ETV Bharat / state

সীমান্তের কাঁটা পেরিয়ে ভাইফোঁটা দেওয়া হল না বোনের - বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে

কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে 2008 সালে এদেশে ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশের দুই ভাই-বোন পল্লব বালা (14) ও প্রিয়া বালা (১২) ৷ দাদা বাংলাদেশে ফিরে গেলেও ফেরা হয়নি বোনের ৷ তাই এবার আর ভাইফোঁটা দেওয়া হল না ৷

ছবি
author img

By

Published : Oct 30, 2019, 10:45 AM IST

Updated : Oct 30, 2019, 11:41 AM IST

বারসত, 30 অক্টোবর : দাদা বাড়ি ফিরলেও, ফেরা হয়নি বোনের ৷ কাঁটাতারের বেড়া এবার তাদের ভাইফোঁটায় বাধ সাধল । দাদা যখন পদ্মাপারে ভাইফোঁটা পাওয়ার অপেক্ষায় । তখন পুরো দিন হোমেই কাটল বোনের ।

বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে । কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে 2008 সালে এদেশে ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশের দুই ভাই-বোন পল্লব বালা (14) ও প্রিয়া বালা (১২)৷ বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তারা । নাবালক দুজনকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সরকারি হোমে । তবে এক জায়গায় নয় । পল্লবের আশ্রয় হয় বারাসত কিশলয় হোমে । আর প্রিয়াকে রাখা হয় বিধাননগরের সুকন্যা হোমে । ভিন্ন সরকারি হোমেও থাকলে গতবছর একই রাজ্যে ভাই-বোন ।

কিশলয় হোমে এসে নিজের ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিতে পেরেছিল প্রিয়া । এবছর ষষ্ঠীর দিন দাদা পল্লব বালাকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বারাসতের কিশলয় হোম কর্তৃপক্ষ । পল্লব বাবা মায়ের কাছে ফিরলেও, থেকে যায় বোন । প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী না হওয়ায় প্রিয়া এখনও সুকন্যা হোমেই আছে ।

দাদা চলে যাওয়ার দুঃখ থাকলেও গতকাল বারাসতের কিশলয় হোমে এসেছিল প্রিয়া । অনেকের সঙ্গে সেও কিশলয় হোমের আবাসিক ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়েছে । দুপুরে এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল কিশলয় হোমে । মেনুতে ছিল সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, বাঁধাকপি, কাতলা মাছের কালিয়া, চিকেন কষা, চাটনি, পাঁপড় ও দই-মিষ্টি । এই বিষয়ে, বারাসত কিশলয় হোমের সুপার মলয় চ্যাটার্জি বলেন, "দাদাকে ফোঁটা দিতে না পারলেও ছোট্ট প্রিয়া হোমের অন্য আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিয়েছে । এভাবেই বাঙালির এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার সংস্কৃতি এগিয়ে যাক ।"

এই বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ । তবুও সবকিছুর মাঝে ভাইফোঁটার দিন দাদাকে না দেখার একটা আক্ষেপ যেন থেকেই গেল প্রিয়ার মনে ।

বারসত, 30 অক্টোবর : দাদা বাড়ি ফিরলেও, ফেরা হয়নি বোনের ৷ কাঁটাতারের বেড়া এবার তাদের ভাইফোঁটায় বাধ সাধল । দাদা যখন পদ্মাপারে ভাইফোঁটা পাওয়ার অপেক্ষায় । তখন পুরো দিন হোমেই কাটল বোনের ।

বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে । কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে 2008 সালে এদেশে ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশের দুই ভাই-বোন পল্লব বালা (14) ও প্রিয়া বালা (১২)৷ বৈধ কাগজপত্র না থাকায় বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তারা । নাবালক দুজনকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সরকারি হোমে । তবে এক জায়গায় নয় । পল্লবের আশ্রয় হয় বারাসত কিশলয় হোমে । আর প্রিয়াকে রাখা হয় বিধাননগরের সুকন্যা হোমে । ভিন্ন সরকারি হোমেও থাকলে গতবছর একই রাজ্যে ভাই-বোন ।

কিশলয় হোমে এসে নিজের ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিতে পেরেছিল প্রিয়া । এবছর ষষ্ঠীর দিন দাদা পল্লব বালাকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বারাসতের কিশলয় হোম কর্তৃপক্ষ । পল্লব বাবা মায়ের কাছে ফিরলেও, থেকে যায় বোন । প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী না হওয়ায় প্রিয়া এখনও সুকন্যা হোমেই আছে ।

দাদা চলে যাওয়ার দুঃখ থাকলেও গতকাল বারাসতের কিশলয় হোমে এসেছিল প্রিয়া । অনেকের সঙ্গে সেও কিশলয় হোমের আবাসিক ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়েছে । দুপুরে এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল কিশলয় হোমে । মেনুতে ছিল সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, বাঁধাকপি, কাতলা মাছের কালিয়া, চিকেন কষা, চাটনি, পাঁপড় ও দই-মিষ্টি । এই বিষয়ে, বারাসত কিশলয় হোমের সুপার মলয় চ্যাটার্জি বলেন, "দাদাকে ফোঁটা দিতে না পারলেও ছোট্ট প্রিয়া হোমের অন্য আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিয়েছে । এভাবেই বাঙালির এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার সংস্কৃতি এগিয়ে যাক ।"

এই বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ । তবুও সবকিছুর মাঝে ভাইফোঁটার দিন দাদাকে না দেখার একটা আক্ষেপ যেন থেকেই গেল প্রিয়ার মনে ।

