ETV Bharat / state

"সততার হোর্ডিং আর নেই", মমতাকে আক্রমণ সুশান্ত ঘোষের - বারাসত

সুশান্ত ঘোষ বলেন, "দিল্লির উনি (রাজ্যপাল) ও রাজ্যের ইনি (মুখ্যমন্ত্রী), দু'জনেই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন । দু'জনের জিনিস দু'জনে কীভাবে বিক্রি করবেন, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে নিয়েছেন ৷ দেশের মানুষ বুঝেছেন । রাজ্যের মানুষও বুঝেছেন । সময়ের অপেক্ষা ৷"

Sushanta Ghosh
সুশান্ত ঘোষ
author img

By

Published : Feb 6, 2020, 11:32 PM IST

বারাসত, 6 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লোক দেখানো ৷ দু'জনেই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন । সেই মতো চলছেন ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরোনো একটি রাজনৈতিক মামলার হাজিরা দিতে এসে এই মন্তব্য করেন CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষ ।

বলেন, "দিল্লির উনি (রাজ্যপাল) ও রাজ্যের ইনি (মুখ্যমন্ত্রী), দু'জনেই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন । দু'জনের জিনিস দু'জনে কীভাবে বিক্রি করবেন, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে নিয়েছেন ৷ দেশের মানুষ বুঝেছেন । রাজ্যের মানুষও বুঝেছেন । সময়ের অপেক্ষা ৷" এ প্রসঙ্গে দুই হকারের উদাহরণ টেনে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ৷ কটাক্ষ করে বলেন, "আগে গোটা রাজ্যে সততার বড় বড় হোডিং, পোস্টার দেখা যেত ৷ এখন আর কোথাও সততার হোডিং, পোস্টার দেখা যায় না । সব উঠে গেছে । রাজ্যের মানুষ জেনে গেছেন সত্যিটা কী ৷ ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী) আসল সত্যিটা যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসে, সেইজন্য কখনও কারও পায়ে ধরছেন ৷ আর কোথায় গিয়ে বোঝাপড়া করছেন সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে । "

রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষের

আজ কেন্দ্রের BJP সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি ৷ বলেন, "আচ্ছে দিনের কথা বলে যারা একদিন ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এখন আর আচ্ছে দিনের কথা বলছে না । এখন BJP নেতাদের মুখে জাতীয়তাবাদের কথা, আর পাকিস্তানের কথা ৷ দেশের মানুষও বুঝে গেছে BJP-র আচ্ছে দিনের নমুনা । গোটা দেশে অস্থিরতা তৈরি করে মরিয়া হয়ে উঠেছে BJP, RSS ৷ তাতে দেশ বিক্রি হয়ে গেলেও ওদের কোনও অসুবিধে নেই । কারণ, BJP পার্টির তহবিলে কোটি কোটি টাকা রয়েছে । সেই টাকা দিয়ে ওঁরা (BJP) সবকিছু কিনে নিতে পারে ৷ " শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দিল্লির জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এনিয়ে সুশান্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন," ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর তো দিল্লির সরকার ও তাদের গোষ্ঠী । দেশের মধ্যে এক অস্থির পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের এজেন্ডা কায়েম করতে চাইছে BJP সরকার । " তাঁর কথায়," দেশের 38 জন লোক ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা লুঠ করে পালাল ৷ এরমধ্যে 37 জনই গুজরাতের । কেন এই ৩৭ জন বাইরে পালিয়ে গেল? একজনকেও কেন এখনও ফিরিয়ে আনতে পারল না ৷ দেশের মানুষ এসব নিয়েই প্রশ্ন তুলছে । আজ না হোক কাল তারা জানতে চাইবে ।"

বারাসত, 6 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লোক দেখানো ৷ দু'জনেই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন । সেই মতো চলছেন ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরোনো একটি রাজনৈতিক মামলার হাজিরা দিতে এসে এই মন্তব্য করেন CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষ ।

