ETV Bharat / state

হাবড়ায় দম্পতি খুনে অবশেষে গ্রেপ্তার মেয়ে - Habra murder

খুনের ঘটনায় 24 সেপ্টেম্বর জামাই বান্টি সাধুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । পরে বান্টির সহযোগী সুপারি কিলার অজয় দাসকেও পুলিশ গেপ্তার করে । 26 সেপ্টেম্বর বান্টি সাধু ও অজয়কে নিয়ে পুলিশ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল । সেই সময় নিবেদিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিল । সম্প্রতি তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়েছে । অবশেষে ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে বাবা-মায়ের খুনের ঘটনায় মেয়ে নিবেদিতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল ।

Habra couple murder case
হাবড়ায় দম্পতি খুনে গ্রেপ্তার মেয়ে
author img

By

Published : Nov 29, 2020, 8:48 AM IST

হাবড়া , 29 নভেম্বর : হাবড়ায় দম্পতি খুনের ঘটনার আড়াই মাস পরে অবশেষে গ্রেপ্তার মেয়ে । শনিবার হাবড়া থানার জয়গাছির শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত নিবেদিতা সাধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতকে 14 দিন জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক । পাশাপাশি খুনের আগে ও পরে মোবাইলে সে যাদের সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই ভয়েজ় ক্লিপগুলি পুলিশ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছে । পুলিশের দাবি, বাপের বাড়ির সম্পত্তির লোভেই মেয়ে ও জামাই পরিকল্পনা করে খুন করেছিল ।

15 সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতে উত্তর 24 পরগনার হাবড়া টুনিঘাটা মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মণ্ডল (58) ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে (51) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় । ওইদিন রাতে কলপাড়ে কিছু একটা শব্দ শুনে রামকৃষ্ণবাবু ও তাঁর স্ত্রী লীলাদেবী চোর এসেছে সন্দেহে বাইরে বের হন । কলপাড়ের কাছে যেতে আততায়ীরা প্রথম লীলাদেবী ও পরে রামকৃষ্ণবাবুর বুকে গুলি করে । ঘটনাস্থানেই লীলাদেবীর মৃত্যু হয় । হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণবাবুরও । খুনের মোটিভ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত দম্পতির মেয়ে নিবেদিতা সাধু ও জামাই বান্টি সাধু পুলিশকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল । মৃতের পরিবার পাশের কাশীপুর কলতলা এলাকার যুবক তন্ময় বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল । কারণ হিসেবে তারা বলেছিল , রামকৃষ্ণবাবুর ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্ক নিয়ে গোলমাল চলছিল । প্রতিশোধ নিতে তন্ময়ই নাকি ওই দম্পতিকে খুন করেছিল ।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তন্ময় আতঙ্কে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান । যদিও দু'দিন পরেই পুলিশ ব্যারাকপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে । হেপাজতে নিয়ে তন্ময়কে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তন্ময় ওই দম্পতি খুনে জড়িত নয় । পুলিশ তখন অন্য পথে তদন্ত শুরু করে । বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্পত্তির লোভে জামাই বান্টি ও মেয়ে নিবেদিতা অজয় দাস নামে এক ভাড়াটে খুনিকে সুপারি দিয়ে ওই দম্পতিকে খুন করেছে । 24 সেপ্টেম্বর জামাই বান্টি সাধুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । পরে বান্টির সহযোগী সুপারি কিলার অজয় দাসকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে । 26 সেপ্টেম্বর বান্টি সাধু ও অজয়কে নিয়ে পুলিশ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল । সেই সময় নিবেদিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিল । সম্প্রতি তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়েছে । অবশেষে ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে বাবা-মায়ের খুনের ঘটনায় মেয়ে নিবেদিতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল ।

হাবড়া , 29 নভেম্বর : হাবড়ায় দম্পতি খুনের ঘটনার আড়াই মাস পরে অবশেষে গ্রেপ্তার মেয়ে । শনিবার হাবড়া থানার জয়গাছির শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত নিবেদিতা সাধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতকে 14 দিন জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক । পাশাপাশি খুনের আগে ও পরে মোবাইলে সে যাদের সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই ভয়েজ় ক্লিপগুলি পুলিশ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছে । পুলিশের দাবি, বাপের বাড়ির সম্পত্তির লোভেই মেয়ে ও জামাই পরিকল্পনা করে খুন করেছিল ।

15 সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতে উত্তর 24 পরগনার হাবড়া টুনিঘাটা মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মণ্ডল (58) ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে (51) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় । ওইদিন রাতে কলপাড়ে কিছু একটা শব্দ শুনে রামকৃষ্ণবাবু ও তাঁর স্ত্রী লীলাদেবী চোর এসেছে সন্দেহে বাইরে বের হন । কলপাড়ের কাছে যেতে আততায়ীরা প্রথম লীলাদেবী ও পরে রামকৃষ্ণবাবুর বুকে গুলি করে । ঘটনাস্থানেই লীলাদেবীর মৃত্যু হয় । হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণবাবুরও । খুনের মোটিভ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য মৃত দম্পতির মেয়ে নিবেদিতা সাধু ও জামাই বান্টি সাধু পুলিশকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছিল । মৃতের পরিবার পাশের কাশীপুর কলতলা এলাকার যুবক তন্ময় বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল । কারণ হিসেবে তারা বলেছিল , রামকৃষ্ণবাবুর ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে তন্ময়ের সম্পর্ক নিয়ে গোলমাল চলছিল । প্রতিশোধ নিতে তন্ময়ই নাকি ওই দম্পতিকে খুন করেছিল ।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তন্ময় আতঙ্কে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান । যদিও দু'দিন পরেই পুলিশ ব্যারাকপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে । হেপাজতে নিয়ে তন্ময়কে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তন্ময় ওই দম্পতি খুনে জড়িত নয় । পুলিশ তখন অন্য পথে তদন্ত শুরু করে । বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্পত্তির লোভে জামাই বান্টি ও মেয়ে নিবেদিতা অজয় দাস নামে এক ভাড়াটে খুনিকে সুপারি দিয়ে ওই দম্পতিকে খুন করেছে । 24 সেপ্টেম্বর জামাই বান্টি সাধুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে । পরে বান্টির সহযোগী সুপারি কিলার অজয় দাসকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে । 26 সেপ্টেম্বর বান্টি সাধু ও অজয়কে নিয়ে পুলিশ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল । সেই সময় নিবেদিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিল । সম্প্রতি তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়েছে । অবশেষে ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে বাবা-মায়ের খুনের ঘটনায় মেয়ে নিবেদিতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.