ETV Bharat / state

ভরা কোটালের জের, হিঙ্গলগঞ্জে কালিন্দী নদীর তিনশো ফুটের বাঁধে ফাটল

শনিবার সকাল থেকেই জোরকদমে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতের কাজ‌ । এই বিষয়ে আমরিয়া গ্রামসভার তৃণমূল সভাপতি নিশিকান্ত জোয়ারদার বলেন, "যশ এবং কোটালের জেরে কালিন্দী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢোকার সম্ভবনা রয়েছে । তাই, তড়িঘড়ি ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতে হাত দেওয়া হয়েছে ।"

River Embankment crack in Kalindi
ছবি
author img

By

Published : Jun 26, 2021, 7:20 PM IST

হিঙ্গলগঞ্জ, 26 জুন : পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলস্তর বেড়েছে কালিন্দী নদীতে ৷ প্রায় তিনশো ফুট বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে । এর জেরে রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর । শনিবার সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতে হাত লাগিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামবাসীরা । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটির বস্তা, প্লাস্টিক, ইট এবং বাঁশ দিয়ে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ । তারপরও আশঙ্কা কাটছে না হিঙ্গলগঞ্জের আমরিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের । জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর জল উপচে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় তটস্থ গ্রামবাসীরা । সেরকম হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না সুন্দরবনবাসী । যদিও প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।

যশের দগদগে ক্ষত এখনও শুকোয়নি । তার মধ্যেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো শনিবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল । এর ফলে জলস্তর বাড়তে পারে সুন্দরবন লাগোয়া বিভিন্ন নদীগুলিতে । সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । আতঙ্কে ঘুম উড়েছে রাতের । ইতিমধ্যে কোটালের প্রভাবে নদীতে যে জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । নবান্নের নির্দেশে হলুদ সর্তকতা জারি করে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সজাগ রয়েছে প্রশাসনও ।

আরও পড়ুন : বাড়ি ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত বৃদ্ধা, মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ বিডিওকে

যশের তাণ্ডবে সবকিছু হারিয়ে এমনিতেই সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের । এখনও সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁর অধিকাংশ এলাকায় জল নামেনি । বানভাসি মানুষের অনেকে এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি । আশ্রয় নিতে হয়েছে বাঁধের উঁচু জায়গায় । এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণিমার ভরা কোটালের ভ্রুকুটিতে কার্যত দিশেহারা অবস্থা সুন্দরবনের দুর্গত মানুষের । প্রশাসন পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কোটালের জেরে প্লাবনের আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দুর্গত মানুষজন । তাঁদের কথায়, পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে শুক্রবার রাত থেকেই সুন্দরবনের নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে । কালিন্দী নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে । যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে । নতুন করে জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।

এদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় কালিন্দী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সান্ডেরবিল পঞ্চায়েত ‌ ‌। শনিবার সকাল থেকেই জোরকদমে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ‌ । এই বিষয়ে আমরিয়া গ্রামসভার তৃণমূল সভাপতি নিশিকান্ত জোয়ারদার বলেন, "যশ এবং কোটালের জেরে কালিন্দী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢোকার সম্ভবনা রয়েছে । তাই, তড়িঘড়ি ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতে হাত দেওয়া হয়েছে । আমরা চাই, কাঁচা বাঁধের পরিবর্তে কংক্রিটের পাকা বাঁধ করা হোক । তাহলেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মিটবে ।"

আরও পড়ুন : ডায়মন্ডহারবারে নদীবাঁধ পরিদর্শনে জেলাশাসক, ত্রাণ বিলি যশ দুর্গতদের

চলতি মাসের 11 ও 26 তারিখে পরপর দু‘টি কোটালের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া অফিস । ইতিমধ্যে 11 জুন অমাবস্যার ভরা কোটাল বয়ে গিয়েছে যশ বিধ্বস্ত সুন্দরবনে । তবে সে যাত্রায় বড় কোনও ক্ষতি না হলেও আজকের পূর্ণিমার ভরা কোটালে প্লাবনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা ।

হিঙ্গলগঞ্জ, 26 জুন : পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলস্তর বেড়েছে কালিন্দী নদীতে ৷ প্রায় তিনশো ফুট বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে । এর জেরে রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর । শনিবার সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতে হাত লাগিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামবাসীরা । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটির বস্তা, প্লাস্টিক, ইট এবং বাঁশ দিয়ে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ । তারপরও আশঙ্কা কাটছে না হিঙ্গলগঞ্জের আমরিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের । জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর জল উপচে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় তটস্থ গ্রামবাসীরা । সেরকম হলে কী করবেন, কোথায় যাবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না সুন্দরবনবাসী । যদিও প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।

যশের দগদগে ক্ষত এখনও শুকোয়নি । তার মধ্যেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো শনিবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল । এর ফলে জলস্তর বাড়তে পারে সুন্দরবন লাগোয়া বিভিন্ন নদীগুলিতে । সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা । আতঙ্কে ঘুম উড়েছে রাতের । ইতিমধ্যে কোটালের প্রভাবে নদীতে যে জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । নবান্নের নির্দেশে হলুদ সর্তকতা জারি করে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সজাগ রয়েছে প্রশাসনও ।

আরও পড়ুন : বাড়ি ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত বৃদ্ধা, মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ বিডিওকে

যশের তাণ্ডবে সবকিছু হারিয়ে এমনিতেই সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দাদের । এখনও সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁর অধিকাংশ এলাকায় জল নামেনি । বানভাসি মানুষের অনেকে এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি । আশ্রয় নিতে হয়েছে বাঁধের উঁচু জায়গায় । এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণিমার ভরা কোটালের ভ্রুকুটিতে কার্যত দিশেহারা অবস্থা সুন্দরবনের দুর্গত মানুষের । প্রশাসন পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কোটালের জেরে প্লাবনের আশঙ্কার প্রহর গুনছেন দুর্গত মানুষজন । তাঁদের কথায়, পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে শুক্রবার রাত থেকেই সুন্দরবনের নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে । কালিন্দী নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে । যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে । নতুন করে জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।

এদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় কালিন্দী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সান্ডেরবিল পঞ্চায়েত ‌ ‌। শনিবার সকাল থেকেই জোরকদমে চলছে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতের কাজ‌ । এই বিষয়ে আমরিয়া গ্রামসভার তৃণমূল সভাপতি নিশিকান্ত জোয়ারদার বলেন, "যশ এবং কোটালের জেরে কালিন্দী নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দিয়ে জল ঢোকার সম্ভবনা রয়েছে । তাই, তড়িঘড়ি ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামতে হাত দেওয়া হয়েছে । আমরা চাই, কাঁচা বাঁধের পরিবর্তে কংক্রিটের পাকা বাঁধ করা হোক । তাহলেই দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মিটবে ।"

আরও পড়ুন : ডায়মন্ডহারবারে নদীবাঁধ পরিদর্শনে জেলাশাসক, ত্রাণ বিলি যশ দুর্গতদের

চলতি মাসের 11 ও 26 তারিখে পরপর দু‘টি কোটালের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া অফিস । ইতিমধ্যে 11 জুন অমাবস্যার ভরা কোটাল বয়ে গিয়েছে যশ বিধ্বস্ত সুন্দরবনে । তবে সে যাত্রায় বড় কোনও ক্ষতি না হলেও আজকের পূর্ণিমার ভরা কোটালে প্লাবনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.