কলকাতা, 7 নভেম্বর: ধর্মতলা চত্বরে গান্ধি মূর্তির (Mahatma Gandhi Statue) পাদদেশে আদৌ কি আর অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারবেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Agitation)? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত অধরা ৷ কারণ, এই ধরনা তুলে দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ সেই মামলায় 'পার্টি' হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ সোমবার মামলার শুনানি হলেও রায়দান স্থগিত রাখে আদালত ৷ ফলে আপাতত ঝুলে রইল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ৷
উল্লেখ্য, নিয়োগের দাবিতে প্রায় 2 বছর ধরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনা দিয়ে যাচ্ছেন 'বঞ্চিত' চাকরিপ্রার্থীরা ৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের এই আন্দোলন 600 দিন পার করে গিয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা রুজু করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার ৷ তাঁর বক্তব্য হল, নিয়োগের দাবিতে বহু চাকরিপ্রার্থীই আদালতে মামলা করতে আসছেন ৷ অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) অভিযোগ উঠেছে, তারও তদন্ত চলছে ৷ নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে ৷ তারপরও কেন রাস্তা ও ফুটপাথ আটকে বসে থাকবেন চাকরিপ্রার্থীরা? এতে সাধারণ মানুষের সমস্য়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারী আইনজীবী ৷
আরও পড়ুন: মমতার অনুষ্ঠানের জন্য বিক্ষোভে বাধা কেন ? প্রশ্ন বিজেপির
কার্যত একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর গলাতেও ৷ এই পরিস্থিতিতে ধর্মতলা চত্বরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে মেয়ো রোডে যে ধর্না এবং অবস্থান বিক্ষোভ চলছে, তা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী ৷ তাতে সায় দিয়েছে রাজ্যের সরকার পক্ষ ৷ তাদের দাবি, এভাবে মাসের পর মাস, দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রাস্তা আটকে কোনও আন্দোলন চলতে পারে না ৷ এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন হাইকোর্টের একাধিক রায় ও পর্যবেক্ষণ উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছেন মামলাকারী এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী ৷
এদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য হল, তাঁরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ৷ আর ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিবাদ প্রত্য়েক নাগরিকের মৌলিক অধিকার ৷ তাই আদালত যাতে তাঁদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে, সেই আবেদনই করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত আপাতত এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে ৷