বলেন, "দিল্লির উনি (রাজ্যপাল) ও রাজ্যের ইনি (মুখ্যমন্ত্রী), দু'জনেই নিজেদের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন । দু'জনের জিনিস দু'জনে কীভাবে বিক্রি করবেন, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে নিয়েছেন ৷ দেশের মানুষ বুঝেছেন । রাজ্যের মানুষও বুঝেছেন । সময়ের অপেক্ষা ৷" এ প্রসঙ্গে দুই হকারের উদাহরণ টেনে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ৷ কটাক্ষ করে বলেন, "আগে গোটা রাজ্যে সততার বড় বড় হোডিং, পোস্টার দেখা যেত ৷ এখন আর কোথাও সততার হোডিং, পোস্টার দেখা যায় না । সব উঠে গেছে । রাজ্যের মানুষ জেনে গেছেন সত্যিটা কী ৷ ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী) আসল সত্যিটা যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসে, সেইজন্য কখনও কারও পায়ে ধরছেন ৷ আর কোথায় গিয়ে বোঝাপড়া করছেন সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে । "

রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ CPI(M) নেতা সুশান্ত ঘোষের

আজ কেন্দ্রের BJP সরকারকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি ৷ বলেন, "আচ্ছে দিনের কথা বলে যারা একদিন ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এখন আর আচ্ছে দিনের কথা বলছে না । এখন BJP নেতাদের মুখে জাতীয়তাবাদের কথা, আর পাকিস্তানের কথা ৷ দেশের মানুষও বুঝে গেছে BJP-র আচ্ছে দিনের নমুনা । গোটা দেশে অস্থিরতা তৈরি করে মরিয়া হয়ে উঠেছে BJP, RSS ৷ তাতে দেশ বিক্রি হয়ে গেলেও ওদের কোনও অসুবিধে নেই । কারণ, BJP পার্টির তহবিলে কোটি কোটি টাকা রয়েছে । সেই টাকা দিয়ে ওঁরা (BJP) সবকিছু কিনে নিতে পারে ৷ " শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দিল্লির জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এনিয়ে সুশান্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন," ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর তো দিল্লির সরকার ও তাদের গোষ্ঠী । দেশের মধ্যে এক অস্থির পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের এজেন্ডা কায়েম করতে চাইছে BJP সরকার । " তাঁর কথায়," দেশের 38 জন লোক ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা লুঠ করে পালাল ৷ এরমধ্যে 37 জনই গুজরাতের । কেন এই ৩৭ জন বাইরে পালিয়ে গেল? একজনকেও কেন এখনও ফিরিয়ে আনতে পারল না ৷ দেশের মানুষ এসব নিয়েই প্রশ্ন তুলছে । আজ না হোক কাল তারা জানতে চাইবে ।"

