বসিরহাট,19 মে : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের স্মৃতিই এখন ভাবাচ্ছে বসিরহাট মহকুমার বাসিন্দাদের । যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে তারা । দুর্যোগ মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
একবছর আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তছনছ করে দিয়েছিল বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। ছ'জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘরবাড়ি ভেঙেছিল কয়েক হাজার। সেই স্মৃতিই এখনও তাড়া করে ফিরছে। যদিও বসিরহাট মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, মোট 10টি ব্লকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে । তারমধ্যে সুন্দরবন লাগোয়া সন্দেশখালি 1ও 2 নম্বর ব্লক, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ও মিনাখাঁ ব্লকে চরম সতর্কতা জারি হয়েছে । উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে প্রচার চলছে। প্রতিটি ব্লকের জন্য 300 মেট্রিক টন চাল মজুত করা হয়েছে। পাশাপাশি 50 হাজার ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি 20 হাজার ত্রিপল মজুত রাখা হয়েছে। এক লাখ জলের পাউচ মজুত করা হয়েছে। প্রায় 50 হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। মোট 57 টি ফ্লাড সেন্টার করা হয়েছে।
63টি মাল্টি পারপাস সাইক্নোন সেন্টার খোলা হয়েছে। ত্রাণ শিবির হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে 500টি সরকারি ভবনকে। নদীর ধারে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে সরকারি ত্রাণ শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে থাকার সময় কোনওভাবে যাতে কোরোনার সংক্রমণ না হয়, তার জন্য 50 হাজার মাস্কের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন । সঙ্গে স্যানিটাইজারও দেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলোতে । PPE মজুত রাখা হয়েছে এক হাজার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লকের রামপুর ও ন্যাজাটে ক্যাম্প করা হয়েছে । জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ক্যাম্প হয়েছে হাসনাবাদ, যোগেশগঞ্জ ও ধামাখালিতে। রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি আধিকারিকদের সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বসিরহাটের মহকুমাশাসক বিবেক ভাসমে বলেন, "ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আমরা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি । প্রত্যেক ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।"