বারাসত, 24 ডিসেম্বর: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না-জানানোর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় (Debashree Roy) ৷ সেই নিয়ে দেবশ্রীকে পালটা একহাত নিলেন তৃণমূলের আরেক বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty) ৷ সেই প্রসঙ্গে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ বলেন, "দেবশ্রী রায় অতীত । তিনি এখন আমাদের দলে নেই ৷ সেই কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র হয়ে কথা বলছেন ৷" বড়দিন উপলক্ষে শনিবার উত্তর 24 পরগনার বারাসতে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দেন বিধায়ক ৷ কর্মসূচির মাঝেই তাঁর একসময়ের সতীর্থ দেবশ্রী রায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের (Kolkata Film Festival) সমাপ্তি হলেও, সেখানে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না করা নিয়ে, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই ৷ চলচ্চিত্র উৎসবে বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ও অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ৷ তিনি বলেছিলেন, "মিঠুন'দা-কে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি ৷ চলচ্চিত্র উৎসবে রাজনৈতিক কারণ থাকা মোটেই উচিত নয় ৷ প্রত্যেক শিল্পীকে সমান মর্যাদা দেওয়া উচিত ৷ শিল্পীদের মধ্যে ভেদাভেদ করা ঠিক নয় ৷"
উল্লেখ্য দেবশ্রী রায়ের এই মন্তব্যের কয়েকদিন আগেই চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুন চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ না-জানানোর কারণ ব্যাখা করেছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷ সেই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি মধ্যমগ্রামে 'সন্টু'-নামে এক পোষ্যের সঙ্গে দেখা করতে এসে মিঠুন চক্রবর্তীর সমর্থনে মুখ খোলেন পশুপ্রেমী অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ৷
আরও পড়ুন: মিঠুনদাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি, চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ বিতর্ক আরও উসকে দিলেন দেবশ্রী
তবে, নিজের বক্তব্যে অনড় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, "ওর মন্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত নই । এটা আমি কোনওভাবেই মানছি না । কারণ চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্বে সরকার থাকে ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে সেই উৎসবের উদ্বোধন করেন ৷ সেই জায়গায় যদি কেউ সরকার বিরোধী মন্তব্য করে থাকে, তাহলে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো যায় নাকি ? এটা হয় নাকি ! হতে পারে কখনও ! আমরা তো সেই কারণেই অনুপম খের, পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতাদের নিয়ে আসিনি চলচ্চিত্র উৎসবে ৷ ও(দেবশ্রী রায়) এখন দল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক কারণে এসব বলছে ৷ বাইরে বেরিয়ে যা খুশি বলা যায় ৷ এসব তো হবেই ৷’’
অন্যদিকে, দেবশ্রী রায়কে নিয়ে এদিন তাচ্ছিল্য করতেও শোনা গিয়েছে চিরঞ্জিতকে ৷ তিনি বলেন, "ও আগে আমাদের দলের বিধায়ক ছিল ৷ তাই 'ছিল'-র সঙ্গে 'আছি'-র কোনও যোগাযোগ নেই ৷ দু’টি শব্দের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত ৷ যেমন শুভেন্দু আগে আমাদের সঙ্গে ছিল ৷ এখন আর নেই ৷ তাই ওকেও ডাকা হয় না ৷ তেমনই প্রধানমন্ত্রী কোনও অনুষ্ঠানে এখানে এলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয় না ৷ এসব গল্প তো চলবেই ৷"