বসিরহাট, 5 মে: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই সন্ত্রাস কবলিত বসিরহাট এবং হাসনাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিংসা বন্ধে পথে নামল পুলিশ । কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই হিংসা কবলিত বাগুন্ডি, ঘোষপাড়া, হিজলা, মল্লিকপুর, তিলডাঙা-সহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার কাজ শুরু করল তারা । শান্তি রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।
ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসা, হানাহানির খবর সামনে আসতে শুরু করেছে । একই ঘটনা সামনে এসেছে উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকেও । বিশেষ করে বসিরহাট উত্তর ও দক্ষিণ, বাদুড়িয়া এবং স্বরূপনগর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসায় । বিরোধীদের অভিযোগ, "জেলায় তৃণমূল অভাবনীয় ফলাফল করার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অশান্তি । বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে লুঠপাট, ঘরছাড়া কোনও কিছুরই বিরাম নেই । লাগাতার হিংসায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে জেলাজুড়ে ৷" এই পরিস্থিতিতে হিংসা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । পাল্টা শাসকদলও বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসা এবং তাতে মদত জোগানোর অভিযোগ তুলেছে । ফলে এই নিয়ে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই । এসবের মধ্যেই বুধবার সকালে রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শপথের পরই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে হিংসা বন্ধে কড়া বার্তা দেন । বলেন, "শান্তিরক্ষায় সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে ৷"
এদিকে হিংসা বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিতেই নড়েচড়ে বসল বসিরহাট ও হাসনাবাদ থানার পুলিশ । বুধবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস কবলিত ওই দুই থানার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন পুলিশ কর্তারা । সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দূর করে সাহস জোগাতেই টহল দেওয়া হয় বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে । পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলে আদৌ হিংসা বন্ধ হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার বিষয় ।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এখনই কোনও নির্দেশ নয়: হাইকোর্ট