ETV Bharat / state

Critical Surgery at Barasat Medical: ঝুঁকিপূর্ণ সিজারে সন্তান-সহ প্রসূতিকে জীবন দান বারাসত মেডিক্যালের চিকিৎসকের

পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে পরিবারের লোকেরাও প্রসূতি ও গর্ভস্থ সন্তানের বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু ওই যে কথায় আছে, 'ডাক্তাররা ভগবান' ৷ ফের এটাই প্রমাণ করলেন বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৷ জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ সিজারে মৃত্যুমুখ থেকে ফেরালেন প্রসূতি ও গর্ভস্থ সন্তানকে (Risky Cesarean Delivery at Barasat Medical)৷

ETV Bharat
হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে সন্তান কোলে প্রসূতি
author img

By

Published : Mar 8, 2023, 10:13 PM IST

প্রসূতির জটিল অস্ত্রোপচারের বিষয়ে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য

বারাসত, 8 মার্চ: একদিকে প্রবল শ্বাসকষ্ট ৷ আর তার সঙ্গে ছিল বিভিন্ন উপসর্গ এবং খিঁচুনি । এই অবস্থায় ভেন্টিলেশনে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে পুনর্জন্ম দিলেন চিকিৎসকরা । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর পুত্রসন্তান দু'জনেই সুস্থ রয়েছেন । বুধবার তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে ৷ আর এই অসাধ্য সাধন করেছে উত্তর 24 পরগনার বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Barasat Government Medical College Hospital)।

বছর 33-এর প্রসূতির নাম রীতা সাহা । অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি দত্তপুকুরে বাপের বাড়িতে ছিলেন । 1 মার্চ সেখানেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । সঙ্গে আরম্ভ হয় খিঁচুনিও । তড়িঘড়ি বারাসত মেডিক্যালে নিয়ে গেলে প্রসূতির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরতির সময় মহিলার অক্সিজেন স‍্যাচুরেশন ছিল যথেষ্ট কম । প্রয়োজনের তুলনায় শরীরে যথেষ্ট বেশি ছিল কার্বন ডাই-অক্সাইড । ইউরিন দিয়েও সমানে রক্ত বেরোচ্ছিল । এইসব দেখে চিকিৎসকরা এক মুহূর্ত দেরি না-করে প্রসূতিকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেন । কিন্তু তাতেও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল । তা না-করলে জীবনের আশঙ্কা ছিল প্রসূতি ও সদ‍্যোজাতের ৷ তাই পরিবারের সম্মতি নিয়ে শেষে অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল সেই অস্ত্রোপচারেই মেলে সাফল্য । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর সদ‍্যজাত শিশুকে প্রায় পাঁচদিন সিসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয় । তারপর দু'জনকেই সেখান থেকে শিফট করা হয় জেনারেল বেডে । মা এবং শিশু দু'জনেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠায় বুধবার তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় । এদিন হাসপাতালে স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে নিতে এসে আবেগঘন হয়ে পড়েন অনুপম সাহা ।

এই বিষয়ে তিনি বলেন,"আমার স্ত্রী ও সন্তানের বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম । সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজও মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে । দু'জনেরই নতুন জীবন দিয়েছেন ডাক্তারবাবুরা । ওনারা আমাদের কাছে ভগবান ।" বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের কথায়,"অজ্ঞান করে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় এই ধরনের অস্ত্রোপচার বিরল । যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল । তারপরও সাফল্য মেলায় খুব ভালো লাগছে । এটা কেবল সম্ভব হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় । তাঁরা যদি তৎক্ষণাৎ কোনও সিদ্ধান্ত না-নিতেন, তাহলে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারত‌ । বিপদ এড়িয়ে মা ও সদ‍্যোজাত শিশু দু'জনেই এখন পুরোপুরি সুস্থ ।"

আরও পড়ুন : ফের অসাধ্য সাধন নীলরতনে, বিরল অস্ত্রোপচারে বাঁচল তরুণীর প্রাণ

প্রসূতির জটিল অস্ত্রোপচারের বিষয়ে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য

বারাসত, 8 মার্চ: একদিকে প্রবল শ্বাসকষ্ট ৷ আর তার সঙ্গে ছিল বিভিন্ন উপসর্গ এবং খিঁচুনি । এই অবস্থায় ভেন্টিলেশনে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে পুনর্জন্ম দিলেন চিকিৎসকরা । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর পুত্রসন্তান দু'জনেই সুস্থ রয়েছেন । বুধবার তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে ৷ আর এই অসাধ্য সাধন করেছে উত্তর 24 পরগনার বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Barasat Government Medical College Hospital)।

বছর 33-এর প্রসূতির নাম রীতা সাহা । অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি দত্তপুকুরে বাপের বাড়িতে ছিলেন । 1 মার্চ সেখানেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । সঙ্গে আরম্ভ হয় খিঁচুনিও । তড়িঘড়ি বারাসত মেডিক্যালে নিয়ে গেলে প্রসূতির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে । হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরতির সময় মহিলার অক্সিজেন স‍্যাচুরেশন ছিল যথেষ্ট কম । প্রয়োজনের তুলনায় শরীরে যথেষ্ট বেশি ছিল কার্বন ডাই-অক্সাইড । ইউরিন দিয়েও সমানে রক্ত বেরোচ্ছিল । এইসব দেখে চিকিৎসকরা এক মুহূর্ত দেরি না-করে প্রসূতিকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেন । কিন্তু তাতেও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল । তা না-করলে জীবনের আশঙ্কা ছিল প্রসূতি ও সদ‍্যোজাতের ৷ তাই পরিবারের সম্মতি নিয়ে শেষে অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল সেই অস্ত্রোপচারেই মেলে সাফল্য । অস্ত্রোপচারের পর মহিলা ও তাঁর সদ‍্যজাত শিশুকে প্রায় পাঁচদিন সিসিইউ-তে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয় । তারপর দু'জনকেই সেখান থেকে শিফট করা হয় জেনারেল বেডে । মা এবং শিশু দু'জনেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠায় বুধবার তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় । এদিন হাসপাতালে স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে নিতে এসে আবেগঘন হয়ে পড়েন অনুপম সাহা ।

এই বিষয়ে তিনি বলেন,"আমার স্ত্রী ও সন্তানের বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম । সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজও মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে । দু'জনেরই নতুন জীবন দিয়েছেন ডাক্তারবাবুরা । ওনারা আমাদের কাছে ভগবান ।" বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের কথায়,"অজ্ঞান করে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় এই ধরনের অস্ত্রোপচার বিরল । যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল । তারপরও সাফল্য মেলায় খুব ভালো লাগছে । এটা কেবল সম্ভব হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডে থাকা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় । তাঁরা যদি তৎক্ষণাৎ কোনও সিদ্ধান্ত না-নিতেন, তাহলে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারত‌ । বিপদ এড়িয়ে মা ও সদ‍্যোজাত শিশু দু'জনেই এখন পুরোপুরি সুস্থ ।"

আরও পড়ুন : ফের অসাধ্য সাধন নীলরতনে, বিরল অস্ত্রোপচারে বাঁচল তরুণীর প্রাণ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.