ETV Bharat / state
2014 সাল পর্যন্ত এদেশে আসা হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন : দিলীপ
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বক্তব্য পেশ দিলীপ ঘোষের ৷
2014 সাল পর্যন্ত এদেশে আসা হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন : দিলীপ
By
Published : Sep 13, 2019, 6:29 PM IST
বারাসত, 13 সেপ্টেম্বর : 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন । শুধু তা-ই নয়, তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বিষয়েও BJP সরকার চিন্তাভাবনা করবে । কেউ ভারতের বাইরে যাবেন না ৷ একথাই বললেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ বারাসত আদালতে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি ৷
অসমের নাগরিকপঞ্জির পর আতঙ্কিত এরাজ্যের অনেকেই । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ''আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । নাগরিকত্বের যে বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতবর্ষের হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন । পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইলে, তাঁরা ভারতে থাকার অধিকার আছে । তাঁকে আমরা নাগরিকত্ব দেব । ''
তিনি আরও বলেন, ''অসমের NRC ও বাংলার NRC-র মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে । এই দু'টি একেবারে ভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে । বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । BJP সরকার যে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা আছে 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চিয়ান, শিখ, জৈন ও পার্সি ভারতে এসেছেন, তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন । কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল ও CPI(M) সেই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করতে দিচ্ছে না । বিলটি পাশ করানোর পরেই বাংলায় NRC-এর পথে হাঁটা হবে । ফলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা এই সব ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন । ''
NRC নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি । বলেন, নোট বাতিল, GST, তিন তালাক বিল, কাশ্মীরে 370 প্রত্যাহার যেমন হয়েছে, বাংলায় NRC-ও চালু হবে । NRC পরীক্ষামূলকভাবে চলছে । তারপর সর্বত্র হবে ।
আরও এক BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেন, ''তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে । তাই তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । যেসব হিন্দুরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের এতদিন কোনও রাজনৈতিক দল নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবেনি ।''
শমীকবাবু বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন । সেইমতো নাগরিকত্ব বিলও এনেছেন । কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে । তাঁর কথায়, ''যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে । ''
বারাসত, 13 সেপ্টেম্বর : 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন । শুধু তা-ই নয়, তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বিষয়েও BJP সরকার চিন্তাভাবনা করবে । কেউ ভারতের বাইরে যাবেন না ৷ একথাই বললেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আজ বারাসত আদালতে একটি রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি ৷
অসমের নাগরিকপঞ্জির পর আতঙ্কিত এরাজ্যের অনেকেই । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ''আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । নাগরিকত্বের যে বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতবর্ষের হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন । পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইলে, তাঁরা ভারতে থাকার অধিকার আছে । তাঁকে আমরা নাগরিকত্ব দেব । ''
তিনি আরও বলেন, ''অসমের NRC ও বাংলার NRC-র মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে । এই দু'টি একেবারে ভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে । বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই । BJP সরকার যে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা আছে 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চিয়ান, শিখ, জৈন ও পার্সি ভারতে এসেছেন, তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন । কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল ও CPI(M) সেই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করতে দিচ্ছে না । বিলটি পাশ করানোর পরেই বাংলায় NRC-এর পথে হাঁটা হবে । ফলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা এই সব ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন । ''
NRC নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি । বলেন, নোট বাতিল, GST, তিন তালাক বিল, কাশ্মীরে 370 প্রত্যাহার যেমন হয়েছে, বাংলায় NRC-ও চালু হবে । NRC পরীক্ষামূলকভাবে চলছে । তারপর সর্বত্র হবে ।
আরও এক BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেন, ''তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে । তাই তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । যেসব হিন্দুরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের এতদিন কোনও রাজনৈতিক দল নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবেনি ।''
শমীকবাবু বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন । সেইমতো নাগরিকত্ব বিলও এনেছেন । কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে । তাঁর কথায়, ''যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে । ''
Intro:২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন, NRC নিয়ে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।।
বারাসাতঃ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। শুধু তা-ই নয়, তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বিষয়েও বিজেপি সরকার চিন্তা ভাবনা করবেন। কেউ ভারতের বাইরে যাবে না বলে আশ্বস্ত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বারাসাত আদালতে রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ।
অসমের নাগরিকপঞ্জির পর আতঙ্কিত বাংলার মানুষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, 'আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্বের যে বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতবর্ষের হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইলে, তাঁরা ভারতে থাকার অধিকার আছে। তাঁকে আমরা নাগরিকত্ব দেব।'
দিলীপ এদিন আরও বলেন, 'অসমের এনআরসি ও বাংলার এনআরসির মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। এই দু'টি একেবারে ভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। বিজেপি সরকার যে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে, সেখানে পরিস্কারভাবে বলা আছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন ও পার্সি ভারতে এসেছেন, তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম সেই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করতে দিচ্ছে না। বিলটি পাশ কারানোর পরেই বাংলায় এনআরসির পথে হাঁটা হবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা এই সব ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।'
