ETV Bharat / state

CPIM Meeting Controversy: অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে সেলিম-সুজনের জনসভা বাতিল প্রশাসনের, সরগরম বারাসত - Barasat CPIM

বারাসতে বামেদের সভা বাতিল করায় শাসককে বিঁধল বিরোধীরা ৷ অনুমতি দিয়েও তা কেন বাতিল গণ্য করা হল শেষ মুহূর্তে ?

Etv Bharat
বারাসাত সিপিএম
author img

By

Published : Jun 4, 2023, 10:19 PM IST

সভা বাতিল নিয়ে সর্বদলের প্রতিক্রিয়া

বারাসত, 4 জুন: অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর সভার অনুমতি বাতিল করল প্রশাসন । যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে । তবে, অনুমতি প্রত্যাহার করে নিলেও নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ 6 জুন দলীয় সভা করার ব‍্যাপারে বদ্ধপরিকর সিপিএম নেতৃত্ব । এই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে হুঙ্কার দিয়েছেন সিপিএমের উত্তর 24 পরগনা জেলার সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী । ওইদিন দলের কর্মী-সমর্থকরা বারাসতের কাছারি ময়দানে জমায়েত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি । ফলে সেদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় যে জেলা প্রশাসনকেই নিতে হবে, তা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন মৃণাল । এই ঘটনায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী আবার টুইট করে তৃণমূল এবং প্রশাসনকে একযোগে নিশানা করেছেন । সবমিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে জেলার সদর শহর বারাসতে ।

তৃণমূল ও বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতি, সীমাহীন দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে 6 জুন বারাসতের কাছারি ময়দানে জনসভার ডাক দিয়েছিল উত্তর 24 পরগনা জেলা সিপিএম । সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে সিপিএমের রাজ‍্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর । সভা উপলক্ষে জেলাজুড়ে মিছিল, মিটিং সংগঠিত হয়েছে । দেওয়াল লিখন, পোস্টারও ছাপানো হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে । অর্থাৎ, জনসভা সফল করতে সমস্ত প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছে সিপিএম । তারই মধ্যে ই-মেল মারফত জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, 6 জুনের সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে । আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে । এর পিছনে নবান্নের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা ।

সূত্রের খবর, যে মাঠে সভা হওয়ার কথা সেই কাছারি ময়দানের অনুমতি নেওয়ার জন্য 9 মে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী । পদ্ধতি মেনে পার্টির প‍্যাডেই সেই আবেদন করা হয়েছিল ।আবেদনের ভিত্তিতে 16 মে সিপিএমের সেই সভার অনুমতিও দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে । অনুমতি পাওয়ার একদিন পর মাঠের ভাড়া বাবদ টাকাও জমা করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে । শুধু ডিএম কিংবা এডিএম(এল আর)কেই নয় ৷ জেলা পুলিশ সুপারকেও সভার বিষয়ে অবগত করা হয় সিপিএমের তরফে । এরপরই 31 মে ইমেল মারফত প্রশাসন থেকে জানানো হয়, মাঠের মেরামতির কাজের জন্য সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে । যদিও সিপিএমের দাবি, 31 মে-র প্রশাসনের সেই চিঠি তাদের কাছে এসে পৌঁছয় 1 জুন । যা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব ।

এদিকে, অনুমতি প্রত্যাহারের পরও নির্দিষ্ট দিনে সভা করতে বদ্ধপরিকর সিপিএম । এই বিষয়ে দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন,"মাঠ মেরামত অজুহাত ছাড়া আর কিছু নয় । আসলে সিপিএমের সভা বানচাল করতে হবে । সেই কারণে নবান্নের চাপে এসব নোংরা খেলায় নেমেছে দলদাস প্রশাসন । ওইদিন আমরা সভা করবই । দলের কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হবে কাছারি ময়দানে । সেদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে । এটা আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই ।"

এই ইস্যুতে সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবিরও । এই নিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন,"এরাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই । তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট । এর আগে আমাদেরও বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । সুষ্ঠু রাজনীতিতে প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত । অথচ তৃণমূল আমলে সেই মত প্রকাশের অধিকার নেই বললেই চলে । এটা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয় ।" অন‍্যদিকে,অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনের । এই নিয়ে সিপিএম অযথা রাজনীতি করছে বলে দাবি করেছেন বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক ।

