দেগঙ্গা, 24 অক্টোবর: নতুন করে করোনা সংক্রমণ যেমন ঊর্ধ্বমুখী, তেমনই ডেঙ্গির প্রকোপ ঘিরেও উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে ৷ কিন্তু দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছবি ধরা পড়ল ৷ প্রায় এক মাস ধরে সেখানে ম্যাকএলাইজা অর্থাৎ ডেঙ্গি পরীক্ষার যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে ৷ ফলে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এলেও, ডেঙ্গি পরীক্ষাই হচ্ছে না রোগীদের ৷ বরং অন্যত্র মোটা টাকা খরচ করে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হচ্ছে সকলকে ৷
একদিকে অতিমারিতে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়, সেই সময় ডেঙ্গি পরীক্ষার যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ যে বাড়ছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও ৷ দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা ৷ যন্ত্রটি মেরামত করতে উদ্যোগী হতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে থাকা সত্ত্বেও নড়েচড়ে বসতে এত সময় লাগল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও ৷ তাঁদের অভিযোগ, জ্বর নিয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন ৷ বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার যন্ত্র ওই একটিই ছিল ৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটি খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সকলে ৷ সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গি, তা বোঝারই উপায় নেই ৷ যাঁদের সাধ্য রয়েছে, তাঁরা মোটা টাকা খরচ করে অন্যত্র পরীক্ষা করাচ্ছেন ৷ বাকিরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন জ্বর নিয়েই ৷ কেন এই গা ছাড়া মনোভাব, তার যদিও সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনের কাছ থেকে ৷
এর আগে, 2007 সালে অজানা জ্বরে দেগঙ্গা ব্লকে 200-র বেশি মানুষ প্রাণ হারান ৷ এর পর ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হাসপাতালে ম্যাকএলাইজা যন্ত্র বসাতে উদ্যোগী হন ৷ 20 লক্ষ টাকা খরচ করে তড়িঘড়ি ওই যন্ত্র বসানো হয় হাসপাতালে ৷ তাতে দেগঙ্গার 13টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছিলেন ৷ কিন্তু সেটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সকলে ৷
আরও পড়ুন: Lost Young Boy Returned Home : 22 বছর পর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় মা-ছেলের মিলন