বারাসত, 12 এপ্রিল : কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতিপক্ষ দুই ভিভিআইপি নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদির জনসভা করার কথা ছিল বারাসতে । যা নিয়ে বাড়ছিল রাজনৈতিক চাপানউতর । শেষপর্যন্ত পিছিয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবারের জনসভা ৷ এদিনের পরিবর্তে মঙ্গলবার নির্ধারিত বারাসত স্টেডিয়ামেই জনসভা হবে তৃণমূল সুপ্রিমোর । ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় । তবে সভা বাতিলের কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি ৷ একইদিনে মোদি-মমতার সভা ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ দলের তারকা প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সমর্থনে বারাসত স্টেডিয়ামে সভা করার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এর কয়েক ঘণ্টা পর মমতার সভাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বারাসতের কাছারি ময়দানে জনসভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । একইদিনে দুই হেভিওয়েটের সভা ঘিরে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছিল । এই নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা ।
![বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্ট](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/11369730_wb_gff.jpg)
বিজেপি একদিকে তৃণমূলকে দুষে যেমন মমতার সভার আয়োজনের অভিযোগ তুলেছিল । অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠ দখল করে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসকদল । ফলে, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছিল ভোটের মুখে । প্রশ্ন ওঠে, একদিনে প্রতিপক্ষ দুই ভিভিআইপির সভার অনুমোদন নিয়ে । প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ।
মমতার সভার কয়েকঘণ্টা আগে রবিবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট করে সভার সময়সূচি পরিবর্তনের কথা জানান বারাসত শহর তৃণমূলের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, "প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা আয়োজিত হবে 13 এপ্রিল বারাসত স্টেডিয়ামে । সকাল এগারোটা নাগাদ ৷ সভায় দলের সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের হাজির থাকার আহ্বান জানান তৃণমূল নেতা । তবে, সভা স্থগিতের সুস্পষ্ট কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি সেই ফেসবুক পোস্টে ।
আরও পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিকরা কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক ? গণতন্ত্রের উৎসবে হাহাকার শীতলকুচির