বারাসত, 25 সেপ্টেম্বর:"এটা আত্মহত্যা নয় । সরকারের অপদার্থতা ও দুর্নীতির কারণে নির্মম সংগঠিত একটা হত্যা ।" বাদুড়িয়ায় প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী রাজু গাজির রহস্য মৃত্যু প্রসঙ্গে এই মন্তব্যই করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ৷ রবিবার বারাসতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে তিনি বলেন,"ওই যুবক 2017 সালে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় বসেছিল । প্রায় 82 শতাংশ নম্বরও পেয়েছিল সে । অথচ শিক্ষিত ওই যুবক চাকরি পায়নি । 2017 সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি । আরও পাঁচটা বছর কেটে গেল । এভাবে যুবকের জীবন থেকে 5 বছর, 10 বছর করে কেড়ে নিচ্ছে এই রাজ্য সরকার । শিক্ষিত যুবকদের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে ৷"
সুজন চক্রবর্তীর কথায়,"চাকরি বিক্রির লুঠের টাকায় তৃণমূল নেতারা তাঁদের সম্পত্তি বাড়িয়ে চলেছে । আর শিক্ষিত হয়েও চাকরি না পেয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবককে আত্মহুতি দিতে হচ্ছে । আমি মনে করি, এটা আত্মহত্যা নয় । যুবকের বিরুদ্ধে নির্মম অত্যাচার সরকারের । সরকার দ্বারা নির্মম সংগঠিত হত্যা । এইভাবে প্রতিনিয়ত রাজ্যের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার । মানুষ এর বিরুদ্ধে জেগে উঠছে । কিন্তু,তারপরও ওই যুবকের জীবনের দাম কী কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে ? যারা চাকরি বিক্রির টাকা লুঠ করেছে সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরাও কি পারবে যুবকের জীবন ফিরিয়ে দিতে ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছে । আরেকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই, ইডির হাত থেকে । এসব বেশিদিন চলতে পারে না ৷"
আরও পড়ুন: দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় কলম ধরে অভিষেকের ঘোষণা - 'লড়াই চলবে'
এদিকে,মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বিরোধীদের হুমকি দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ি করেছেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty criticises TMC Leadership)। তাঁর মতে,"মুখ্যমন্ত্রী যদি জিভ টেনে ছিড়ে নেওয়ার কথা বলতে পারেন । তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কপাল লক্ষ্য করে গুলি করার কথা বলতে পারেন । তাহলে আর মালদার তৃণমূল নেতার দোষ কোথায় ! যত উস্কানি এবং কড়া কথা বলতে পারবেন,তত তৃণমূলের নেতারা খুশি হবেন । এই সমস্ত শক্তিকে কীভাবে দমাতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ । তাই, মালদার তৃণমূল নেতারা যেন সতর্ক হন ৷"