ETV Bharat / state

Bangaon Court : আদালতের হস্তক্ষেপে বিয়ে, আভিযোগকারিণীর গর্ভস্থ সন্তানের দায়িত্ব নিল অভিযুক্ত - আদালতের হস্তক্ষেপে বিয়ে, আভিযোগকারিণী গর্ভস্থ সন্তানের দায়িত্ব নিল অভিযুক্ত

বনগাঁ আদালতের হস্তক্ষেপে বিয়ে সম্পন্ন হল অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্তের ৷ অভিযোগকারিণীকে সামাজিক ও সরকারিভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন বলে কথা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক ৷

বনগাঁ আদালতের হস্তক্ষেপে বিয়ে
বনগাঁ আদালতের হস্তক্ষেপে বিয়ে
author img

By

Published : Sep 1, 2021, 11:11 PM IST

বনগাঁ, 1 সেপ্টেম্বর : সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে ভালবাসা । প্রেমিকার চোখে চোখ রেখে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেমিক । কথা দিয়েছিলেন বিয়ে করবেন তাঁকে । প্রেমিকের প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বহুবার ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন তাঁরা । অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা । স্বপ্ন ভাঙে বিয়ের কথা উঠতেই । প্রেমিক অস্বীকার করেন গর্ভস্থ সন্তানকে ৷ জল গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত । প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রেমিকা ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে বিয়ে হল তাঁদের । বুধবার বনগাঁ মহাকুমা আদালতে ভরা এজালসে প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক । মহিলারা উলু দিয়ে স্বাগত জানালেন তাঁদের । পাত্র নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা । বর্তমানে তিনি আসানসোলে রাজ্য পুলিশের 7 নম্বর ব্যাটেলিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ধৃত উত্তমের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় গোপালনগরের নার্সিং পড়ুয়া যুবতির । তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । এরপরই অভিযুক্ত ওই যুবতিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান । যুবতির বাড়িতে আস-যাওয়াও ছিল তাঁর । অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মী যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন । কয়েক মাস আগে যুবতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন । এরপরই যুবতিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন প্রেমিক ৷ যুবতির গর্ভস্থ সন্তান তাঁর নয় বলেও দাবি করেন ৷ এরপরই যুবতি গত 22 শে মার্চ গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ।

অভিযোগের খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক । প্রায় তিন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন ৷ পরবর্তীতে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং 10 অগস্ট বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ । বনগাঁ আদালতের এডিজে শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার শুরু হয় । এতদিন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে ছিলেন ।

বনগাঁ আদালতের মুখ্য আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "যুবক-যুবতি দুজনেই বিয়ে করার আর্জি জানিয়ে আদালতে হলফনামা দিয়েছে । অভিযুক্ত গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত । তিনি কথা দিয়েছে যুবতিকে সামাজিক ও অফিশিয়ালি স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন । তাঁর পরিবার সন্তানকে অস্বীকার করবে না । এবিষয়ে অভিযুক্ত হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন : আদালতের হস্তক্ষেপে পরিণতি পেল ভালবাসা, এজলাসের সামনেই এক হল চার হাত

অভিযোগকারিণীর আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে আমার মক্কেলকে বিয়ে করার কথা জানান । তখন আমরা বেশ কিছু শর্ত রেখেছিলাম । সেগুলি তাঁরা মেনে নেন এবং কথা দিয়েছেন তাঁকে সামাজিক ও সরকারিভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন । দু'পক্ষের আবেদনে সম্মতি দেন বিচারক । সেই মতো আজ দুজনের বিয়ে হয় ।"

আরও পড়ুন : Canning rape : সৎ বাবার লালসার শিকার, আত্মহত্যার চেষ্টা বছর পনেরোর কিশোরী

বনগাঁ, 1 সেপ্টেম্বর : সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে ভালবাসা । প্রেমিকার চোখে চোখ রেখে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেমিক । কথা দিয়েছিলেন বিয়ে করবেন তাঁকে । প্রেমিকের প্রতিশ্রুতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বহুবার ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন তাঁরা । অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রেমিকা । স্বপ্ন ভাঙে বিয়ের কথা উঠতেই । প্রেমিক অস্বীকার করেন গর্ভস্থ সন্তানকে ৷ জল গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত । প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রেমিকা ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে বিয়ে হল তাঁদের । বুধবার বনগাঁ মহাকুমা আদালতে ভরা এজালসে প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর তুলে দিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক । মহিলারা উলু দিয়ে স্বাগত জানালেন তাঁদের । পাত্র নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা । বর্তমানে তিনি আসানসোলে রাজ্য পুলিশের 7 নম্বর ব্যাটেলিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ধৃত উত্তমের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় গোপালনগরের নার্সিং পড়ুয়া যুবতির । তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় । এরপরই অভিযুক্ত ওই যুবতিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান । যুবতির বাড়িতে আস-যাওয়াও ছিল তাঁর । অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মী যুবতিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন । কয়েক মাস আগে যুবতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন । এরপরই যুবতিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন প্রেমিক ৷ যুবতির গর্ভস্থ সন্তান তাঁর নয় বলেও দাবি করেন ৷ এরপরই যুবতি গত 22 শে মার্চ গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ।

অভিযোগের খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক । প্রায় তিন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন ৷ পরবর্তীতে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং 10 অগস্ট বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ । বনগাঁ আদালতের এডিজে শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার শুরু হয় । এতদিন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে ছিলেন ।

বনগাঁ আদালতের মুখ্য আইনজীবী সমীর দাস বলেন, "যুবক-যুবতি দুজনেই বিয়ে করার আর্জি জানিয়ে আদালতে হলফনামা দিয়েছে । অভিযুক্ত গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত । তিনি কথা দিয়েছে যুবতিকে সামাজিক ও অফিশিয়ালি স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন । তাঁর পরিবার সন্তানকে অস্বীকার করবে না । এবিষয়ে অভিযুক্ত হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন : আদালতের হস্তক্ষেপে পরিণতি পেল ভালবাসা, এজলাসের সামনেই এক হল চার হাত

অভিযোগকারিণীর আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে আমার মক্কেলকে বিয়ে করার কথা জানান । তখন আমরা বেশ কিছু শর্ত রেখেছিলাম । সেগুলি তাঁরা মেনে নেন এবং কথা দিয়েছেন তাঁকে সামাজিক ও সরকারিভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন । দু'পক্ষের আবেদনে সম্মতি দেন বিচারক । সেই মতো আজ দুজনের বিয়ে হয় ।"

আরও পড়ুন : Canning rape : সৎ বাবার লালসার শিকার, আত্মহত্যার চেষ্টা বছর পনেরোর কিশোরী

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.