বারাসত, 1 এপ্রিল : বিক্ষোভের আশঙ্কায় ভোট বয়কটকারীদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে গেলেন বারাসতের তারকা তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী । এর ফলে ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন বিদায়ী বিধায়কের বিরুদ্ধে । কেউ বললেন বিধায়ক যদি মানুষের সমস্যার কথা নাই শুনে পালিয়ে চলে যান,তাহলে দায়বদ্ধতা শুধু তাঁর । আবার কেউ না আসার পিছনে দায় চাপালেন বিদায়ী স্থানীয় কাউন্সিলরের ঘাড়ে । অপেক্ষার পরও বিদায়ী বিধায়ক এবং তৃণমূলের তারকা প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর দেখা না মেলায় হতাশ পৌরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্র সংঘের বাসিন্দারা ।
রাস্তা, পানীয়জল ও নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যেই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন ছাত্র সংঘ গলির কয়েকশো বাসিন্দা । তা জানতে পেরে সেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল গিয়ে কথা বলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে । ভোট বয়কট থেকে সরে আসার আবেদনও জানানো হয় তাদের । কিন্তু সেই আবেদন প্রত্যাখান করে বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না তাঁদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ ভোট বয়কটে-ই অনড় থাকবেন তাঁরা । ফলে, ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তেই অনড় গলির প্রায় চারশো বাসিন্দা । খবর কানে যেতে বাসিন্দাদের সঙ্গে শীঘ্রই দেখা করে তাঁদের কথা শোনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চিরঞ্জিত ৷ সেই কথা মতো বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারে 33 নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল বারাসতের তারকা তৃণমূল প্রার্থীর ৷ প্রস্তুত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারাও । সকালেই গলির সামনের রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা । ভেবেছিলেন বিদায়ী বিধায়ক ও তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় আসলে সমস্যার কথা শোনাবেন । কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষা করাই সার ! পাশের এলাকায় প্রচারে এলেও বিক্ষোভের আশঙ্কায় সেখানে পা-ই রাখলেন চিরঞ্জিত । ফলে,সমস্যার কথা জানাতে না পেরে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাসিন্দারা । সেই সঙ্গে হতাশার সুরও শোনা গেল তাঁদের গলাতে।
আরও পড়ুন : সাগরে 2 বার ভোট দিলেন যুবক
এবিষয়ে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বারাসতের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"পৌরসভা ও বিদায়ী বিধায়কের কাজকর্মে ওখানকার বাসিন্দারা প্রচন্ড ক্ষিপ্ত । সেটা আমি প্রচারে গিয়েই টের পেয়েছিলাম । তা সত্বেও বলব বাসিন্দাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি শোনা উচিত ছিল তৃণমূল প্রার্থীর । অথচ,তিনি বাসিন্দাদের মুখোমুখি না হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে চলে গেলেন।"