Intro:রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত আসলে লোকদেখানো।দুজনেই দু-জনের মাল কিভাবে বিক্রি করবেন তার স্ট্যাটেজি ঠিক করে নিয়েছেন।সেই মতোই চলছেন তাঁরা।বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরনো একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।বলেন,"সততার প্রতীক এখন আর কোথায়!সততার হোডিং কিংবা পোস্টার আর রাজ্যের কোথাও দেখা যায়না।সব উঠে গেছে।আসলে মুখ্যমন্ত্রীর সততার আসলটা মানুষ জেনে গেছে।মানুষের সামনে যাতে আসল তথ্য বেরিয়ে না আসে,সেই জন্য উনি কারোর পা ধরছেন,আবার কোথাও গিয়ে সমঝোতা করছেন"। Body:বারাসতঃরাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত লোকদেখানো।দু'জনেই নিজেদের স্ট্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন।সেই মতো করে চলছেন তাঁরা।বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে পুরনো একটি রাজনৈতিক নেতাদের হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।তিনি বলেন,"দিল্লীর উনি(রাজ্যপাল) ও রাজ্যের ইনি(মুখ্যমন্ত্রী) দু'জনেই নিজেদের স্ট্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছেন।দু-জনের মাল দু'জনে কিভাবে বিক্রি করবেন,তার স্ট্যাটেজি ঠিক করে নিয়েছেন তাঁরা।দেশের মানুষ বুঝেছেন।রাজ্যের মানুষ বুঝেছেন।অপেক্ষা করুন,আরও কত কি হবে!এনিয়ে দুই হকারের উদাহরনও টেনে আনেন ওই সিপিএম নেতা!মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুশান্ত ঘোষ।এপ্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন,"সততার প্রতীক আর কেথায়?আগে গোটা রাজ্যে সততার বড় বড় হোডিং,পোস্টার দেখা যেত!এখন আর কোথাও সততার হোডিং,পোস্টার দেখা যায়না।সব উঠে গেছে।রাজ্যের মানুষ জেনে গেছেন সত্যিটা কি!আসলে ওনার(মুখ্যমন্ত্রী) সত্যিটা যাতে সামনে আসে,সেই জন্য কখনও কারোর পায়ে ধরছেন!আবার কোথাও গিয়ে সমবোতা করে আসছেন!দিনের আলোর মতো সেটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।এনিয়ে নতুন করে কিছু বলে আমি আর মুখ খারাপ করতে চায়না"!এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমন করেন সুশান্ত ঘোষ।তিনি বলেন,"আচ্ছে দিনের কথা বলে যারা একদিন ক্ষমতায় এসেছিল,তারা এখন আর আচ্ছে দিনের কথা বলছে না।এখন বিজেপি নেতাদের মুখে জাতীয়তাবাদীর কথা,আর পাকিস্তানের কথা!দেশের মানুষও বুঝে গেছে বিজেপির আচ্ছে দিনের নমুনা।গোটা দেশে অস্থিরতা তৈরি করে বিজেপি আরএসএসের এজেন্ডা কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।তাতে দেশ বিক্রি হয়ে গেলেও ওদের কোনও অসুবিধে নেই।কারন,বিজেপি পার্টির তহবিলে কোটি কোটি টাকা রয়েছে।সেই টাকা দিয়ে ওরা(বিজেপি) সবকিছু কিনে নিতে পারে"!সুশান্ত ষোষ আরও বলেন,"দেশের সব রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্থা শেষ।সাধারন মানুষ,কর্মচারী,ব্যবসায়ী সবই শেষ হয়ে গেছে!আদানী,আম্বানির মতো কিছু লোক এদেশে থাকবে।আর বিজেপি নেতারা রসেবসে থাকবে।আর কারোর থাকার প্রয়োজন নেই!সেই জায়গায় দেশকে নিয়ে যেতে চাইছে।তার ফলেই দেশের মাুনষ আজ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে।সেই প্রতিবাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা টিকতে পারবে না।কাঁপতে শুরু করবে কিছুদিনের মধ্যে।দেশের গনতন্ত্র,বহুত্ববাদীকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা মানুষ কখনই মেনে নেবেনা"।বিজেপিকে নিলজ্জ,বেহায়ার দল বলে আক্রমন করতে ছাড়েননি ওই সিপিএম নেতা।শাহিনবাগের আন্দোলনকে পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দিল্লীর জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এনিয়ে সুশান্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন," ষড়যন্ত্রের মূল কারিগর তো দিল্লির সরকার ও তাদের গোষ্ঠী।দেশের মধ্যে এক অস্থির পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের এজেন্ডা কায়েম করতে চাইছে বিজেপি সরকার।কিন্তু মানুষ আজ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।সেই প্রতিবাদে এখন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢক গিলতে হচ্ছে।সবে ঢক গিলছেন!এরপর,মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দেবে"।ওই সিপিএম নেতার কথায়,"দেশের ৩৮ জন লোক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লুঠ করে পালাল!এর মধ্যে ৩৭ জনই গুজরাটের।কেন এই ৩৭ জন বাইরে পালিয়ে গেল!একজনকেও কেন এখনও ফিরিয়ে আনতে পারল না!হিম্মত নেই দিল্লির সরকারের!যারা একসময় বলেছিল,এদের কোমরে দড়ি বেঁধে ফিরিয়ে আনবে!দেশের মানুষ এসব নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।আজ না হোক কাল তাঁরা জানতে চাইবেন"।Conclusion:বিজেপিকে নিলজ্জ,বেহায়ার দল বলেও কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.