বসিরহাট, 22 নভেম্বর: বসিরহাট গুলিকাণ্ডে এবার পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির (Bashirhat Shoot Case)। মঙ্গলবার বিকালে বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল প্রভাস সর্দারকে দেখতে আসে জেলা বিজেপির প্রতিনিধি দল। এদিন ওই কনস্টেবলে বাঁ-কাঁধে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে ৷ তিনি অনেকটাই বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, "এই রাজ্যে পুলিশও সুরক্ষিত নন ৷ সাধারণ মানুষের কথা তো বাদ দিলাম। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে একজন পুলিশ কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে এর দায় মাথায় নিয়ে পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত । তা যদি তিনি না-করে থাকেন তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করি উচিত ৷’’
আরও পড়ুন: মদ খেতে বাধা, মেয়েকে গুলি করে 'খুন' বাবার
গুলিকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র ৷ তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই । তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বসিরহাটের ঘটনা ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর দলের প্রতি এখন কোনও কন্ট্রোল নেই ! দল পরিচালনা করছে সমাজ বিরোধীরা।ফলে যা হওয়ার তাই ঘটছে । সরকারি পুলিশ কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা না জুটলেও তাঁদের এখন জুটছে গুলি। এটা রাজ্যের কাছে লজ্জার। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি"।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বসিরহাটে ধুন্ধুমার, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল; গ্রেফতার 41
প্রসঙ্গত, গতকাল তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে (Trinamool Factionalism) ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বসিরহাটে ৷ গুলিবিদ্ধ হলেন একজন কনস্টেবল ৷ এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা-সহ 41 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় প্রথম থেকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। উলটে তাঁরা ঘটনার দায় চাপিয়েছে আইএসএফ এবং বিজেপি এই দুই রাজনৈতিক দলের দিকে।