বনগাঁ, 29 এপ্রিল : বছর গড়ালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । তার আগে উত্তর চব্বিশ পরগনায় বড় ধাক্কা খেল বিজেপি ৷ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের । গাইঘাটার ধর্মপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রাধন-সহ চার বিজেপি সদস্য শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেন (BJP Panchayat Leaders Join TMC) ৷ ফলে এই পঞ্চায়েতটি হাতছাড়া হল বিজেপির (BJP loses Dharampur-2 panchyat in Gaighata)।
এদিন তৃণমূলের বনগাঁ জেলা কার্যালয়ে দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ, চেয়ারম্যান শংকর দত্ত ও গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস প্রমুখ ৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়া ধর্মপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলাদ্রি ঢালি বলেন, "বিজেপিতে থেকে অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছিল না । দশ বছর ধরে আমরা লক্ষ্য করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলাজুড়ে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন ৷ সেই উন্নয়নে সামিল হলাম আমরাও । আগামী দিনে মানুষের কাছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে চাই, তাঁদের পাশে থাকতে চাই ৷"
আরও পড়ুন : অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি নেই, জানালেন ফিরহাদ
বিজেপি নেতা-কর্মীদের এই দলবদল প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ বলেন, " বিজেপির অধীনে ধর্মপুর-2 পঞ্চায়েত ছিল ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার জন্য এখানকার বিজেপি প্রধান-সহ চার সদস্য ব্লক সভাপতি বিপ্লব দাসের নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগদান করলেন । বিজেপির এই সদস্যরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে চান বলে আবেদন করেছিলেন ৷" এবিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, "সারা পশ্চিমবঙ্গে দল ভাঙার খেলা খেলছে তৃণমূল ৷ 2021 সালের পর থেকে এইসব শুরু করেছে । কেউ ভালবেসে যাচ্ছে না । স্বেচ্ছায় যাচ্ছে না । যাঁরা যাচ্ছেম তাঁরা ভয়ে যাচ্ছেন । এই ভাবে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয় । আগামী দিনে তৃণমূল দল বলে কিছুই থাকবে না ।"
গাইঘাটা ব্লকের ধর্মপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন 16টি । 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে 8টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস পায় 6টি আসন, দু'টি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থীরা ৷ নির্দলের দু'জনের মধ্যে একজন বিজেপিকে ও অপরজন তৃণমূলকে সমর্থন করছিলেন ৷ ফলে 9 সদস্যের সমর্থন নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত গঠন করে । প্রধান হন নীলাদ্রি ঢালি । পঞ্চায়েত গঠনের পর তৃণমূলকে সমর্থনকারী নির্দল সদস্যও বিজেপিতে চলে যান । এর প্রায় চার বছর পর এবার পালাবদল হল এই পঞ্চায়েতে ৷