বাগদা, 23 অগস্ট: ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক প্রৌঢ়কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম নীলকমল সর্দার (54) । অভিযুক্ত ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বাগদা থানার পুস্তিঘাটা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুভাষ সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলেন নীলকমল। অভিযোগ, সুভাষ সর্দারের বাড়ির সামনে আসতেই অতর্কিতে সুভাষ হাঁসুয়া দিয়ে নীলকমলের উপর হামলা চালায় । তাঁর গলার ডান পাশে কোপ মারে । ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে ছুটে যান নীলকমলের ছোট ছেলে সম্রাট সর্দার। তড়িঘড়ি নীলকমলকে নিকটবর্তী দত্তপুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মুদ্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি সৌদির নোট-সহ ধৃত 2
এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা । ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত-সহ তার দাদা, ভাই ও বোনের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা থানার পুলিশ। রাতেই অভিযুক্ত সুভাষ সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নীলকমলের ছেলে সম্রাট বলেন, "বিকেলে বাবা পাড়ার মোড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। কিছু সময় পরে খেলা দেখতে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি দু'জন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে । কিছুটা দূরে রাস্তায় কেউ একজন পরে আছে। কাছে গিয়ে দেখি আমার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে পরে রয়েছে। সুভাষ সর্দার আমার বাবার গলায় কোপ মেরে পালিয়ে গিয়েছে। তবে সে কেন এই ঘটনা ঘটালো তা আমরা জানি না। তার সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই।" স্থানীয়রা জানিয়েছে, সুভাষ মাঝেমধ্যেই এলাকার বিভিন্ন লোককে হুমকি দেয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপাতে যায়। নীলকমল খুব শান্ত প্রকৃতির। সে কারও সঙ্গে কখনও কোনও ঝামেলায় যান না। এমন লোককে মারায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। গ্রামবাসীরা কেউ ওকে এই এলাকায় রাখতে চান না ।