বারাসত, 18 জানুয়ারি: 'প্রজাপতি'-বিতর্কে (Projapoti Movie Controversy) এবার দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ছবির সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বারাসত বইমেলার (Book Fair) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রজাপতি ছবির সাফল্য নিয়ে চিরঞ্জিত বলেন, "আমি তো সবসময় চেয়ে এসেছি বাংলা ছবি চলুক। দর্শকদের মনে জায়গা করে নিক বাংলা ছবি। এটাই তো আমার চিরকালের অভিপ্রায়।"
বারাসত পৌরসভার উদ্যোগে প্রথমবার এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সরকারি কলেজের ঠিক পিছনের মাঠে। প্রদীপ প্রজ্জালন করে এদিন এই বইমেলার উদ্ধোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়, দুই বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও সব্যসাচী দত্ত-সহ আরও অনেকে ৷
প্রসঙ্গত, এদিনই 'প্রজাপতি'-র সাফল্য উদযাপনে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে মিলিত হন ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা দেব এবং মিঠুন। সেখানে 'নন্দন'-বিতর্ক দূরে সরিয়ে ছবির সাফল্য নিয়ে অভিনেতা তথা সাংসদ দেব বলেন, "মানুষ হইহই করে ছবিটা দেখছে। এর চেয়ে বড় জবাব আর হয় না।" সেই প্রসঙ্গে এদিন বারাসতে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে কার্যত দেবের পাশে দাঁড়ান তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,"ও ঠিক কথাই বলেছে। প্রজাপতি ছবি হইহই করে চলছে, এটা আনন্দের বিষয়।"
আরও পড়ুন: দিদির সুরক্ষা কবচ হাতে পরলেই মিলবে সমস্ত সরকারি সুবিধা ! বারাসতে বেফাঁস বিধায়ক
নন্দনে 'প্রজাপতি'-ছবির মুক্তি নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এই নিয়ে ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা মিঠুন চক্রবর্তী নন্দনের কমিটির মাথায় কারা রয়েছেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তা নিয়ে এদিন চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি ঠিক জানি না কমিটির মাথায় কারা রয়েছেন। আমার অভিনীত কোনও ছবি নন্দনে মুক্তির জন্য আসেনি। তাই, ঠিক বলতে পারছি না কারা রয়েছেন এই কমিটিতে।"
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের জায়গায় জায়গায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই বিষয়ে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, "মানুষের চাহিদার কোনও শেষ নেই। একটা উন্নয়নের দাবি থাকলে পরবর্তীতে সেটা চারটে দাবিতে রূপান্তরিত হয়। এটাই চিরকাল হয়ে এসেছে। আমি যদি কোনওভাবে হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করি। তাহলে আমি চাইব কলেজে পড়তে। তারপর ডিগ্রি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ডাক্তারি পড়ব। এটাই নিয়ম। তাই, মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও রাজনীতির কোনও ক্ষতি হবে না। কাছে গেলে মানুষ তো অভাব-অভিযোগ করবেই ৷"