ETV Bharat / state

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ, বাড়িতেই মৃত্যু ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুর - lockdown scenes of West bengal

সরকারি হাসপাতালের দরজায় ঘুরেও চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ । পরে বাড়িতেই মৃত্যু শিশুর । ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছির । এনিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 11, 2020, 1:59 PM IST

বামনগাছি, 11 মে : লকডাউনে পরিবহন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন অন্যান্য রোগে আক্রান্তরা । তার উপর কোথাও হাসপাতাল সিল তো কোথাও বেড নেই । কোথাও আবার শুধুই কোরোনার চিকিৎসা । এমন অবস্থায় অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি করা নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারকে । এবার এক ক্যানসার আক্রান্ত দুই বছরের শিশুকন্যার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনায় । সরকারি হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরলেও কেউ ভরতি নেয়নি বলে অভিযোগ তোলে শিশুটির পরিবার । পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার । এনিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েই দায় সেরেছে তারা ।

2019 সালের ডিসেম্বর মাসে টিউমার অস্ত্রোপচারের পর ম্যালিগনেন্সি ধরা পড়ে প্রিয়াংশু-র । বাবা বিশ্বজিৎ সাহা পেশায় ভ্যান চালক । ফলে, সংসার চালিয়ে সন্তানের চিকিৎসা করার মতো ক্ষমতা হয়নি তাঁর । ভরসা ছিল সরকারি হাসপাতালই । লকডাউনের আগে কলকাতার NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয় তার চিকিৎসা । দেওয়া হয় কেমোথেরাপিও । কিন্তু কিছুদিন পর থেকে প্রিয়াংশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে । চারদিন আগে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে । এরপর, তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে । তাঁদের অভিযোগ, কোনও চিকিৎসা না করেই প্রিয়াংশুকে নিয়ে যেতে বলা হয় NRS-এ । লকডাউনের মাঝে অনেক কষ্টে একটা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে সেদিনই তাকে NRS-এ নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু NRS কোরোনা হাসপাতাল হওয়ায় সেখানে তাকে ভরতি নেওয়া হয় না । বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় । শনিবার তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । এবারও তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।

লকডাউনে এতদূর থেকে ফের কলকাতায় । কোনওরকমে জোগাড় হয় অ্যাম্বুলেন্স । তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার RG কর হাসপাতালে । সেখানে রক্ত পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোনও চিকিৎসাই হয়নি । এরপর সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর গতকাল তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে । দুপুরের দিকে বারাসতের এক বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে এত ছোটো শিশুর কেমোথেরাপির ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয় । তাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না । গতকাল রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে বামনগাছি এলাকায় । প্রিয়াংশুর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোকজন । স্থানীয়রাও ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছে সরকারি হাসপাতালকে ।

মৃত শিশুর বাবা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, "আমি ভ্যান চালিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই । আমার পক্ষে ক্যানসার আক্রান্ত সন্তানের চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না । তবুও ভেবেছিলাম সরকারি হাসপাতালে অন্তত মেয়ের চিকিৎসা হবে । কিন্তু, সেটাও জুটল না । কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই মারা গেল ও । আমার মেয়ের সঙ্গে যেটা হল, সেটা যেন আর কোনও শিশুর ক্ষেত্রে না হয় । সেটাই দেখার অনুরোধ করব প্রশাসনকে ।"

এবিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তবে,বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।

বামনগাছি, 11 মে : লকডাউনে পরিবহন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন অন্যান্য রোগে আক্রান্তরা । তার উপর কোথাও হাসপাতাল সিল তো কোথাও বেড নেই । কোথাও আবার শুধুই কোরোনার চিকিৎসা । এমন অবস্থায় অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি করা নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিবারকে । এবার এক ক্যানসার আক্রান্ত দুই বছরের শিশুকন্যার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনায় । সরকারি হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরলেও কেউ ভরতি নেয়নি বলে অভিযোগ তোলে শিশুটির পরিবার । পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার । এনিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েই দায় সেরেছে তারা ।

2019 সালের ডিসেম্বর মাসে টিউমার অস্ত্রোপচারের পর ম্যালিগনেন্সি ধরা পড়ে প্রিয়াংশু-র । বাবা বিশ্বজিৎ সাহা পেশায় ভ্যান চালক । ফলে, সংসার চালিয়ে সন্তানের চিকিৎসা করার মতো ক্ষমতা হয়নি তাঁর । ভরসা ছিল সরকারি হাসপাতালই । লকডাউনের আগে কলকাতার NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয় তার চিকিৎসা । দেওয়া হয় কেমোথেরাপিও । কিন্তু কিছুদিন পর থেকে প্রিয়াংশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে । চারদিন আগে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে । এরপর, তাকে নিয়ে পরিবারের লোকজন যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে । তাঁদের অভিযোগ, কোনও চিকিৎসা না করেই প্রিয়াংশুকে নিয়ে যেতে বলা হয় NRS-এ । লকডাউনের মাঝে অনেক কষ্টে একটা অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে সেদিনই তাকে NRS-এ নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু NRS কোরোনা হাসপাতাল হওয়ায় সেখানে তাকে ভরতি নেওয়া হয় না । বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় । শনিবার তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । এবারও তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।

লকডাউনে এতদূর থেকে ফের কলকাতায় । কোনওরকমে জোগাড় হয় অ্যাম্বুলেন্স । তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার RG কর হাসপাতালে । সেখানে রক্ত পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোনও চিকিৎসাই হয়নি । এরপর সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর গতকাল তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে । দুপুরের দিকে বারাসতের এক বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে এত ছোটো শিশুর কেমোথেরাপির ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয় । তাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না । গতকাল রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে বামনগাছি এলাকায় । প্রিয়াংশুর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোকজন । স্থানীয়রাও ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছে সরকারি হাসপাতালকে ।

মৃত শিশুর বাবা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, "আমি ভ্যান চালিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই । আমার পক্ষে ক্যানসার আক্রান্ত সন্তানের চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না । তবুও ভেবেছিলাম সরকারি হাসপাতালে অন্তত মেয়ের চিকিৎসা হবে । কিন্তু, সেটাও জুটল না । কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই মারা গেল ও । আমার মেয়ের সঙ্গে যেটা হল, সেটা যেন আর কোনও শিশুর ক্ষেত্রে না হয় । সেটাই দেখার অনুরোধ করব প্রশাসনকে ।"

এবিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক তপন সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তবে,বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.