বারাসত,22 জুলাই: কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যে এবার বারাসত জেলা হাসপাতালে চালু হল 'কোভিড সেল'।জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে এই হাসপাতালের পুরানো ব্লাড ব্যাংকের বিল্ডিংয়ে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেখান থেকেই কোরোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা।এমনকি আক্রান্ত রোগীদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে 'কোভিড সেল' থেকে । সমগ্র বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কন্ট্রোল রুমে একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।যার নম্বর হল ৭৪৩৯৩৩৪৬২৪)।সেই নম্বরের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হচ্ছে কোরোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,'কোভিড সেল'-এ শুধু চিকিৎসক ও মেডিকেল বিশেষজ্ঞরাই থাকছেন এমন নয়,সেখানে সর্বক্ষণের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী,ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরাও থাকছেন।কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য 24 ঘন্টাই খোলা রাখা হয়েছে এই 'কোভিড সেল'। কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে চিকিৎসকরা সরাসরি যোগাযোগ করছেন আক্রান্তের সঙ্গে। শারীরিক অবস্থা জেনে হোম আইসোলেশন থেকে শুরু করে কোরোনা হাসপাতালে ভরতির বিষয়টিও দেখভাল করছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্তকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে!
উত্তর 24 পরগনা জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে। এই রকম জটিল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে কাটছে কোরোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিরা ।অনেকেই কোথায় যাবেন,কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এই নিয়ে চিন্তিত আছেন । অনেক সময় আবার তাঁদের চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত রোগী ও পরিবারের লোকেরা। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বারাসত জেলা হাসপাতালে 'কোভিড সেল' চালু করার উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন।
এই বিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"কোভিড সেলের কন্ট্রোল রুম থেকে কোরোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় আক্রান্ত রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে,তখন তাকে সঠিকভাবে গাইড করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে কোভিড সেলে। সংক্রমিত প্রত্যেকের কাছেই অনুরোধ আতঙ্কিত হবেন না। কোনও প্রয়োজন কিংবা দরকার হলেই কন্ট্রোল রুমের হেল্পলাইন নম্বর ফোন করে যোগাযোগ করুন।আমরাই চিকিৎসার পরামর্শ সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করব।" এই কোভিড সেল' চালুর মাধ্যমে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি অনেকটাই কাটবে বলেও মনে করেন হাসপাতাল সুপার।
বারাসত জেলা হাসপাতালে চালু হল 'কোভিড সেল'
কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যে বারাসত হাসপাতালে চালু হল 'কোভিড সেল'। আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি কাটাতে কাউন্সেলিং ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বারাসত,22 জুলাই: কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যে এবার বারাসত জেলা হাসপাতালে চালু হল 'কোভিড সেল'।জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে এই হাসপাতালের পুরানো ব্লাড ব্যাংকের বিল্ডিংয়ে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেখান থেকেই কোরোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা।এমনকি আক্রান্ত রোগীদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে 'কোভিড সেল' থেকে । সমগ্র বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কন্ট্রোল রুমে একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।যার নম্বর হল ৭৪৩৯৩৩৪৬২৪)।সেই নম্বরের মাধ্যমেই যোগাযোগ করা হচ্ছে কোরোনা আক্রান্ত রোগী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,'কোভিড সেল'-এ শুধু চিকিৎসক ও মেডিকেল বিশেষজ্ঞরাই থাকছেন এমন নয়,সেখানে সর্বক্ষণের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী,ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরাও থাকছেন।কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য 24 ঘন্টাই খোলা রাখা হয়েছে এই 'কোভিড সেল'। কেউ কোরোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে চিকিৎসকরা সরাসরি যোগাযোগ করছেন আক্রান্তের সঙ্গে। শারীরিক অবস্থা জেনে হোম আইসোলেশন থেকে শুরু করে কোরোনা হাসপাতালে ভরতির বিষয়টিও দেখভাল করছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্তকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে!
উত্তর 24 পরগনা জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সদর শহর বারাসতে। এই রকম জটিল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তিতে কাটছে কোরোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিরা ।অনেকেই কোথায় যাবেন,কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এই নিয়ে চিন্তিত আছেন । অনেক সময় আবার তাঁদের চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন আক্রান্ত রোগী ও পরিবারের লোকেরা। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বারাসত জেলা হাসপাতালে 'কোভিড সেল' চালু করার উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন।
এই বিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"কোভিড সেলের কন্ট্রোল রুম থেকে কোরোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় আক্রান্ত রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে,তখন তাকে সঠিকভাবে গাইড করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে কোভিড সেলে। সংক্রমিত প্রত্যেকের কাছেই অনুরোধ আতঙ্কিত হবেন না। কোনও প্রয়োজন কিংবা দরকার হলেই কন্ট্রোল রুমের হেল্পলাইন নম্বর ফোন করে যোগাযোগ করুন।আমরাই চিকিৎসার পরামর্শ সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করব।" এই কোভিড সেল' চালুর মাধ্যমে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি অনেকটাই কাটবে বলেও মনে করেন হাসপাতাল সুপার।