কলকাতা, 4 এপ্রিল: বৃষ্টি হতে না হতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাছের ডিম পাচার শুরু হয়েছে । যার অধিকাংশই কাঁটাতার পেরোতে দিচ্ছে না বিএসএফ । খবর পেলেই অভিযান চালিয়ে পাচার রুখে দুষ্কৃতীদের আটক করছেন আধিকারিকরা । সোমবারও সোনা, রুপো, মাদক রোধের মতই মাছের ডিম পাচার রুখে দিল বিএসএফ । প্রায় সাত লক্ষ টাকার মাছের ডিম ছিল । মোট 48টি প্লাস্টিক ব্যাগে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে সেই মাছের ডিম পাচার হচ্ছিল । খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তা রুখে দেওয়া হল । নদিয়া জেলার রানাঘাট সীমান্ত এলাকার ঘটনা ।
জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত মাছের ডিম বাগদা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে । দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের 68 ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি রানাঘাটের জওয়ানরা আগে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ অভিযান চালায় ৷ সেই অভিযানে মাছের ডিমের 48টি প্লাস্টিকের ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয় । বাজয়াপ্ত করা মাছের ডিমের বাজার মূল্য 7 লক্ষ 20 হাজার টাকা বলে সূত্রের খবর । এসব মাছের ডিমই চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল । সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের এলাকায় কিছু চোরাকারবারীদের গতিবিধির উপর সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে ধাওয়া করে । এরপরেই জওয়ানদের তাদের দিকে আসতে দেখে চোরাকারবারীরা অন্ধকার ও ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে সঙ্গে রাখা সামগ্রী ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সাড়ে 3 লক্ষ টাকার মাছের ডিম পাচার রুখে দিয়েছি বিএসএফ । গত 21 মার্চ উত্তর 24 পরগনার বাগদা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে 23টি প্লাস্টিকের ব্যাগ-সহ এক চোরাচালানকারীকে আটক করা হয় । বাজেয়াপ্ত মাছের ডিম-সহ ধৃতকে বাগদা থানায় হস্তান্তর করে বিএসএফ । দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র একে আর্য্য বিএসএফ জওয়ানদের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেন ।
তিনি বলেন, "দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার কারণে বিপুল টাকার মাছের ডিম বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে ।" তিনি সীমান্তবাসীকে কোনও পরিস্থিতেই চোরাচালানের মতো কাজের সঙ্গে না জড়ানোর কথা বলেন । তিনি জানান, বিএসএফ জওয়ানরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ হতে দেবেন না ৷ তার জন্য বদ্ধ পরিকর তারা । চোরাচালান বা আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও একে আর্য্য জানান ।
আরও পড়ুন: বিএসএফের তৎপরতায় ভেস্তে গেল সাড়ে 3 লক্ষ দামের মাছের ডিম পাচার