কলকাতা, 26 জুলাই: ক্রিপটো কারেন্সিতে ইনভেস্টমেন্ট করে ডবল প্রফিট করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় 17 টাকার প্রতারণার ঘটনা ঘটল শহরে ৷ এই জাতিয়াতি চক্রের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । ধৃতের নাম শ্যামানন্দ কুমার ৷ সে বিহারের চন্দনপুরা গ্রামের বাসিন্দা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা রাধা ঘোষ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর কাছে সোশাল মিডিয়া মারফত একটি তথ্য আসে যে, ইউটিউবে ভিডিও দেখে ঘরে বসে রোজগার করা সম্ভব । সেই অনুযায়ী তিনি লিংকে ক্লিক করে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেন এবং কিছু টাকা আয়ও করেন ৷ এরপরই তাঁকে হোয়াটস অ্যাপ মারফত এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, তিনি যে টাকা রোজগার করছেন তার থেকে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন ক্রিপটো কারেন্সি মারফৎ । এর জন্য তাঁকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে যুক্ত হতে হবে । সেই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর ক্রিপটো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করার জন্য তাঁকে প্রলোভন দেখানো হয় । এরপরে তিনি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ মারফত ক্রিপটো কারেন্সিতে ইনভেস্ট করতে থাকেন । পরবর্তীতে তাঁর আয় যখন লক্ষাধিক টাকায় পৌঁছে যায় তিনি সেই টাকা তুলতে গেলে সেই কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় লাভের 40 শতাংশ টাকা সংস্থাকে দিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় রিল পোস্ট নিয়ে ঝামেলা, দিদিকে খুন কিশোরের !
রাধা ঘোষ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সেভাবেই টাকা প্রদান করেন, তবে তিনি তার টাকা তুলতে পারেননি । অভিযোগকারীর দাবি, প্রতারকদের হাতে মোট 17 লক্ষ 35 হাজার টাকা তুলে দেন তিনি । কিন্তু পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন ৷ বিষয়টি বুঝতে পেরেই তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন ।
আরও পড়ুন: ইএসআই হাসপাতালে কর্মীর দেহ উদ্ধার, স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, একটি প্রতারণা চক্র ফাঁদ পেতে বিভিন্ন লোকের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এভাবে । এই ঘটনায় বিহারের চন্দনপুরা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামানন্দ কুমারকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । তার কাছ থেকে একটি আধার কার্ড, একটি প্যান কার্ড, দুটি এটিএম কার্ড এবং পাসবুক এবং মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । ধৃতকে জেরে করা এই চক্রের অন্যান্যদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ ৷