ব্যারাকপুর, 29 নভেম্বর: 'সম্রাট বেশি বাড়াবাড়ি করিস না ! সাবধান হয়ে যা !" বুধবার ধর্মতলায় অমিত শাহের সভার দিন এমনই হুমকি পোস্টার পড়ল তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে । এমনকি ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে থেকে এদিন দুটি বোমাও উদ্ধার হয়েছে ৷ কাউন্সিলরের বাড়ি সংলগ্নই তাঁর ওই কার্যালয় ৷ বুধবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্যারাকপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট তপাদারের কার্যালয়ের সামনে ৷
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাউন্সিলরের অফিসের সামনে থেকে দুটি বোমা উদ্ধার করে । উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু হুমকি পোস্টারও ৷ কেউ ভয় দেখাতে কেউই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট তপাদার । তবে এর পিছনে কারা রয়েছে তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ।
সম্রাট তপাদার শাসকদলের কাউন্সিলর হওয়ার পাশাপাশি একজন আইনজীবীও বটে । তাঁর বাড়ি ব্যারাকপুরের নাপিত পাড়ায়। এদিন বেলার দিকে সম্রাটের বাড়ি সংলগ্ন কার্যালয়ের ঠিক সামনে দু'টি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন পৌরসভার সাফাই কর্মীরা । সেই সঙ্গে তাঁরা লক্ষ্য করেন, দু'টি বোমার পাশেই পড়ে রয়েছে দু'টি হুমকি পোস্টার । বিষয়টি নজরে আসতেই জানানো হয় পৌরসভার 2 ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট তপাদারকে। এরপর খবর পেয়ে টিটাগড় থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে । সেখান থেকে দু'টি বোমা এবং হুমকি পোস্টার উদ্ধার করে নিয়ে যায় তাঁরা । এলাকাটি বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে খতিয়ে দেখেন টিটাগড় থানার পুলিশ কর্তারা ।
জানা গিয়েছে, শাসকদলের কাউন্সিলর হওয়ার আগে আইনজীবী সম্রাট তপাদার কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, একসময়ে কংগ্রেসের ডাকাবুকো নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর । পরবর্তী সময়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি ।পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যারাকপুর পৌরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে কাউন্সিলরও নির্বাচিত হন সম্রাট ।
তবে, কান পাতলেই শোনা যায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধ এক গোষ্ঠীর সঙ্গে নানা ইস্যুতে মতবিরোধ রয়েছে দলীয় এই কাউন্সিলরের । তার জেরে এই ঘটনা কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছেও । দিও বিষয়টি নিয়ে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি তৃণমূল কাউন্সিলর সম্রাট তপাদার । তিনি বলেন,"আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত । তাই,এভাবে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই । এরপরও আমি আমার মতো করে রাজনীতি করে যাব । পুলিশ তদন্ত করে দেখছে । তার আগে কোনও কিছুই বলা আমার উচিত নয় । তাতে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এটুকু বলব,আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক। ফলে,এতে আমি ভীতসন্ত্রস্ত নই ৷" তবে এদিনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷
আরও পড়ুন: