মধ্যমগ্রাম, 23 ডিসেম্বর : মধ্যমগ্রামে প্রোমোটিং ব্যবসায়ী অশোক সর্দারকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ি করলেন মৃতের ছেলে ৷ নিহতের ছেলে লাল্টু সরদারের অভিযোগ, বিজেপি করায় তাঁর বাবাকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। খুনের পিছনে রয়েছে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র।
গতকাল দুপুরে বারাসত হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "সকালে তাঁর বাবাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়েছিল মধ্যমগ্রামে।এরপর সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে।" তবে, কে বা কারা ফোন করে ডেকে এনেছিল সেবিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোনও নাম বলতে পারেননি নিহতের ছেলে লাল্টু। তাঁর কথায়, "2014 সাল থেকেই আমরা বিজেপির সঙ্গে জড়িত। দু'দিন আগেও বাড়িতে পার্টির বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। তখন থেকেই তৃণমূলরা তক্কে তক্কে ছিল কিছু একটা ঘটনাের। সেটাই সত্যি হল"। লাল্টুর মতে, "অনেকেই আমাকে বলত, বিজেপি পার্টি করছিস কেন। মরতে হবে। আমি যুব সমাজের কাছে আবেদন করছি, আজ আমার বাবা খুন হয়েছে। কাল অন্য কারও বাবা খুন হতে পারে। তৃণমূলের এই নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষকে এক হতে হবে।"
এই অভিযোগ মানতে চাননি মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ। তিনি বলেন, "যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। যতদূর জানি প্রোমোটিং ও জমিজমা সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উনি। তার রেষারেষির জেরেই এই খুনের ঘটনা। যে কোনও মৃত্যুর গায়ে রাজনীতির রং লাগানো এখন স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে ওদের।"
আরও পড়ুন : দিন-দুপুরে গুলি, মৃত এক মধ্যমগ্রামে
মধ্যমগ্রামের চৌবেড়িয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হয় প্রোমোটিং ব্যবসায়ী অশোক সর্দার(50)-কে। জমিজমা সংক্রান্ত ও প্রোমোটিং ব্যবসার শত্রুতার জেরে এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও বেলা গড়াতেই তাতে লেগে যায় রাজনীতির রং । যা ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলার রাজনীতি।