ETV Bharat / state

দ্বিতীয় দিনেই শিকেয় বিধি, দেদার অনিয়ম, দাঁড়িয়ে দেখছে রেল পুলিশ

author img

By

Published : Nov 12, 2020, 10:55 PM IST

GRP-র কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ববিধি মানাতে কোনও উদ্যোগই তাঁরা দেখাননি । হাবরা স্টেশনের তিনটি প্লাটফর্মের বেশির দোকানই খুলে গেছে । ফলের দোকান, খাবারের দোকান, লটারি টিকিটের দোকান, মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান সবই চলছে ।

Habra railway station
হাবরা স্টেশন শিকেয় কোরোনা বিধি

হাবরা, 12 নভেম্বর : বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন । রেলের পক্ষ থেকে 15 দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল । প্রথম দিন নজরদারি থাকলেও রাত পোহাতেই শিকেয় সব নজরদারি । নেই থার্মাল চেকিং, প্লাটফর্মে দেদার খোলা হকারদের দোকান । টিকিট কাউন্টারেও ভিড় । দাঁড়িয়ে দেখছে রেল পুলিশ । ETV ভারতের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি ।

শিয়ালদা বনগাঁ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হাবরা । প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কর্মস্থানে যান । বুধবার ট্রেন চালু হওয়ার দিন চোখে পড়ার মতো নজরদারি ছিল । কিন্তু রাত পোহাতেই বেমালুম উধাও সমস্ত বিধি নিষেধ । হাবরা স্টেশনে তিনটি প্লাটফর্ম রয়েছে । দু'পারে দু'টি আলাদ টিকিট কাউন্টার । স্টেশনের দ্বিতীয় প্রবেশপথে রয়েছে একটা ফুটব্রিজ । আজ তিন নম্বর প্লাটফর্মের পাশে দ্বিতীয় প্রবেশপথের ফুটব্রিজে নজরদারির জন্য কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না । পাশের টিকিট কাউন্টারেও ছিল না সামাজিক দূরত্ববিধি মানার কোনও বৃত্ত । ফলে কোনও চেকিং ছাড়া অবাধে ওই ফুটব্রিজ দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকে পড়ছেন । আর তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন । স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত দাস বলেন, "রেলের তরফ থেকে নজরদারি বা থার্মাল চেকিংয়ের কথা বলা হয়েছিল । কিন্তু আমরা দেখছি সেটা হচ্ছে না । রেলপুলিশ বা RPF-র কোনও নজরদারি নেই । আমরা স্টেশন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে বলেছি । প্রয়োজনে লিখিতভাবেও জানাব ।"

হাবরা স্টেশন শিকেয় কোরোনা বিধি

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, প্লাটফর্মে কোনও হকারের দোকান খোলা হবে না । কিন্তু হাবরা স্টেশনের তিনটি প্লাটফর্মের বেশির দোকানই খুলে গেছে । ফলের দোকান, খাবারের দোকান, লটারি টিকিটের দোকান, মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান সবই চলছে । রেলপুলিশ বা RPF-এর কোনও কর্মী তাঁদের বারণও করেননি । CITU-র হকার্স ইউনিয়নের নেতা রামপ্রসাদ সাহা বলেন, "GRP বা RPF আমাদের দোকান খুলতে বারণ করেননি । সাত মাস কাজ করতে পারিনি । আমরা রুটি-রুজির প্রয়োজনে দোকান খুলেছি ।"

একইভাবে নজর নেই প্লাটফর্মের মূল টিকিট কাউন্টারের সামনেও । সেখানে GRP-র কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ববিধি মানাতে কোনও উদ্যোগই তাঁরা দেখাননি । ETV ভারতের ক্যামরায় ছবি তোলা শুরু হতেই তাঁরা যাত্রীদের দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর কথা বলেন ।

এক কথায় শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হাবরায় রেল চলাচলে কোনও নির্দেশই মানা হচ্ছে না । বুধবার যে কড়াকড়ি ছিল, রাত পোহাতেই তা বেমালুম উধাও হয়ে গেছে।

হাবরা, 12 নভেম্বর : বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন । রেলের পক্ষ থেকে 15 দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল । প্রথম দিন নজরদারি থাকলেও রাত পোহাতেই শিকেয় সব নজরদারি । নেই থার্মাল চেকিং, প্লাটফর্মে দেদার খোলা হকারদের দোকান । টিকিট কাউন্টারেও ভিড় । দাঁড়িয়ে দেখছে রেল পুলিশ । ETV ভারতের ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি ।

শিয়ালদা বনগাঁ শাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হাবরা । প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কর্মস্থানে যান । বুধবার ট্রেন চালু হওয়ার দিন চোখে পড়ার মতো নজরদারি ছিল । কিন্তু রাত পোহাতেই বেমালুম উধাও সমস্ত বিধি নিষেধ । হাবরা স্টেশনে তিনটি প্লাটফর্ম রয়েছে । দু'পারে দু'টি আলাদ টিকিট কাউন্টার । স্টেশনের দ্বিতীয় প্রবেশপথে রয়েছে একটা ফুটব্রিজ । আজ তিন নম্বর প্লাটফর্মের পাশে দ্বিতীয় প্রবেশপথের ফুটব্রিজে নজরদারির জন্য কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না । পাশের টিকিট কাউন্টারেও ছিল না সামাজিক দূরত্ববিধি মানার কোনও বৃত্ত । ফলে কোনও চেকিং ছাড়া অবাধে ওই ফুটব্রিজ দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকে পড়ছেন । আর তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন । স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত দাস বলেন, "রেলের তরফ থেকে নজরদারি বা থার্মাল চেকিংয়ের কথা বলা হয়েছিল । কিন্তু আমরা দেখছি সেটা হচ্ছে না । রেলপুলিশ বা RPF-র কোনও নজরদারি নেই । আমরা স্টেশন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে বলেছি । প্রয়োজনে লিখিতভাবেও জানাব ।"

হাবরা স্টেশন শিকেয় কোরোনা বিধি

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, প্লাটফর্মে কোনও হকারের দোকান খোলা হবে না । কিন্তু হাবরা স্টেশনের তিনটি প্লাটফর্মের বেশির দোকানই খুলে গেছে । ফলের দোকান, খাবারের দোকান, লটারি টিকিটের দোকান, মোবাইল ফোন রিচার্জের দোকান সবই চলছে । রেলপুলিশ বা RPF-এর কোনও কর্মী তাঁদের বারণও করেননি । CITU-র হকার্স ইউনিয়নের নেতা রামপ্রসাদ সাহা বলেন, "GRP বা RPF আমাদের দোকান খুলতে বারণ করেননি । সাত মাস কাজ করতে পারিনি । আমরা রুটি-রুজির প্রয়োজনে দোকান খুলেছি ।"

একইভাবে নজর নেই প্লাটফর্মের মূল টিকিট কাউন্টারের সামনেও । সেখানে GRP-র কর্মীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ববিধি মানাতে কোনও উদ্যোগই তাঁরা দেখাননি । ETV ভারতের ক্যামরায় ছবি তোলা শুরু হতেই তাঁরা যাত্রীদের দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর কথা বলেন ।

এক কথায় শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন হাবরায় রেল চলাচলে কোনও নির্দেশই মানা হচ্ছে না । বুধবার যে কড়াকড়ি ছিল, রাত পোহাতেই তা বেমালুম উধাও হয়ে গেছে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.