বারাসত, 15 মার্চ : বিদেশ ফেরত যাত্রীদের পর্যবেক্ষণের জন্য কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা অর্থাৎ আলাদা ওয়ার্ড চালু হল বারাসত জেলা হাসপাতালে । মূলত, দমদম বিমানবন্দরে নামা যাত্রীদের শারীরিক পর্যবেক্ষণের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিল্ডিংয়ে গড়ে উঠেছে কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা । এই ওয়ার্ডে রয়েছে 70টি বেডের ব্যবস্থা । থাকছেন পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড কর্মীরা ।
কোরোনা সন্দেহে কাউকে নিয়ে আসা হলে প্রথমে এই কোয়ারান্টাইন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে । 14 দিন পরিবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হবে তাঁকে । এরপর যদি কোরোনার কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাঁর চিকিৎসা শুরু হবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে । এজন্য বারাসত হাসপাতালেই 10টি বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে । সেখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে 5টি করে বেড থাকছে । কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার জটিল হলে তাকে এখান থেকে কলকাতার বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে । তবে এখনও অবধি কোরোনা সন্দেহে কোনও রোগী বারাসত হাসপাতালে ভরতি হয়নি বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে ।
এবিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক আমরা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড তৈরি করেছি । আমরাও প্রস্তুত রয়েছি । স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো আমরা সব রকমের ব্যবস্থা রেখেছি ৷ সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিল্ডিংয়ে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । "
এদিকে কোরোনা আতঙ্কে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কর্মীরা সকলেই সতর্কতা অবলম্বন করছেন ৷ মুখে মাস্ক বেঁধে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করছেন । হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে ও হাত ভালোভাবে পরিষ্কারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । এবিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক অলোক কুমার মল্লিক বলেন,"কোরোনা আন্তর্জাতিক সমস্যা । এই সমস্যার মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য মাঠে নেমেছে । বসে নেই চিকিৎসকরাও । যাঁরা শারীরিকভাবে দুর্বল ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা যাঁদের কম তাঁদের কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি ।" জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে বারাসত ছাড়াও আমডাঙা ও বামনগাছির ছোটো জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে ৷