NRC নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুংকার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, মমতা ব্যানার্জির আওয়াজই আছে। আর কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রী বেঁচে থাকতে নোট বাতিল, জিএসটি, তিন তালাক বিল, কাশ্মীরে ৩৭০ প্রত্যাহার যেমন হয়েছে, এখানেএ এনআরসিও চালু হবে। এনআরসি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। তারপর সর্বত্র হবে।
এদিন আরও এক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেন, 'তৃণমুল বুঝতে পেরেছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে। তাই তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যেসব হিন্দুরা পাকিস্তান, আফগানস্থান, বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের এতদিন কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেইমতো নাগরিকত্ব বিলও এনেছেন। কিন্তু আন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে। তারা সময়মতো জবাব দেবে। তিনি বলেন, দেশ ভাগের সময় কত শতাংশ হিন্দু পাকিস্তানে ছিল আর আজ সেই সংখ্যাটা কত দাঁড়িয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু রাস্তায় হাঁটলেন আর রাজ্যসভায় কিছু বিবৃতি দিলেই হিন্দু স্বার্থ রক্ষা পায় না। যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।Body:২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন, NRC নিয়ে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।।
বারাসাতঃ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। শুধু তা-ই নয়, তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বিষয়েও বিজেপি সরকার চিন্তা ভাবনা করবেন। কেউ ভারতের বাইরে যাবে না বলে আশ্বস্ত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বারাসাত আদালতে রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ।
অসমের নাগরিকপঞ্জির পর আতঙ্কিত বাংলার মানুষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, 'আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্বের যে বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতবর্ষের হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইলে, তাঁরা ভারতে থাকার অধিকার আছে। তাঁকে আমরা নাগরিকত্ব দেব।'
দিলীপ এদিন আরও বলেন, 'অসমের এনআরসি ও বাংলার এনআরসির মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। এই দু'টি একেবারে ভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। বিজেপি সরকার যে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে, সেখানে পরিস্কারভাবে বলা আছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন ও পার্সি ভারতে এসেছেন, তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম সেই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করতে দিচ্ছে না। বিলটি পাশ কারানোর পরেই বাংলায় এনআরসির পথে হাঁটা হবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা এই সব ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।'
NRC নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুংকার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, মমতা ব্যানার্জির আওয়াজই আছে। আর কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রী বেঁচে থাকতে নোট বাতিল, জিএসটি, তিন তালাক বিল, কাশ্মীরে ৩৭০ প্রত্যাহার যেমন হয়েছে, এখানেএ এনআরসিও চালু হবে। এনআরসি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। তারপর সর্বত্র হবে।
এদিন আরও এক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেন, 'তৃণমুল বুঝতে পেরেছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে। তাই তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যেসব হিন্দুরা পাকিস্তান, আফগানস্থান, বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের এতদিন কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেইমতো নাগরিকত্ব বিলও এনেছেন। কিন্তু আন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে। তারা সময়মতো জবাব দেবে। তিনি বলেন, দেশ ভাগের সময় কত শতাংশ হিন্দু পাকিস্তানে ছিল আর আজ সেই সংখ্যাটা কত দাঁড়িয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু রাস্তায় হাঁটলেন আর রাজ্যসভায় কিছু বিবৃতি দিলেই হিন্দু স্বার্থ রক্ষা পায় না। যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।Conclusion:২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে আসা হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন, NRC নিয়ে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।।
বারাসাতঃ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। শুধু তা-ই নয়, তার পরবর্তী ক্ষেত্রে যে সব হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের বিষয়েও বিজেপি সরকার চিন্তা ভাবনা করবেন। কেউ ভারতের বাইরে যাবে না বলে আশ্বস্ত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বারাসাত আদালতে রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন দিলীপ।
অসমের নাগরিকপঞ্জির পর আতঙ্কিত বাংলার মানুষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, 'আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্বের যে বিল লোকসভায় পাশ হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, সারা ভারতবর্ষের হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইলে, তাঁরা ভারতে থাকার অধিকার আছে। তাঁকে আমরা নাগরিকত্ব দেব।'
দিলীপ এদিন আরও বলেন, 'অসমের এনআরসি ও বাংলার এনআরসির মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। এই দু'টি একেবারে ভিন্ন বিষয় ও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে। বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। বিজেপি সরকার যে নাগরিকত্ব বিল পাশ করেছে, সেখানে পরিস্কারভাবে বলা আছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন ও পার্সি ভারতে এসেছেন, তাঁরাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম সেই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করতে দিচ্ছে না। বিলটি পাশ কারানোর পরেই বাংলায় এনআরসির পথে হাঁটা হবে। ফলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা এই সব ধর্মের মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।'
NRC নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুংকার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, মমতা ব্যানার্জির আওয়াজই আছে। আর কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রী বেঁচে থাকতে নোট বাতিল, জিএসটি, তিন তালাক বিল, কাশ্মীরে ৩৭০ প্রত্যাহার যেমন হয়েছে, এখানেএ এনআরসিও চালু হবে। এনআরসি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। তারপর সর্বত্র হবে।
এদিন আরও এক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বলেন, 'তৃণমুল বুঝতে পেরেছে, তাদের দিন শেষ হতে চলেছে। তাই তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যেসব হিন্দুরা পাকিস্তান, আফগানস্থান, বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের এতদিন কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ভাবেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁদের নগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেইমতো নাগরিকত্ব বিলও এনেছেন। কিন্তু আন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে। তারা সময়মতো জবাব দেবে। তিনি বলেন, দেশ ভাগের সময় কত শতাংশ হিন্দু পাকিস্তানে ছিল আর আজ সেই সংখ্যাটা কত দাঁড়িয়েছে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু রাস্তায় হাঁটলেন আর রাজ্যসভায় কিছু বিবৃতি দিলেই হিন্দু স্বার্থ রক্ষা পায় না। যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।