Intro:"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়ল কাটা"-ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেওয়া হলনা ১২ বছরের ছোট্ট প্রিয়ার!কারন,দাদা ফিরতে পারলেও বৈধ কাগজপত্র তৈরি না হ‌ওয়ায় বাংলাদেশে ফেরা হয়নি তাঁর!পরিবার ছাড়াই এখনও এরাজ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে ছোট্ট মেয়েটির! বর্তমানে সে রয়েছে বিধাননগরের সুকন্যা হোমে! ভাইফোঁটা দিতে না পারায় মন ভারাক্রান্ত তাঁর!তবে,সেই আক্ষেপ কিছুটা হয়তো মিটেছে বারাসত কিশলয় হোমের আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিয়ে!এযেন দুধের ঘোল স্বাদে মেটানোর মতো! Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:- কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ২০০৮ সালে ভুল করে এদেশে ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশের দুই নাবালক ভাই-বোন!সাথে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় শেষে বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তাঁরা!একজন পল্লব বালা,বয়স ১৪!অন্যজন প্রিয়া বালা,বয়স ১২!নাবালক দুই ভাই-বোনের বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে!দু-জনকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সরকারি হোমে!তবে,একজায়গায় নয়!পল্লবের আশ্রয় হয় বারাসত কিশলয় হোমে!আর প্রিয়াকে রাখা হয় বিধাননগরের সুকন্যা হোমে!গত এক বছর দুটি ভিন্ন সরকারি হোমে থাকলেও বাংলাদেশের দুই নাবালক ভাই-বোন এরাজ্যেই ছিল।চলতি বছর ষষ্ঠীর দিনে দাদা পল্লব বালাকে বারাসতের কিশলয় হোম কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন।কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী না হওয়ায় ১২ বছরের প্রিয়া বালা এখনও সুকন্যা হোমেই রয়ে গেছেন।গত বছরেও কিশলয় হোমে এসে নিজের ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিতে পেরেছিল বোন প্রিয়া।দাদা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ায় এই বছরে সেটা আর সম্ভব হয়নি প্রিয়ার পক্ষে।ষষ্ঠীর দিন দাদা চলে যাওয়া পর থেকেই প্রিয়ার মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল।দুঃখ হচ্ছিল দাদা পল্লবের জন্য।কিন্তু ভাইফোঁটার দিনে দাদাকে কাছে না পাওয়ার সেই দুঃখ অার বুকের ভিতরে যন্ত্রনাটা আরও বেশি করেই বিধেছিল প্রিয়াকে।তাসত্বেও একরাশ দুঃখ অার বেদনা নিয়েও সুকন্যা হোমের সম বয়সী অনেকের সাথেই মঙ্গলবার বারাসতের কিশলয় হোমে এসেছিল প্রিয়াও।অনেকের সাথে সেও কিশলয় হোমের আবাসিক ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়েছে।"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা" বলেও তাঁদের মঙ্গল কামনা করেছেন। কিন্তু সেই ফোঁটা নিজের দাদার কপালে দিতে না পারার আক্ষেপটা কিছুতেই সরিয়ে রাখতে পারেনি সে! ছোট্ট প্রিয়া মুখে সে কথা স্বীকারও করেছে।এ যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো।

সাধারনত প্রতি বছরই বিধাননগরের সুকন্যা হোমের আবাসিক বোনেরা বারাসতের কিশলয় হোমে আসে ভাই ফোঁটা দিতে।এবছরেও তার অন্যথা হয়নি।এদিন সুকন্যা হোমের ৩৫ জন আবাসিক কিশলয় হোমে গিয়ে সেখানকার আবাসিকদের ভাইফোঁটা দেয়! সেখানে গিয়ে দেখা গেল ভাই ফোঁটার সব অায়োজনই তৈরী।কিশলয় হোমের আবাসিকরা নিজেরাই হাতে করে কালি মুর্তি বানিয়ে পুজো করেছে হোমের লনেই ছোট্ট একটা মন্ডপ বানিয়ে।বাজছিল মাইকও।ফোঁটা নেওয়ার আনন্দে এদিন সকাল সকাল স্নান সেরে নতুন জামা প্যান্ট পরে একেবারে তৈরী ছিল কিশলয় হোমের আবাসিকরা।ভাইফোঁটা উপলক্ষে দুপুরে এলাহি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল! মেনুতে ছিল সাদা ভাত,মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল,বাধাকপি,কাতলা মাছের কালিয়া,চিকেন কষা,চাটনি,পাপড় ও দই মিষ্টি।

বারাসত কিশলয় হোমের সুপার মলয় চ্যাটার্জি বলেন, দাদাকে ফোঁটা দিতে না পারলেও ছোট্ট প্রিয়া হোমের অন্য আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিয়েছে!এভাবেই বাঙালীর এই ভাতৃ দ্বিতীয়ার সংস্কৃতি এগিয়ে যাক"।

এক বছরের মধ্যে পল্লব বালাকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে কাজটা বারাসত কিশলয় হোম কর্তৃপক্ষ করতে পেরেছে,সেই কাজটাই কিন্তু এখনও করে উঠতে পারেনি সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ।ফলে পল্লব ফিরে গেলেও তার ১২ বছরের বোন এখনও বাবা মা ও দাদাকে ছেড়ে এখানেই রয়ে গিয়েছেন।এই বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ।Conclusion:এক বছরের মধ্যে পল্লব বালাকে ফিরিয়ে দেওয়ার যে কাজটা বারাসত কিশলয় হোম কর্তৃপক্ষ করতে পেরেছে,সেই কাজটাই করতে পারেনি বিধাননগরের সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ!ফলে,পল্লব ফিরে গেলেও তাঁর ১২ বছরের বোনকে এখনও পরিবার ছাড়াই এখানে থাকতে হচ্ছে! এনিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি সুকন্যা হোম কর্তৃপক্ষ!
Last Updated : Oct 30, 2019, 11:41 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.