আরও পড়ুন : তৃণমূল নয় মমতার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন পুলিশই, মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই বিস্ফোরক তৃণমূলের শ্রমিক নেতা

সভা বাতিল নিয়ে সর্বদলের প্রতিক্রিয়া

বারাসত, 4 জুন: অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর সভার অনুমতি বাতিল করল প্রশাসন । যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে । তবে, অনুমতি প্রত্যাহার করে নিলেও নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ 6 জুন দলীয় সভা করার ব‍্যাপারে বদ্ধপরিকর সিপিএম নেতৃত্ব । এই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে হুঙ্কার দিয়েছেন সিপিএমের উত্তর 24 পরগনা জেলার সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী । ওইদিন দলের কর্মী-সমর্থকরা বারাসতের কাছারি ময়দানে জমায়েত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি । ফলে সেদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় যে জেলা প্রশাসনকেই নিতে হবে, তা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন মৃণাল । এই ঘটনায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী আবার টুইট করে তৃণমূল এবং প্রশাসনকে একযোগে নিশানা করেছেন । সবমিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে জেলার সদর শহর বারাসতে ।

তৃণমূল ও বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতি, সীমাহীন দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে 6 জুন বারাসতের কাছারি ময়দানে জনসভার ডাক দিয়েছিল উত্তর 24 পরগনা জেলা সিপিএম । সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে সিপিএমের রাজ‍্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর । সভা উপলক্ষে জেলাজুড়ে মিছিল, মিটিং সংগঠিত হয়েছে । দেওয়াল লিখন, পোস্টারও ছাপানো হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে । অর্থাৎ, জনসভা সফল করতে সমস্ত প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছে সিপিএম । তারই মধ্যে ই-মেল মারফত জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, 6 জুনের সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে । আর তাতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে । এর পিছনে নবান্নের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা ।

সূত্রের খবর, যে মাঠে সভা হওয়ার কথা সেই কাছারি ময়দানের অনুমতি নেওয়ার জন্য 9 মে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী । পদ্ধতি মেনে পার্টির প‍্যাডেই সেই আবেদন করা হয়েছিল ।আবেদনের ভিত্তিতে 16 মে সিপিএমের সেই সভার অনুমতিও দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে । অনুমতি পাওয়ার একদিন পর মাঠের ভাড়া বাবদ টাকাও জমা করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে । শুধু ডিএম কিংবা এডিএম(এল আর)কেই নয় ৷ জেলা পুলিশ সুপারকেও সভার বিষয়ে অবগত করা হয় সিপিএমের তরফে । এরপরই 31 মে ইমেল মারফত প্রশাসন থেকে জানানো হয়, মাঠের মেরামতির কাজের জন্য সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে । যদিও সিপিএমের দাবি, 31 মে-র প্রশাসনের সেই চিঠি তাদের কাছে এসে পৌঁছয় 1 জুন । যা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব ।

এদিকে, অনুমতি প্রত্যাহারের পরও নির্দিষ্ট দিনে সভা করতে বদ্ধপরিকর সিপিএম । এই বিষয়ে দলের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বলেন,"মাঠ মেরামত অজুহাত ছাড়া আর কিছু নয় । আসলে সিপিএমের সভা বানচাল করতে হবে । সেই কারণে নবান্নের চাপে এসব নোংরা খেলায় নেমেছে দলদাস প্রশাসন । ওইদিন আমরা সভা করবই । দলের কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হবে কাছারি ময়দানে । সেদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে । এটা আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই ।"

এই ইস্যুতে সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া শিবিরও । এই নিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন,"এরাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই । তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট । এর আগে আমাদেরও বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে । সুষ্ঠু রাজনীতিতে প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত । অথচ তৃণমূল আমলে সেই মত প্রকাশের অধিকার নেই বললেই চলে । এটা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয় ।" অন‍্যদিকে,অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনের । এই নিয়ে সিপিএম অযথা রাজনীতি করছে বলে দাবি করেছেন বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক ।

আরও পড়ুন : তৃণমূল নয় মমতার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন পুলিশই, মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই বিস্ফোরক তৃণমূলের শ্রমিক নেতা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.