনাসটি দীর্ঘদিনের পুরনো!এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে জেলা পরিষদ!বাস চালকদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়,তার পুরোটাই নিরাপত্তারক্ষীদের মাইনে দিতে চলে যায়!তারপরেও ওখানে পর্যাপ্ত শৌচাগার,জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে! যদি,কোনও খামতি থাকে,সেটা অবশ্যই আমরা দেখব"!Conclusion:টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উন্নয়নে কোনও খামতি নেই বলেই দাবি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামীর! তাঁর কথায়,"ওই বাস টার্মিনাসের তত্ত্বাবধানে জেলা পরিষদ রয়েছে!ওই নিয়ম আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে!সেটা নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত হয়েছে!যে টাকা বাস থেকে নেওয়া হচ্ছে,সেই টাকার পুরোটাই নিরাপত্তারক্ষীদের মাইনে দিতে চলে যাচ্ছে!কারন, কয়েকশো বাস,তাঁর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হয় আমাদের! তারপরেও যদি উন্নয়ন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে,সেটা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব"!
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.