হাবড়া, 31 মে : সকাল থেকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তাল কাটল ব্যাংক গিয়ে! স্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাংক টাকা তুলতে গিয়ে অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ দিন আনা দিন খাওয়া এক যুবকের (Crore rupees credited in labour bank account)।
এই যুবকের নাম সুদীপ্ত হাজরা ৷ তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হঠাৎই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে ৷ হাজার, লক্ষ নয় এ টাকার অঙ্কের সংখ্যাটা কোটি ৷ দিন আনা দিন খাওয়া ওই যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কীভাবে কোটি কোটি টাকা ঢুকল? কে পাঠাল বিপুল পরিমাণ এই টাকা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে যুবকের মাথায়। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে তাঁর। কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষে হাবড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন দিনমজুর সুদীপ্ত। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মাঠে ঘাটে কাজ করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে তাঁর। সেখানে হঠাৎই এতগুলো টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকায় এক অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। অবাক এই কাণ্ডে হতভম্ব গ্রামের বাসিন্দারাও। তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে ওই দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকল? অদ্ভূত এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে শেষে বাসিন্দাদের পরামর্শে ওই দিনমজুর যুবক ছুটে গিয়েছেন হাবড়া থানায়। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনাটি অবগত করা হয়েছে পুলিশকে। সেই মতো পুলিশও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে আবদুলের অ্যাকাউন্টে ! কোচবিহারে শোরগোল
এই বিষয়ে যুবকের আত্মীয় পলাশ হাজরা বলেন,"সুদীপ্ত সম্পর্কে আমার কাকার ছেলে হয়। ও আগে পাইপ লাইনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে দিনমজুরের কাজ করে। দু'পয়সা রোজগারের আশায় একসময় ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিয়েছিল সুদীপ্ত। কিন্তু মা মারা যাওয়ার কারণে মাস চারেক আগে সেখান থেকে চলে এসেছে। আর যাওয়া হয়নি ভিন রাজ্যের কর্ম ক্ষেত্রে। এখানেই দিনমজুরের কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালায় ৷ ফলে, এরকম আজব ঘটনায় আমরাও তাজ্জব।"
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া না মিললেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কোনও ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।