বারাসত, 13 জুন : গড়িয়ার শ্মশানে মৃতদেহ কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে । পদত্যাগ করতে হবে কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে । আজ বারাসতে দলীয় জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বললেন BJP-র সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা । নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি কর্মসূচি উপলক্ষে বারাসত দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি । সেখানেই সাংবাদিক বৈঠকে গড়িয়ার শ্মশানে মৃতদেহ কাণ্ডে সরব তিনি । সরাসরি রাজ্যকে আক্রমণ করে বলেন, "শ্মশানে যেভাবে কাঁটা দিয়ে দেহ টানা হয়েছে তা অমানবিক । মুখ্যমন্ত্রী যতই আড়াল করার চেষ্টা করুন, আমরা বলছি 14 টি মৃতদেহই কোরোনা রোগীর । না-হলে এত ছুঁৎমার্গ থাকে না ।"
কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য প্রচারের জন্য সাংবাদিক বৈঠক হলেও গোড়া থেকেই রাহুলের নিশানায় ছিল তৃণমূল । তিনি বলেন, "কোরোনা ও লকডাউনে দেশের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন । শিল্প ও কল-কারখানার সমস্যা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী 20 লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন । কিন্তু কোরোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ । তাই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেছে । শুধু তা-ই নয়, কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে ।"
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন তিনি । তিনি বলেন, "আমরা ঝড়ের আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমরা কোনও রাজনীতি চাই না । আমরা আপনার পাশে থাকতে চাই । কিন্তু আমফান ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করেছেন । আর এই দুর্নীতির মাথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । তাঁর দপ্তরের সচিবকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে ।"
তৃণমূলের ভরাডুবি আসন্ন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রাহুল সিনহা বলেন, "আপনার দল তৃণমূল কংগ্রেস কোমায় চলে গেছে । আপনি যদি সরকার না চালাতে পারেন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করুন । আর আপনারা সন্ন্যাস গ্রহণ করে চলে যান ।"